ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রিসভায় রদবদল কবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ০৪ জুন, ২০১৭


Thumbnail

মন্ত্রিসভায় একটি রদবদল হবে- এমন কথা শোনা যাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। তবে তা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে গত ৮ মে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথায়। মন্ত্রিসভায় এই রদবদল ঈদের আগে নাকি পরে হচ্ছে?

সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থীরা ঈদে সাধারণত সরকারের সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরবেন ভোটারদের কাছে। তবুও তাদেরকে কাছে পেয়ে কিছু নেতিবাচক বিষয়ও ভোটাররা সামনে আনতে পারেন এই সময়। এগুলোর মধ্যে প্রাধান্য পেতে পারে চলতি বাজেট প্রস্তাব। বিশেষ করে ভ্যাট ও আবগারী শুল্ক নিয়ে। তাছাড়া আরও কিছু বিষয়ও সামনে আসতে পারে এ সময়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি ও রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে নারী নিপীড়নের ঘটনা। এবং সর্বোপরি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডও সামনে আসবে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে। যা সরকারের ইতিবাচক কাজগুলোকে ভোটারদের সামনে পিছু টানতে পারে।

ঈদে ভোটারদের সামনে শতভাগ স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হলেও তা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে চায় সরকার তথা আওয়ামী লীগ। সেজন্যে অন্তত সমালোচিত মন্ত্রীদের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা ঈদের আগেই নেয়ার যুক্তি দেখাচ্ছেন শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ। তবে এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ যাবেন কম, রদবদলই হবে বেশি বলে জানা গেছে।

আবার শীর্ষ নেতাদের কারও মতে, এখনই পরিবর্তন আনলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীরা সানন্দে ঈদ করতে পারবেন না। তাই এই পরিবর্তন ঈদের পরে আনাই উচিত বলে মত তাদের। তবে ঈদের পরে হলেও তা খুব বেশি সময় নেয়া হবে না বলেও জানা গেছে। কারণ আগস্ট মাসে সাধারণত মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হয় না।

তবে কেবল নেতিবাচক নয়। এই রদবদলে ইতিবাচক পরিবর্তনও আসতে পারে মন্ত্রিসভায়। জানা গেছে, একাধিক নতুন মন্ত্রীও আসতে পারে এতে। দায়িত্ব পরিবর্তন হবে একাধিক মন্ত্রীর।

এছাড়া দুই-একজন প্রতিমন্ত্রীকে কাজের ইতিবাচক স্বীকৃতি হিসেবে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীও করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আবার নেতিবাচক ভাবমূর্তির কারণে মন্ত্রীদের মতো একাধিক প্রতিমন্ত্রীও বাদ পড়তে পারেন এবারের রদবদলে ।

বর্তমান সরকারে থাকা জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন বলে মাঝেমধ্যেই কথা ওঠে। সরকার শপথ নেয়ার পর থেকে বহুবার এই কথা উঠলেও আসলেই তারা পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত করবেন, তাও এই রদবদলে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

এদিকে রদবদল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যেসব মন্ত্রীর নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রী সামছুর রহমান শরীফ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ সায়েদুল হক ও ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে মন্ত্রণালয় নিয়ে সর্বশেষ সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে সাম্প্রতিক আগাম বন্যার সময়। ওই সময় হাওরাঞ্চলের মানুষের আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে কৃষকদের সচেতন করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। পারলে কৃষক হয়ত আগেই কিছু ফসল হলেও কেটে ঘরে তুলতে পারত।

তাছাড়া নারয়ণগঞ্জের ৭ খুন মামলার অন্যতম প্রধান আসামি তারেক সাঈদ তাঁর জামাতা। এই নিয়েও বিব্রত হতে হয়েছে সরকারকে। তাছাড়া মন্ত্রীর ছেলেকে নিয়েও বিভিন্ন সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে সরকারকে। ২০১১ সালে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর ছেলে দীপু চৌধুরীকে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম আমলে দীপু চৌধুরীর নানা অপকর্মের কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার।

সম্প্রতি সরকার বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফকে নিয়েও। সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগে মন্ত্রীর ছেলেকে কারাগারে যেতে হয়েছে। মন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরীফ তমালসহ ১১ জনকে কয়েকদিন আগে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৯ এপ্রিল তারা দুইটি বাড়ি ও তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ভূমি বেদখলের অভিযোগ আছে। চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কমিউনিটি সেন্টার সংক্রান্ত ওই বিষয়ে গত বছর এপ্রিলের দিকে সরকারকে বেশ বিব্রত হতে হয়। তাছাড়া সৌদি আরবে কর্মী যেতে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও ৭-৮ লাখ টাকা খরচ হয় বলে অভিযোগ আছে। বহুদিনপর সৌদি আরবে শ্রম বাজার খুললেও এই বিষয়ে সমালোচনায় পড়তে হয় সরকারকে।

মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের কারণে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাড়িঘরে মৌলবাদীরা আগুন দিয়েছিল বলে অভিযোগ আছে। ওই সময় মন্ত্রী সংখ্যালঘুদের ‘মালাউন’ বলে গালি দিয়েছিলেন বলেও আছে অভিযোগ। এ কারণে সরকারকে কেবল দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল বলে মনে করছেন অনেকে।

ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে হজ অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সময়ে মসজিদ-মন্দিরে বরাদ্দ দেয়া সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে। বিশেষ করে গত দুবারই হজ ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে তাঁর মন্ত্রণালয়। এবারও সমস্যা সমাধানে আগাম তেমন কোন প্রস্তুতি না থাকায় এই ব্যর্থতার হ্যাটট্রিক হতে পারে বলে মনে করছেন অংশীজনেরা (স্টেকহোল্ডাররা)।

তাছাড়া মন্ত্রীপুত্র মুহিত উর রহমান মন্ত্রণালয়ের অনেক কাজ দেখভাল করেন বলে অভিযোগ আছে। প্রধানত হজযাত্রীদের সরকারি তালিকা তৈরি, তাদের ব্যাগ তৈরি, পূজা ও ঈদের বিশেষ বরাদ্দ বণ্টনে তিনি প্রভাব রাখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় এ যাবত তিনবার রদবদল হয়েছে। এরমধ্যে প্রথমবার রদবদল হয়েছিল শপথ গ্রহণের মাস দেড়েক পর ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে (এমএইচ মাহমুদ আলী) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং নজরুল ইসলামকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

প্রায় দেড় বছর পর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রীসভায় যোগ হন নতুন পাঁচ জন। তাদের মধ্যে ওইদিন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। একই দিন মন্ত্রী হিসেবে আরও শপথ নেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তারানা হালিম (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) এবং নুরুজ্জামান আহমেদ (খাদ্য)।

মন্ত্রিসভায় সর্বশেষ রদবদল হয় ২০১৫ সালের ৯ জুলাই। চমকপ্রদ ওই রদবদলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। একই দিন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বদলে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। এক সপ্তাহ পর সৈয়দ আশরাফ পান তার নতুন মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন।

বাংলা ইনসাইডার/এমএএম




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ৫ ইউপির তিনটিতেই নতুন মুখ

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলায় প্রায় ১৩ বছর পর ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে এ ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষিত হলে দেখা যায়, এই ৫ টি ইউপি’র ৩ টিতেই নতুন মুখ এবং অপর দু’টি তে পুরোনোতেই আস্থা রেখেছে জনগণ। ফলাফল ঘোষণা করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা।

চেয়ারম্যান হিসেবে দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁত ও লাহারকান্দি ইউপিতে নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছে। অপর দুই ইউপি তেওয়ারীগঞ্জ ও দক্ষিণ হামছাদিতে আবারও নির্বাচিত হয়েছে পুরোনোরা।

দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে মীর শাহ আলম (ঘোড়া) ৬২৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন চৌধুরী (চশমা) পেয়েছেন ২৬৯৮ ভোট।

দালাল বাজার ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম (চশমা) ৬৩৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী চৌধুরী (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৪৭৬০ ভোট।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান (চশমা) ৬৪০১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ জামাল রিপন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩৩৯০ ভোট।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে আশরাফুল আলম (টেলিফোন) ৫৫৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম শাহীন (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৩৭৭৩ ভোট। আশরাফুল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) ৭৫৪২ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৬২৩৯ ভোট।

দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও বাঙ্গাখাঁ এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী ফলাফলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


ইউপি নির্বাচন   ভোটগ্রহণ   নতুন মুখ   চেয়ারম্যান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ৪০ হাজার মৃত্যুর শঙ্কা

প্রকাশ: ১১:০৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ডেঙ্গুত আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এই ডেঙ্গুর প্রকপ দিনদিন বাড়ছে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দেখা যায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঠিক ওই বছরি বিশ্বে এই সংখ্যা দাড়ায় ৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০০ সালে প্রায় বিশ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে মারা যায়। তবে এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটছে। চলতি বছর বিশ্বে ৪০ হাজার মানুষ এ রোগে মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।

সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত অঞ্চল লাতিন আমেরিকা। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালে সেখানে বছরে গড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। কিন্তু ২০২৩ সালে অঞ্চলটিতে ৪৬ লাখ মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এদিকে ২০২৪ সালে এরই মধ্যে সেখানে প্রায় ৬০ লাখ ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্রাজিলের মানুষ।

একদিকে যেমন ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি অঞ্চল ছাপিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের সর্বত্র। এডিস মশা তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সংবেদনশীল এবং বিশ্ব উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিসরও বাড়ছে।

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয় ১৯৬০ সালের দিকে। ২০০০ সালের জুন মাসে ডেঙ্গু সর্বপ্রথম মহামারি আকারে দেখা দেয় বাংলাদেশে। সে বছর মোট ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, যার মাঝে মারা যায় ৯৩ জন। এরপর কম-বেশি প্রতিবছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে। কিন্তু সেই সংখ্যা কখনোই ২০২৩ সালের মতো এত প্রকট আকার ধারণ করেনি।

২০২৩ সালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই বছরে আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে।

আগের ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। কিন্তু শুধু ২০২৩ সালে ১ হাজার ৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অর্থাৎ বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বছরে বছরে আরও ভয়াবহ হচ্ছে।

অ্যানেফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়, যা এখন সারা বিশ্বেই পাওয়া যায়। কিন্তু এডিস মশা এখনো সব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু জলবায়ুর বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী, এডিস মশা দক্ষিণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে আরও দুইশ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

নগরায়ন এই মশার বংশবিস্তার বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। একটি ডেঙ্গু মশা তার দুই সপ্তাহের জীবনে একাধিক ব্যক্তিকে কামড়াতে পারে। কিছু স্থানে এই রোগ আগে ছিল না কিন্তু এখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই প্রবণতা এখন বাংলাদেশ ও ভারতে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যালিফোর্নিয়া, দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকায় ডেঙ্গু আক্রান্তে সংখ্যা বেড়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরের জন্য বিশ্বকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। যদিও ধনী উত্তর গোলার্ধ ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, তবে এতে বিশ্বের দরিদ্র অংশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


ডেঙ্গু   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল গৃহবধূ

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এনজিওর টাকা তুলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নিহত গৃহবধূ আকলিমা সলঙ্গা কুমাজপুর গ্রামের শরীফুল ইসলামের স্ত্রী৷

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল ৪ টার সময় উপজেলার হাটিকুমরুল পাবনা মহাসড়কে চড়িয়া শিকার উত্তর পাড়া খেজুর তলা নামক স্থানে অজ্ঞাত ট্রাকের ধাক্কায় ২ সন্তানের জননী আকলিমা (৩২) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।

 

জানা যায় শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা গাক এনজিও থেকে টাকা নিয়ে সাইকেলে করে ফেরার সময় ট্রাকের ধাক্কায় আকলিমা খাতুন পড়ে গেলে চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যান৷ 

 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এম এ ওয়াদুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক ট্রাকটি চাপা দিয়েই ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায়৷


সড়ক দুর্ঘটনা   গৃহবধূ   এনজিও  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজশাহীর কাটাখালী পৌর সভা উপ-নির্বাচনে জয়ী সাবেক মেয়রের স্ত্রী


Thumbnail রাজশাহীর কাটাখালী পৌর সভা উপ-নির্বাচনে জয়ী একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু

রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন একমাত্র নারী প্রার্থী মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু। হেঙ্গার প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন হাজার ৩০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র আবু শামা নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন হাজার ৪৮৭ ভোট। আর মিজানুর রহমান চামচ প্রতীকে হাজার ৯১৭ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্র থেকেই ফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ৯টি কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্যমতে ভোটের এই ফল জানা গেছে।

এই নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়া মোসা. রাবেয়া সুলতানা মিতু কাটাখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্বাস আলীর স্ত্রী।

নির্বাচনে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী অংশ নেন। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম রিপন মোবাইল ফোন প্রতীকে হাজার ৩৩৯ ভোট, মোতাহার হোসেন রেল ইঞ্জিন প্রতীকে হাজার ৮৮ ভোট, সিরাজুল ইসলাম জগ প্রতীকে ৩৮৪ ভোট এবং জিয়ারুল ইসলাম ক্যারাম বোর্ড প্রতীকে ১২৭ ভোট পেয়েছেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেন ভোটাররা। তাছাড়া নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোথাও কোন গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ১৫ হাজার ৬৫০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই পৌর সভায় ভোটার ছিলেন ২৩ হাজার ৫৪১ জন। যার মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৭৭৬ এবং পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৮৮৬ জন।


পৌর সভা   উপ-নির্বাচন   ইভিএম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তীব্র দবদাহ: গরমে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আক্তার মুক্তা মারা গেছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন গোপালপুর উপজেলা পরিষদের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যুতে।

মরিয়ম আক্তার মুক্তার স্বামী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, মরিয়ম তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ভোটগ্রহণের পূর্বে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সকল পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে ৫ জুন এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতোপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদেরকে নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না।

তবে পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে এবং উক্ত পদের বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুধু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুনভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।

মরিয়ম আক্তার টানা দুবারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং সাবেক সংসদ সদস্য হাতেম আলী তালুকদারের নাতনি মরিয়ম আক্তার মুক্তা এবারও একই পদে প্রার্থী ছিলেন।


তীব্র দবদাহ   মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান   প্রার্থী   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন