নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ২২ মে, ২০১৯
সরকার সারা দেশে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ একটি অপরিহার্য বিষয়। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা না গেলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়, সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয় এবং বহুমুখী জটিলতার সৃষ্টি হয়।
কিন্তু, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে আইনের ৪ ধারা (পূর্বের আইনের ৩ ধারা) ধারা নোটিশ জারির পর কোন কোন জেলায় অধিগ্রহণ প্রস্তাবাধীন ভূমি নিয়ে আইনের বিধান অনুসারে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার না চেয়ে মামলা মোকদ্দমা দায়ের করা হচ্ছে। এমনকি একই আইনের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৮ ধারা (পূর্বের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর ৭ ধারা) নোটিশ জারির পর মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মাঠ পর্যায়ে কোন কোন অসাধু চক্রের যোগসাজশে অন্য একজনকে দাঁড় করিয়ে টাইটেল মোকদ্দমা দায়ের করা হচ্ছে।
এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা-মোকদ্দমার কারণে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জমির প্রকৃত মালিকগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ও দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন - সর্বোপরি জনস্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪২(২) অনুচ্ছেদে ক্ষতিপূরণসহ বাধ্যতামূলকভাবে স্থাবর সম্পত্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন বা মামলা না করার বিষয়ে বলা হয়েছে। স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭-এর ৪৭ ধারায় অধিগ্রহণ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা না করার বিষয়ে বিধি নিষেধ রয়েছে।
জনভোগান্তি কমানোর লক্ষ্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী সম্প্রতি এ বিষয়ক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয় ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭-এর ৪ ধারা নোটিশ জারির পর জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চাওয়া ব্যতীত অধিগ্রহণ সম্পর্কিত ভূমি নিয়ে কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা দায়ের না করা সংক্রান্ত’। পরিপত্র জারি করে।
এমতাবস্থায়, ভূমি মন্ত্রণালয় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং জনভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আইনের ৪ ধারা (পূর্বের আইনের ৩ ধারা) এবং ৮ ধারা (পূর্বের আইনের ৭ ধারা) নোটিশ জারির পর আর কোন অভিযোগ গ্রহণের সুযোগ নেই বিধায় আইনের ৪৭ ধারা যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করে পরিপত্র জারি করে।
উল্লেখ্য,
১। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪২(২) অনুচ্ছেদে ‘সম্পত্তির অধিকার’ বিষয়ে বলা আছে -
‘[(২) এই অনুচ্ছেদের (১) দফার অধীন প্রণীত আইনে ক্ষতিপূরণসহ বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্তকরণ বা দখলের বিধান করা হইবে এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ, কিংবা ক্ষতিপূরণ নির্ণয় বা প্রদানের নীতি ও পদ্ধতি নির্দিষ্ট করা হইবে, তবে অনুরূপ কোন আইনে ক্ষতিপূরণের বিধান অপর্যাপ্ত হইয়াছে বলিয়া সেই আইন সম্পর্কে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।]’
২। স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ এর ৪৭ ধারায় মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধের কথা বলা আছে -
“আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা গৃহীত কোন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে, এই আইনের অধীন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যতীত, অন্য কোন আদালতে কোন প্রকার মামলা দায়ের বা আরজি পেশ করা যাইবে না এবং কোন আদালত উক্তরূপ কোন আদেশ বা ব্যবস্থা সম্পর্কে কোন প্রকার আদেশ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করিতে পারিবে না”।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
সুন্দরবন আগুন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহাদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফের ছেলে নুরুন্নবীর সাথে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরুন্নবী বাড়ি থেকে বের হয়ে সে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধ্যান পাননি। সেই পরকীয়ার জেরে আসামীরা তাকে হত্যা করে। পরে ২০ নভেম্বর উপজেলা দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুরন্নবীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরের দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসকল অভিযোগ করেন দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বদি ফকিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মীদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। গতকাল রাতে প্রায় এক ট্রাক ভর্তি টাকা তারা বেলকুচিতে নিয়ে এসেছে। ভোট কিনতে ও নানা প্রলভোন দিয়ে তারা ভোটাদের বিভ্রান্ত করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচরানা অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এক ভোট পেলেও নির্বাচিত হবে এমন বক্তব্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। এছাড়াও দোয়াত কলম প্রতীকের প্রচারনায় আমাদের কর্মীদের সরে যাবার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। এ সকল বিষয়ে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।'
উপজেলা নির্বাচন কালো টাকা প্রভাব বিস্তার
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী অনুপ্রবেশ
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।