নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ জুলাই, ২০১৯
রংপুরের কাউনিয়ায় চোলাই মদ খেয়ে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় মদ খেয়ে বাড়ি ফেরার পর থেকে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও দুজন।
স্থানীয়রা বলছেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় হারাগাছের ধুমগড়া গ্রামের মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে আমরুল ইসলাম (৪০), ক্যালেনটারী গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে আনারুল ওরফে মেডিকেল (৪৪), একই গ্রামের চাঁন মিয়া (৩৬), মিলনবাজার গ্রামের মৃত আবদার আলীর ছেলে এজারুল ইসলাম (৩৮), সারাই কাসাইটারী গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে ফুলবাবু (৫২), একই গ্রামের ওবায়দুল (৪৭) এবং পশ্চিম পোদ্দারপাড়া গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে নুর আমিন ড্রাইভার (৪৩) হারাগাছ থানার চরচতুরা গাছবাড়ী এলাকার এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে দেশীয় চোলাই মদ পান করে। এরপরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সোমবার রাতেই ধুমগড়া গ্রামের আমরুল ইসলাম মারা যায়। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে ক্যালেনটারী গ্রামের আনারুল ওরফে মেডিকেল ও মিলনবাজার গ্রামের এজারুল ইসলামের মৃত্যু হয়। বুধবার সন্ধ্যায় পশ্চিম পোদ্দারপাড়া গ্রামের নুর আমিন ড্রাইভার এবং কাসাইটারী গ্রামের ফুলবাবু মারা যায়। এছাড়া কাসাইটারী গ্রামের ওবায়দুল এবং ক্যালেনটারী গ্রামের চান মিয়া বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অতিরিক্ত চোলাই মদপানে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি এলাকাবাসী নিশ্চিত করলেও নিহতদের পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করছে। নিহতদের স্বজনরা বলছেন, মদপানে নয়, ব্রেইন স্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের বলছে, মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ঘটনাটি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়িতে তিন দিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়েছে।
বুধবার
(৮
মে)
বেলা
সাড়ে
১১
টায়
মঙ্গল
ফিতা
কেটে ও
বেলুন
উড়িয়ে
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন
ভূমিমন্ত্রী সাধান
চন্দ্র চন্দ। রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন
জেলা
প্রশাসক মীর
মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি
হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন
সিরাজগঞ্জ-৬
আসনের
সংসদ
সদস্য
চয়ন
ইসলাম,
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি
প্রফেসর ড.শাহ আজম। পরে
জেলা
শিল্পকলা একাডেমির শিল্পরা সংগীত
পরিবেশন করে।
জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সকাল
থেকেই
দর্শনার্থী ও
রবীন্দ্র ভক্তদের পদচারণায় মুখরিত
হয়ে
উঠেছে
কবির
স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়ি প্রাঙ্গণ।
তিন
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে
রয়েছে
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা
সভা,
নৃত্যানুষ্ঠান, আবৃত্তি, নাটক।
জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানকে ঘিরে
পুরো
শাহজাদপুরে উৎসবের
আমেজ
বিরাজ
করছে।'
নাটোরের রানী ভবানীর জমিদারীর একটি অংশ শাহজাদপুরের জমিদারী নিলামে উঠলে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকনাথ ঠাকুর ১৮৪০ সালে মাত্র ১৩ টাকা ১০ আনায় শাহজাদপুরের এই জমিদারী কিনে নেন। ১৮৯০ থেকে ১৮৯৭ এই ৮ বছর কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারী দেখাশোনার জন্য এখানে আসতেন এবং সাময়িকভাবে বসবাসও করতেন।
আর
এখানে
বসেই
কবি
রচনা
করেছেন
কবিতা
সোনারতরী, চিত্র,
চৈতালী,
কল্পনা,
ছোটগল্প পোষ্ট
মাষ্টার, রাম
কানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা, ব্যবধান, তারা
প্রসন্নের কীর্তি,
ছুটি,
সমাপ্তি, ক্ষুধিত পাষাণ,
অতিথি,
৩৮
টি
ছিন্ন
পত্রাবলী, প্রবন্ধ ও
গীতাঞ্জলীর অংশ
বিশেষ,
নাটক
বিসর্জন এর
মত
সাহিত্য কর্ম।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক সংবাদ সম্মেলন বয়কট সাংবাদিক
মন্তব্য করুন
দেশের
৫৯ টি জেলার ১৩৯ টি উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বুধবার (৮ মে) বিকেল ৪ টার দিকে ভোটগ্রহণ শেষ
হয়। এখন চলছে গণনার কাজ।
এর আগে আজ বুধবার (৮ মে) সকাল
৮টা থেকে
শুরু হয়
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
এর মধ্যে
২২টিতে ইলেকট্রিক
ভোটিং মেশিন
(ইভিএম) এবং
বাকিগুলোতে ব্যালট
পেপারে ভোট
হয়।
সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কেন্দ্রে আসেন ভোটাররা। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে
বেছে নিতে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তারা।
নির্বাচন কমিশনের
তথ্য অনুযায়ী,
১৩৯টি উপজেলা
পরিষদে প্রতিটি
উপজেলায় চেয়ারম্যান,
ভাইস চেয়ারম্যান
ও মহিলা
ভাইস চেয়ারম্যান
পদে প্রায়
১৬৩৫ প্রার্থী
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে
চেয়ারম্যান পদে
৫৭০, ভাইস
চেয়ারম্যান পদে
৬২৫ এবং
মহিলা ভাইস
চেয়ারম্যান পদে
৪৪০ জন।
এছাড়াও প্রথম ধাপের চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে অর্থাৎ মোট ২৮ প্রার্থী এরই মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: সিল মারা ৯০০টি ব্যালটসহ প্রিজাইডিং অফিসার ও এজেন্ট আটক
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদীতে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫
আরও পড়ুন: ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ, ৯৪ হাজার টাকাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: সুনামগঞ্জে টাকা বিতরণকালে সহকারী প্রিজাইডিংসহ আটক ৪
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের এক ভোটকেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অসুস্থ, পরে মৃত্যু
মন্তব্য করুন
বরগুনার তালতলী উপজেলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু, পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক মোঃ মশিউর রহমান খাঁন মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত পুর্বক ৭ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ৩ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় উপজেলা ব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের শাস্তির দাবী করছেন এলাকাবাসী।
মামলার বিবরন সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে মামলার বাদীর কন্যার মোবাইল ফোনে প্রেম হয়। এক পর্যায় চেয়ারম্যান বাচ্চু মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। কিন্তু চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে না করে টালবাহানা করতে থাকে। ধর্ষিতা বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে করবে বলে স্ট্যাম্পে লিখিত দেয় এবং বিভিন্ন স্থানে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষিতার অজান্তে গোপনে মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারণ করে। ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মামলার ২ নং আসামী পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। চেয়ারম্যান রাজ্জাক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এবং তিনিও মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারন করে রাখে। পরে পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওই ধর্ষিতাকে ব্ল্যাকমেইল করেন এবং তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাধ্য করে। তার কথা না শুনলে তাকে জীবন নাশের হুমকি দেন। নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারের সঙ্গে দৈনিক সম্পর্কে বাধ্য হয়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও ওই কন্যাকে বিভিন্ন হোটেল ও লঞ্চে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে দাবী করেন মামলার বাদী।
তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করবে বলে হুমকি দেয়। এমন খবর পেয়ে তিন চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিলে ওই ধর্ষিতার বিরুদ্ধে উল্টো পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দেয়। ওই মামলায় ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে ওই মামলায় ধর্ষিতা জেল হাজতে রয়েছে।
তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র মুলক এ মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে আমি ও অন্য দুই চেয়ারম্যানের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি আইনগতভাবে মোকাবেলা করবো।’
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোঃ আনিচুর রহমান মিলন বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গণধর্ষণ পর্ণোগ্রাফি চেয়ারম্যান
মন্তব্য করুন
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ব্যারিস্টার সুমন
মন্তব্য করুন
বরগুনার তালতলী উপজেলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল কবির জোমাদ্দার, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু, পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা হয়েছে।