নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ২৭ জুন, ২০১৯
বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের উত্তর বড় লবণগোলা গ্রামের শরীফ বাড়ি। বনেদি পরিবারে এই বাড়িতে লোকজনের আসা-যাওয়া সবসময়। তবে বুধবার রাত ১০টার দিকে অন্যসব সময়ের তুলনায় বাড়িতে লোকসমাগম ছিল অনেক বেশি। বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই কান্নার শব্দ আসে সবদিক থেকে। কেউ কাঁদে প্রকাশ্যে আবার কেউ নীরবে।
এই বাড়ির একমাত্র ছেলে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে (২৫) বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্য দিবালকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা।
পরে বিকেল ৩টার দিকে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। রিফাতের ওপর হামলার সময় তাকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি। তবুও স্বামীকে শেষরক্ষা করতে পারেননি তিনি।
নিহত রিফাতের ঘরে গিয়ে দেখা যায়, একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মা ডেইজি বেগম। প্রথমে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে জ্ঞান হারান তিনি। বুকে পাথরচাপা দিয়ে অশ্রু লুকাচ্ছেন বাবা দুলাল শরীফ। রিফাতের বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিতে দলে দলে লোক আসছেন বাড়িতে। ক্ষণে ক্ষণে সেসব লোকের আড়ালে গিয়ে কাঁদছেন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ।
রিফাতের বাবা মো. দুলাল শরীফ বলেন, সকালে খাবার খেয়ে রিফাত তার মা ডেইজি বেগমের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। বাজারে গিয়ে দেখা হয় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে। এরপর স্ত্রী মিন্নিকে নিয়ে বরগুনা সরকারি কলেজে যায় রিফাত। কিন্তু কলেজে প্রবেশ করার আগেই রিফাতের ওপর হামলা করে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ আরও কয়েকজন। সেখানেই ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা।
তিনি বলেন, নয়ন প্রতিনিয়ত আমার পুত্রবধূকে উত্ত্যক্ত করত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিত। এর প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে নয়ন তার দলবল নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার একমাত্র ছেলেকে যারা দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই।
অন্যদিকে বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি সড়কের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে নয়ন বন্ড এবং তার প্রতিবেশী দুলাল ফরাজীর ছেলে রিফাত ফরাজী। খুনী নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী দুজনেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের ছদ্ম ছায়ায় এমন কাণ্ড ঘটাতে সাহস পায়। সাবেক এমপি ও বর্তমান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেনের ভায়রা দুলাল ফরাজির পুত্র রিফাত। বরিশালের বেসরকারী একটি পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে পড়াশুনা করে। রিফাতের সাথে ওর দুই ভাইও ছিল। নাম রিশান ফরাজী, এবং রাব্বি আকন ফরাজী।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন