ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনাপোলে উচ্চ শুল্কহারে আমদানি হ্রাস, রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:৪১ পিএম, ২৭ মে, ২০১৯


Thumbnail

বেনাপোলে বন্দরে উচ্চ শুল্কহারের পণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে কমেছে । কিন্তু রাজস্ব আদায় সেই হারে কমেনি । গত বছর থেকে চাল ও স্টোন বোল্ডার ব্যাতিত পণ্যের আমদানি ৩১.৩৮ ভাগ কমলেও সামগ্রিক রাজস্ব কমেনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বেনাপোলের গত বছরের আদায়ের উপর এ বছর লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি হয়েছে ২৭ ভাগ । স্বাভাবিক আমদানি প্রবণতা বজায় থাকলে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪.৩৮  ভাগ বেশি রাজস্ব আদায় হতো ।

গত অর্থবছরে মে মাসে ২০ তারিখ পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ ৩৫৬৮.৩০ কোটি টাকা এবং বর্তমান অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ ৩৫৭৭.৫৪ কোটি টাকা । ব্রোকেন স্টোন ও বোল্ডার আমদানি বন্দরে সংরক্ষণ করতে গিয়ে উচ্চ শুল্কহারের পণ্য প্রবেশে বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। একই সময়ে ব্রোকেন স্টোন ও বোল্ডার ব্যতীত অন্যান্য শুল্কযুক্ত পণ্যের সামগ্রিক আমদানি হ্রাস ১৭.৪৯ ভাগ । একই সময়ে চাল ব্যতিত ২৫ ভাগ শুল্কহারের পণ্যের সামগ্রিক আমদানি হ্রাস ১২.২৮ ভাগ । ১০ ভাগ শুল্কহার যুক্ত পণ্যের আমদানি কমেছে ২০ ভাগ ।

স্টোন বোল্ডার ব্যতিত পণ্যে গত অর্থবছরের একই সময়ের স্বাভাবিক আমদানি প্রবণতা (৩১.৩৮ ভাগ) অব্যহত থাকলে শুল্কহার যুক্ত পণ্যে অতিরিক্ত রাজস্ব আহরিত হত প্রায় ১০৯৮ কোটি টাকা । আহরণযোগ্য রাজস্ব হতো ৪৬৬৭ কোটি টাকা এবং সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি ৩০.৮ ভাগ ।

শুণ্য শুল্কহারের পিয়াজ, তুলা, মসুর ডাল ইত্যাদি আমদানি পরিমানে বেড়েছে যথাক্রমে ২৫.৭৬%, ৪৩.৯৭%ও ১০০%। নিম্ন শুল্কহারের পণ্য স্পঞ্জ আয়রন, ফ্লাই অ্যাস ইত্যাদির আমদানি পরিমানে বেড়েছে যথাক্রমে ২০.৯২% ও ১০০%। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সিরামিক ও তৈরি পণ্য, ইলেকট্রিক্যাল মেশিনারি ও ইকুইপমেন্ট, ল্যাকটোজেন, লোহা ও স্টিলের তৈরি পণ্য, রাবার টায়ার ও অটোপার্টস আমদানি হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে ৪৮.১৩%, ১৯.৯৭%, ৮.৫১%, ৩৫.৫৩%, ৭.১৭% এবং ২৩.৮৪% । বাণিজ্যিক পণ্যের উল্লিখিত খাত গুলোতে, আমদানিতে গত অর্থবছরের চেয়ে অন্তত ১৪৫.৪৮ কোটি টাকা কম রাজস্ব আহরিত হয়েছে। চেসিস আমদানিতে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৪.৩১ ভাগ ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে চলতি অর্থ বছরে আমদানি-রফতানি হ্রাস পাওয়ার পারিপার্শ্বিক কারন রয়েছে। ভারতের পেট্রোপোলে বিভিন্ন সংগঠনের ঘন ঘন বনধ ডাকা, ভারতের বিভিন্ন পার্কিং এ যানজট ও পণ্যবাহী ট্রাকের অপর্যাপ্ততা, বাংলাদেশ এবং ভারতীয় উভয় দিকে জাতীয় নির্বাচন আমদানি-রফতারি উপর প্রভাব ফেলেছে। স্থলবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি না পাওয়া, স্থান সংকট, বন্দরের উন্নয়ন আশানুরূপ না হওয়া, অপ্রতুল অবকাঠামো, পণ্য হ্যান্ডেলিং ইকুইপমেন্টের অভাব ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা,সার্বিক প্রশাসন ও নিরাপত্তায় অব্যবস্থাপনার কারণে আমদানি কার্যক্রমে গতিহীনতা দৃশ্যমান।

সাপ্টার আওতায় রেয়াতী সুবিধায় ছাড়করণে শুল্ককরের উপর প্রভাব পড়েছে। আমদানি-রফতানি পণ্যবাহি ট্রাক পথিমধ্যে বিজিবি কর্তৃক হয়রানির শিকার ও অযথা পণ্যবাহি ট্রাক আটক করার ফলে আশংকাজনক হারে উচ্চ মূল্যের পণ্য আমদানি হ্রাস পেয়েছে। বেনাপোলে বিএসটিআই ও বিসিএসআইআর এর শাখা অফিস না থাকায় পণ্যের গুণগতমান নির্ধারণে বিলম্বিত হচ্ছে ফলে আমদানি-রফতানি ব্যাহত হচ্ছে। ভারতে বাজারজাত পণ্যেও উপর জি.এস.টি আরোপিত হওয়ায় আমদানি-রফতানির উপর প্রভাব পড়েছে।

ঝঅঝঊঈ এর আওতায় ঊীপযধহমব ড়ভ ফড়পঁসবহঃ দিতে হয় বলে আমদানিকারকগণ ঋধনৎরপং, গড়ঃড়ৎ ঢ়ধৎঃং, গধৎনষব ংষধন ইত্যাদি পণ্য এ দপ্তরের মাধ্যমে খালাস না করে অন্য বন্দর দিয়ে আমদানি করছে। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক লতা বলেন, চলতি অর্থ বছরে কাস্টম কর্তৃপক্ষ আইন প্রয়োগে মনোজোগ দেয়ায় কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বেনাপোল বন্দরের পরিবর্তে অণ্য বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি করায় বেনাপোল বন্দরে কিছুটা রাজস্ব আদায় হ্রাস পেয়েছে। তবে আগামী জুন মাসের মধ্যে তা কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করছেন কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষ।

নিবিড় পর্যবেক্ষন ও মনিটরিং এর কারনে বেনাপোল কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম ও মোংলা কাস্টম হাউজের তুলনায় প্রতি মেট্রিকটনে অধিক পরিমান রাজস্ব আদায় করেছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, পাথর ও বোল্ডারের মত  শুল্কহারের পণ্য আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে । এ বছর ভোমরা স্থল বন্দরে সকল পণ্য আমদানির সুবিধা দেয়া হয়েছে। ভোক্তা ও অংশীজন একই হওয়ায় ভোমরার রাজস্ব বৃদ্ধি পেলে বেনাপোলে কমবে। ব্যাপক সংস্কার ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে ।  তেত্রিশ দিনের লীড টাইম কমে তিন ঘন্টা হয়েছে। বেনাপোল বিমুখ অনেক সংগঠিত আমদানিকারক সাম্প্রতিক সময়ে আবার বন্দর অভিমূখী হচ্ছে ।  শুল্কায়ন ও খালাস সহজিকরণ করায় বর্তমানে বন্দর দৈনিক একহাজার (১০০০) ট্রাক হ্যান্ডেলিং করার সক্ষমতা অর্জন করেছে । আমদানি কমা স্বত্ত্বেও নিবিড় মনিটরিং এবং যথাযথ মূল্যায়ন এবং পরীক্ষণের ফলে রাজস্ব আদায় তুলনামূলক বেড়েছে । অধিকন্তু যে পরিমান পণ্য বেনাপোল কাস্টম হাউসে আমদানি হয়েছে, সে তুলনায় পূর্বের রেকর্ড ও ঐতিহ্য অনুসারে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে।

ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ক্লাস চলার সময় ছিঁড়ে পড়ল সিলিং ফ্যান, শিক্ষার্থী জখম

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুর পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সিলিং ফ্যান পড়ে সুমাইয়া আক্তার মীম নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের রশিদপুর এলাকার ইজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুমাইয়া আক্তার মীমকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

আহত মীম পৌরসভার বগাবাইদ গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। আহত সুমাইয়া আক্তার মীম সেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, সকাল ১০টা থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। দশম শ্রেণির ক্লাসরুমে তৃতীয় ঘণ্টার ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দ্বিতীয় তলার শ্রেণি কক্ষের একটি ফ্যান ভেঙে সুমাইয়ার ওপর পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুখের ওপরের ঠোঁট কেটে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। গত বছরও ওই বিদ্যালয়ে ফ্যান পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান তারা।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গেলে ছবি ও ভিডিও নিতে বাধা প্রদান করে বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। আর এ বিষয়ে কোনো বক্তব্যও দিতে চাননি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুজ্জামান। এ সময় তিনি শুধু বলেন, বক্তব্য কী দেব বলেন, ফ্যান পড়ে গেছে এই আর কি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত না। তবে খবর নিচ্ছি। জেলার সাতটি উপজেলায় সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জামালপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপদাহের কারণে দেশের পাঁচ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (সোমবার) বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের স্কুল-কলেজ-মাদরাসা খোলা রাখতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া পরবর্তী সময়ে এ পাঁচ জেলায় কিংবা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এমন অন্যান্য জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত সোমবার জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপদাহ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুই দফায় ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে সরকারের ভেতরে গুঞ্জন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর বাজেট অধিবেশনের আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে আসতে পারে বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এই মন্ত্রিসভা অপূর্ণ ছিল, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর ১ মার্চ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। তবে সে দফায় কোন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। বরং ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিসভা ছিল ৪৭ সদস্যের। এবারের মন্ত্রিসভা আওয়ামী লীগের গত তিন বারের মন্ত্রিসভায় চেয়ে আকারে সবচেয়ে ছোট। আর এই কারণেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি বিভিন্নভাবে আলোচিত হয়।  

সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা আরও বড় করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এছাড়া মন্ত্রিসভায় কয়েকটি দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালেয়ও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। 

এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার পরিবর্তে অন্য কোন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএ-এর অনুরোধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি করতে হতে পারে এই বিবেচনা থেকে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যিনি আইনে দক্ষ বিশেষ করে শ্রম আইনে দক্ষ কাউকে যেন এই মন্ত্রণালেয়র দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইতোমধ্যে ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে গত ২১ এপ্রিল। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভালো-মন্দ নানান রকম হিসেব নিকেশ প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে এখনই বিচার করার সময় হয়নি বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন। তবে টানা দুই থেকে তিনবার যারা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে দু’একজনকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে। এদের মধ্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এদের মধ্যে এক বা একাধিক জনকে পূণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, জুনাইদ আহমেদ পলক ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগের 'গুড বুকে' চলে গেছেন। বিশেষ করে তার শ্যালককে তিনি প্রার্থী থেকে প্রত্যাহার করার ফলে তিনি সরকারের আরও বেশি আস্থাভাজন এবং প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল কখন, কীভাবে হবে এবং কতজন নতুন মন্ত্রী হবেন এ বিষয় সম্পর্কে কেউই কিছু বলতে পারেননি। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এটি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন বিবেচনা করবেন তখনই তিনি এই রদবদল করবেন।

মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে মোদি হারলে বাংলাদেশে কী হবে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।

প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।

এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।

বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।

এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।

অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বাংলাদেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন