নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৬ জুলাই, ২০১৯
বিয়ের কথা বলে একাধিকবার বিউটি বোডিংয়ে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক লেখিকা।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, ‘সিকদার অ্যান্ড পাবলিকেশন’ ও ‘আকাশ পাবলিকেশন’র মালিক আসামি আলমগীর সিকদার লোটন। অন্যদিকে বাদী একজন লেখিকা হওয়ায় আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। বাদী ‘সংগঠক ও সংগঠন’ রাজনৈতিক বইটি লিখতে আসামি লোটনের সঙ্গে সহকারী লেখিকা হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে আসামির প্রতিষ্ঠান ‘আকাশ পাবলিকেশন’ থেকে প্রকাশিত ‘সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু’ ছবি অ্যালবামের নির্দেশনা ও অঙ্গসজ্জা হিসেবেও বাদী কাজ করেন। সেই সময় ওই কাজের জন্য বাদী আসামির সঙ্গে দেখা করতেন। তখন আসামি বাদীকে পেলেই বিভিন্ন ইভটিজিংমূলক কথাবার্তা বলতেন। আসামি বাবার বয়সী ভেবে বাদী বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন। এছাড়া আসামি বিভিন্ন সময় ফোনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ম্যাসেঞ্জারে বাদীর কাছে নোংরা ছবি পাঠাতো এবং ভিডিও কলে নোংরা প্রস্তাব দিতো। বাদী কঠোরভাবে প্রতিবাদ করতে পারতেন না, কারণ তাকে কাজের জন্য আসামির কাছে যেতে হতো।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আসামি লোটনের জন্মদিন হওয়ায় তার অনুরোধে তিনি রাজধানীর কোতোয়ালি থানাধীন বিউটি বোডিংয়ে আসেন। সেখানে জন্মদিনের কেক কাটার পর আসামি বাদীকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। পথে ড্রাইভার ও তার সহযোগীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর এলাকার একটি নিরিবিলি স্থানে গাড়ি থামিয়ে রাত ৯টার দিকে গাড়িতেই বাদীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং সে সময় মোবাইল ফোনে কিছু নোংরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। এরপর বাসায় পৌঁছে দেয়ার সময় হুমকি দেন, বিষয়টি কাউকে জানালে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেবেন। আসামির কাছে নোংরা ছবি ও ভিডিও থাকায় সে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল করে। এরপর বিভিন্ন সময় আসামির পাবলিকেশন ও বিউটি বোডিংয়ে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
সর্বশেষ গত ৩০ জুন আসামি বাদীকে বিয়ে করবে বলে ডেকে এনে বিউটি বোডিংয়ের দোতলার একটি কক্ষে ধর্ষণ করেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।