নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ জানুয়ারী, ২০২০
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস ইতিমধ্যে তার ব্যবধান বাড়াচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণে তাপস জ্বর শুরু হয়েছে। একাধিক কারণে তাপস তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনের মাঠে প্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। নির্বাচন এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসমস্ত কারণে তাপস এগিয়ে রয়েছে তার মধ্যে;
তাপসের ব্যক্তিত্ব
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাপস একজন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত। তার চেহারা পোষাক এবং বাচনভঙ্গির মধ্য দিয়ে পরিমার্জিত পরিমিত অবয়ব ফুটে উঠেছে। এজন্য ভোটাররা সহজেই তার ওপর আস্থা স্থাপন করছেন। সহজেই তাকে পছন্দ করছে।
তাপসের অতীত ট্রাক রেকর্ড
সাধারণ ভোটাররা মনে করেন তাপস যেটা বলেন সেটা করেন। তিনবারের নির্বাচিত এমপি হয়ে তিনি ধানমন্ডিতে সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যার ফলে ভোটারদের মধ্যে একটি আস্থা স্থাপন করতে পেরেছেন। এ কারণে দক্ষিণের ভোটাররা তাপসমুখী হচ্ছেন।
দুর্নীতিমুক্ত ক্লিন ইমেজ
তিনবারের এমপি হলেও রাজনীতিতে তাপসকে কোন দুর্নীতি বা অনিয়ম স্পর্শ করেনি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারা ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ আছেন তাদের মধ্যে তাপস একজন। এ কারণেই তাপসের ব্যাপারে একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরী হয়েছে ভোটারদের মধ্যে।
বিতর্কিত ব্যক্তিদের সঙ্গে না নেওয়া
তাপস তার নির্বাচনী প্রচারণা করছেন অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। নির্বাচনে নূন্যতম বিতর্ক আছে এমন কাউকে সুযোগ দিচ্ছে না। তার আশেপাশে কোন বিতর্কিত ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে না। যার ফলে তাপসের পক্ষে ভোটারদের সাড়া পড়ছে।
তাপসের নির্বাচনী কৌশল
তাপস নির্বাচনী কৌশল নিয়েছেন অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং সুবিন্যাস্ত। প্রত্যেক এলাকায় যে আলাদা আলাদা আলাদা সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করেছেন এবং সেই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে তাপস ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। এ কারণেই ভোটাররা বুঝতে পারছেন তাপস এলাকা সম্বন্ধে ওয়াকিবহল এবং তিনি সুনির্দিষ্ট কাজগুলো করতে পারবেন। আর এই কৌশলের ফল ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস।
দলে প্রভাব
আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় আছে। সাধারণ মানুষ জানে ক্ষমতাসীন দল ছাড়া যদি অন্য কোন মেয়র নির্বাচিত হয় তাহলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাধাগ্রস্থ হবে উন্নয়ন কর্মকান্ড। আবার মেয়র যদি প্রভাবশালী নেতা না হয় তাহলে উন্নয়ন কর্মকান্ড তেমন হয় না। যেমন অতীতে দক্ষিণ সিটিতে যা হয়েছে। এদিক থেকেও তাপস সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন। তাপস আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা এটা সবাই জানেন। যে কারণে ভোটাররা তাপসের ব্যাপারে অনেক বেশি ইতিবাচক।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের স্বতস্ফূর্ততা
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাপসকে জেতানোর জন্য জোর প্রচারণা চালাচ্ছে। কারণ তাদের অতীত অভিজ্ঞতা হলো তাপস কোন গ্রুপিং করে না। তিনি আওয়ামী লীগের তাপস হিসেবেই পরিচিত। সকল নেতাকর্মীরা একজোট তাপসকে জেতানোর জন্য।
এসব কারণেই তাপস ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, যদি নাটকীয় যদি কিছু না ঘটে তাহলে নির্বাচনের আগেই ঢাকা দক্ষিণে অনুমিত ফলাফলই পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।