নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৭ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
মানিগঞ্জের শিবালয় উপজেলার হাট - বাজার, মহাসড়ক সংলগ্ন বিড়ি সিগারেটের দোকান ও ঘাট এড়িয়ার দোকানিরা ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার( নিয়ন্ত্রণ) আইনের তোয়াক্কা না করেই অবাধে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু- কিশোরদের কাছে বিড়ি সিগারেটের বিক্রি করছেন। যাদের বেশীর ভাগেরই বয়স নয়- পনের বছরের মধ্যে। এসব শিশু- কিশোরদের মধ্যে বেশীর ভাগই সদ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেড়িয়ে যাওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী। যেখানে সেখানে পান সিগারেটের দোকান বসিয়ে অবাধে এসব শিশু- কিশোদের কাছে বিড়ি সিগারেট বিক্রির ফলে তারা ধুমপানে আসক্ত হওয়া থেকে মাদকের নেশায় ও জড়িয়ে পড়ছে এদের অনেকে। এতে করে শিশু- কিশোদের মানসিক বিকাশ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে তাদের অভিভাবকরা। এছাড়া এখানাকার সচেতন মহলের আশঙ্কা শিশু- কিশোরদের কাছে দোকানিদের বিড়ি - সিগারেট বিক্রির ব্যবস্থা এখনই বন্ধ না করা গেলে এই শিশু কিশোদের বড় একটি অংশই মাদক সেবেনের সাথে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়বে এবং এরাই এক সময় সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থার মরণব্যাধি হয়ে দাঁড়াবে।
অথচ ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ এর( ৬ক) তে উল্লেখ আছে অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক ব্যক্তির কাছে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ।
৯[৬ক- (১) উল্লেখ আছে কোন ব্যক্তি অনধিক আঠারো বৎসরের কোন ব্যক্তির নিকট তামাক বা তামাকজাতদ্রব্য বিক্রয় করিবেন না অথবা উক্ত্য ব্যক্তিকে তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিপণন বা বিতরণ কাজে নিয়োজিত করিবেননা বা করাইবেন না।
এছাড়া উল্লেখ আছে, (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে তিনি অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পুনঃ পুনঃ একই ধরনের অপরাধ সংঘটন করিলে তিনি পর্যায়ক্রমিকভাবে উক্ত দন্ডের দ্বিগুণ হাড়ে দন্ডনীয় হইবেন।
পাটুরিয়া ঘাট এলাকার এক দোকানির কাছে শিশু কিশোদের কাছে বিড়ি- সিগারেট বিক্রি করা নিষিদ্ধ এবং আইনত দন্ডনীয় অপরাধ এ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি হেসে দিয়ে বলনেন ভাই আপনার কাছে আজ প্রথম শুনলাম একথা ভাই। এছাড়া তিনি অহরহই বিক্রি করেন শিশু - কিশোর বয়সীদের কাছে কিন্তু কখনোই আইন প্রয়োগকারী কোন সংস্থার কোন প্রতিনিধিই তাকে এসব বয়সী ছেলেদের কাছে বিড়ি সিগারেট বিক্রির বিষয়ে নিষেধ বা সতর্ক কোন কিছুই করেন নাই বলে জানান তিনি।
আরিচা ঘাট এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, তারা টাকা পেয়ে মাল বিক্রি করেন এখানে কে শিশু কে কিশোর এসব দেখার সময় তার নেই। তাছাড়া এসব দেখতে গেলে ব্যবসা লাটে উঠে যাবে তার বললেন তিনি।
উথলী বাজার বাসস্ট্যান্ডের এক দোকানদার জানান, শিশু- কিশোদের কাছে বিড়ি - সিগারেট বিক্রির বিষয়ে আমাদেরকে জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কেউ নিষেধ করেনি বা এ বিষয়ে আইন আছে কিনা তাও জানিনা আমরা। তবে সরকার যদি আইন করে আর আইনের কঠোর প্রয়োগ করে তাহলে আমরাও শিশু- কিশোদের কাছে আর বিড়ি সিগারেট বিক্রি করবনা।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক এ বিষয়ে জানান, শিশু-কিশোরদের কাছে যেসব ক্ষুদ্র- পান-বিড়ি- সিগারেট ব্যবসায়ীরা এগুলো বিক্রি করবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে সরকারের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। শুধু আইনের কঠোর প্রয়োগই পাশাপাশি এসব দোকানিরা যাতে করে শিশু- কিশোর বয়সীদের কাছে বিড়ি সিগারেট বিক্রি না করে সে বিষয়েও তাদের সচেতন করতে হবে। এছাড়া স্কুল - কলেজের পাশে গড়ে উঠা দোকানগুলোতে কোন ভাবেই যেন বিড়ি- সিগারেট বিক্রি না করতে পাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ জানান, চলতি মাসে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট বাজার গুলোতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন ব্যক্তির নিকটে তামাকজাত দ্রব্য বিড়ি- সিগারেট বিক্রয় করা না হয় সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ কেউ দিলে সেখানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।