নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২১ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
রাজধানী শহর ঢাকায় নাগরিকদের বিনোদনের জন্য যতগুলো পার্ক আছে তার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান একটি। ইতিহাস-ঐতিহ্যের জ্বলন্ত সাক্ষী আর গাছ-পালা বেষ্টিত এই নগর উদ্যানে। প্রতিদিন কম করে হলেও দশ হাজার দর্শনার্থী আসেন এখানে ঘুরতে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ-তরুণী আর শিশুদের সংখ্যা বেশি হলেও নানা বয়সী মানুষই এখানে আসেন। ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে হয় কয়েক গুন। আজ মঙ্গলবার আশুরার সরকারী ছুটিতে দুপুরের পর থেকেই বাড়তে থাকে দর্শনার্থীর সংখ্যা। অবকাশ বা সুস্থ্য বিনোদনের জন্যে আসা এসব দর্শনার্থীরা কি সন্তুষ্টি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন পার্ক দর্শণ শেষে?
সরেজমিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, টিএসসি এলাকা হয়ে উদ্যানের ভেতরে ঢোকার আগেই চোখে পড়ে মূল ফটকের দুই পাশে অস্থায়ী ভাতের হোটেলসহ চা, সিগারেট ও ভাঁজা-পোড়ার দোকান। এসব দোকান মাড়িয়ে উদ্যানের ভেতর প্রবেশ করাই যেন ছোট-খাট একটা যুদ্ধের সমান। ভেতরে ঢুকলেই বাতাসের সাথে নাকে এসে লাগবে দুর্গন্ধ। ডান পাশ ধরে হাটতে থাকলে কিছু দূর পরেই চোখে পড়বে মুক্তমঞ্চ। সেখানে দিন রাত মানুষ থাকে। মুক্ত মঞ্চের ভেতরে এসে দাড়াতেই নাকে লাগবে গাঁজার গন্ধ। বিভিন্ন দলে দলে ভাগ হয়ে সেখানে গাজা সেবন করছেন অনেকেই। এর মধ্যে এক দম্পতি তাদের ছোট্ট সন্তানকে ঘুরতে নিয়ে এসে সেখানে ঢুকে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতেই পড়লেন বলে মনে হয়।
শুধু মুক্তমঞ্চের ভেতরে নয় বাহিরেও চলে অবাধে গাঁজা সেবন এবং সেখানে খুচরা গাঁজা বিক্রিও করা হচ্ছে দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশের চোখ ফাঁকি। খোজ নিয়ে জানা যায়, সেখানে এক সময় প্রকাশ্যেই গাঁজা বিক্রি করত মালতি নামে এক মহিলা। গাঁজা বিক্রির অপরাধে তাকে বেশ কয়েকবার জেলও খাটতে হয়েছে। জেল থেকে বেড়িয়ে এসে কিছুদিন ভালো ছিলেন তারপর আবার গাঁজা বিক্রি করেছেন।
এছাড়া কালী মন্দিরের পেছনটায়ও নিয়মিত নেশার আসর বসাসহ সংঘটিত হয় নানা অনৈতিক কর্মকান্ড। উদ্যানের ভ্রাম্যমান চা বিক্রেতা শরিফের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যা সাতটার পরে এখানে কোন দর্শনার্থী থাকা নিষেধ। তাই সন্ধ্যা হতে হতেই এই জায়গা খালি হয়ে যায়। তখন এক নতুন রুপে আবির্ভাব হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। শরীফ আরো জানান, সন্ধ্যার পরে কালী মন্দিরের পেছনে পতিতা নারীদের আনাগোনা শুরু হয় এবং খদ্দের পেলে সেখানেই করেন তারা অনৈতিক কর্মকান্ড।
এদিকে উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, একুশে বই মেলার সময় অস্থায়ীভাবে তৈরী করা টয়লেটগুলো এখনো সেখানে রয়ে গেছে, নিয়ে যাওয়া হয়েছে শুধু টিনের কাঠামো। বাকি রিঙ, স্ল্যাব আর গর্ত রয়ে গেছে সেভাবেই। সেসব গর্তে দিনে এক-দুইজন দর্শনার্থী পড়ে আহত হন বা শুকনো মল গায়ে মেখে যাওয়ায় পড়েন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।
হাটতে হাটতে যখন আপনি শিখা চিরন্তনের সামনে গিয়ে পৌছুবেন ঠিক তার আগে বাম পাশে রাধাচূড়া,কৃষ্ণচূড়াসহ জারুল গাছের ছায়া বেষ্টিত বিশাল জায়গা চোখে পড়বে। সেসব গাছ থেকে নাম জানা,অজানা অনেক পাখির ডাক আপনাকে মুগ্ধ করবে। কিন্তু সেই ছায়া ঘেড়া নীবির পরিবেশে আপনি গিয়ে বসতে পারবেন না। ছায়া ঘেড়া সম্পুর্ন জায়গা জুরে ছোট ছোট ঢিবির মতো করে ফেলে রাখা হয়েছে লাল মাটি। ছায়া ঘেরা ওই জায়গার আগে আছে একটা বিশাল খাল। যেটায় ফেলা হয় ময়লা আর সারা দিন আগুন লাগিয়ে রাখা হয়। ময়লা পচা ও পোড়ার গন্ধে মাঝে মাঝে ওই খালের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। এবার ডান পাশে নজর দিলেই চোখে পড়বে অনেক বড় কিন্তু অগভীর পুকুর। সেই পুকুরের মাঝে সুউচ্চ গ্ল্যাস টাওয়ার। ওই গ্ল্যাস টাওয়ারকে বলা হয় স্বাধীনতা স্তম্ভ। ঠিক এই জায়গাটাতেই দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এই স্মৃতি স্তম্ভ্য ঘিরে যে লেক করা হয়েছে সেটিতে দর্শনার্থীদের ফেলানো বিভিন্ন ময়লা পরিবেশ দূষণ করছে। স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশেই রয়েছে স্বাধীনতা জাদুঘর। খুব অল্প মূল্যে সেখান টিকেট সংগ্রহে জেনে আসা যায় দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের আদি-অন্ত।
শিখা চিরন্তন এলাকাটা বেশ পরিপাটি মনে হলেও তার পাশের টিলাতেই বসে নিয়মিত মাদকের আড্ডা। চোখে পরে পার্কে ঘুরতে আসা অনেকের উপরেই হিজড়ারা চালায় চাঁদাবাজি। ঘুরতে আসা প্রেমিক যুগল থেকে শুরু করে বিবাহিত দম্পতিরাও বাদ যায় না এদের হাত থেকে। পার্কে ঘুরতে আসা নব্য বিবাহিত আদনান-অন্তরা দম্পতি জানান, হিজড়াদের কারণে অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় মাঝে মধ্যেই। তারা অনেক টাকা দাবি করে বসে। না দিলে, বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে। এরা একটা উৎপাতে পরিনত হয়েছে।
উদ্যানে সার্বক্ষনিক বেশ কিছু পুলিশ ও আনসার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। এসব অনিয়ম ও দুর্ভোগ নিয়ে কথা হয় দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্যের সাথে। তিনি বলেন, আগের থেকে উদ্যানের পরিবেশ অনেক ভাল এখন। পরিবেশগত সমস্যার ব্যপারটায় আমরা কিছু করতে পারবো না। তবে, মাদক বিক্রির ব্যাপারটা আমাদের চোখে পড়ে না। চোখে পড়লে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবৈধভাবে বসা খাবার হোটেল ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব দোকান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়ে বসানো হয়। মাস বা সপ্তাহে তাদের দেওয়া হয় নির্দিষ্ট পরিমান টাকা। তারাই প্রসাশনসহ অন্যান্যদের ম্যানেজ করে রাখে। এই জন্য কোন ঝামেলা হয় না।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টায় হিজরি ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করবেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওইদিন প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ বিমানটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। একই দিন দুপুর ১টায় সৌদি আরবের ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বাংলাদেশি হজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজারের বেশি হাজী হজ পালন করবেন।
মন্তব্য করুন
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী আজ বুধবার (৮ মে)। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে এবং ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে ‘গুরুদেব’, ‘কবিগুরু’ ও ‘বিশ্বকবি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়।
বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়।
তার লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গান বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার অনেক কবিতা ও গান ছিল সীমাহীন প্রেরণার উৎস।
রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। কবির গান-কবিতা এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধেই শুধু নয়, আমাদের প্রতিটি সংগ্রামে চিরকালই কবির রচনাসমূহ প্রাণের সঞ্চার করে।
সোমবার (৮ মে) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করছে তার অগণিত ভক্ত। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষীরা কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করছে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও পরম শ্রদ্ধায়। এবার জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সমাজ সংস্কার ও রবীন্দ্রনাথ।’
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কবি গুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল সকাল ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ব কবির ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান মালার উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ছায়ানটের রবীন্দ্র-উৎসব ২৫ ও ২৬ বৈশাখ (৮ ও ৯ মে) ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন অনুষ্ঠান আরম্ভ হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
এ ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমিও আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মবার্ষিকী
মন্তব্য করুন
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এ ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট উৎসব শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
উপজেলা নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক কোন উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপি। বিএনপি দলীয় ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তবে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিভিন্ন উপজেলায় নির্বাচন করছেন বিএনপির তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতারা। ফলে সেটি একটি আলাদা উত্তাপ ছড়িয়ে উপজেলা নির্বাচনে। যা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করেছে। কোথাও কোথাও সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এবার দলীয় কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না করা যায় এ জন্য সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ নিতে মানা করা হয়েছে। যদিও দলীয় নির্দেশনা না মেনে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের অনেক স্বজনই ভোটের মাঠে আছেন।
ইসি জানায়, প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে তিন কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ এক কোটি ৬০ লাখ দুই হাজার ২২৪, নারী এক কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হবে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮জন প্রার্থী ইতিমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
ইসি জানায়, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ উপজেলার তিন পদে সকলে নির্বাচিত হয়েছে। তাই ওই পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। উপজেলাগুলো হলো, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা, মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় পাঁচটি উপজেলার সব পদের প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।
মন্তব্য করুন
এভিয়েশন শিল্প যুক্তরাজ্য বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী আজ বুধবার (৮ মে)। ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে এবং ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে ‘গুরুদেব’, ‘কবিগুরু’ ও ‘বিশ্বকবি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়।
এবার জাতীয় সংসদে তোপের মুখে পড়লেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। কারও নাম উল্লেখ্য না করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন একজন সদস্য সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে ৩৪৯ জন এমপির জন্য মর্যাদাহানিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্পিকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।