নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। নাম সাদ্দাম হুসাইন (২২), বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইনে। বাবার নাম মৃত সাহেদ মিয়া। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সদর থানা পুলিশ বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়ার জঙ্গল বাজার থেকে তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ বেশকিছু টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
সাদ্দাম হুসাইন জানান, তারা কয়েকজন মিলে এই প্রতারণা করতেন। প্রথমে তারা বিকাশের দোকান থেকে ক্যাশ আউটের নম্বর সংগ্রহ করেন। পরে ফোন দিয়ে দিনে ৪/৫ জন গ্রাহককে বলতেন আপনার নম্বরে ভুলে টাকা গেছে। ফেরত না দিলে অভিযোগ দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হবে। অ্যাকাউন্ট চালু করতে বিকাশ হেড অফিস থেকে আপনাকে ফোন দিয়ে একটি পিন নম্বর চাইবে। তখন পুনরায় আপনার অ্যাকাউন্ট খুলতে তাদের দেয়া পিন বলবেন। তাহলে অ্যাকাউন্ট সচল হয়ে যাবে।’ তখন বিকাশ গ্রাহক ও তারা উভয়েই ওই অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারেন। সেই সুযোগে তারা গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেন।
তিনি আরও জানান, দুই বছর ধরে এ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মী, প্রতিমাসে এভাবে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আয় করেন। আর যাদের নির্দেশে কাজ করেন তাদের মাসে আয় হয় লাখ লাখ টাকা। এ কাজে তাদের এলাকার প্রায় ৯০ ভাগ যুবক জড়িত।
রাজবাড়ী সদর থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেছেন, বিকাশ প্রতারক চক্র সদর উপজেলার বরাটের এলাকার আমিরুল ইসলামের ৭৭ হাজার ৪৪৩ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে- এমন মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকার বিকাশ হেল্প সেন্টারে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ওই টাকা চট্টগ্রাম ও ঝিনাইদাহের দুটি নম্বরে ক্যাশআউট করা হয়েছে। পরে এসব স্থানে খোঁজ নিয়ে তার নেতৃত্বে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রাজবাড়ী বালিয়াকান্দির নারুয়ার জঙ্গল বাজারে অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হুসাইন নামে বিকাশ প্রতারক চক্রের একজনকে ১০ হাজার ২০০ টাকাসহ আটক করে। তার বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে এই কর্মকর্তা।
বাংলা ইনসাইডার/বিকেডি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।