নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ২৭ জুন, ২০১৭
এক সময় প্রচণ্ড দাপট ছিল, কিন্তু এখন তাঁরা যেন হারিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের এমন নেতার সংখ্যা কম না। বিভিন্ন সময়ে এরা দলের নীতি নির্ধারক হয়ে উঠেছিলেন কিন্তু পরে দলে থেকেও যেন দলে নেই।
এরকম নেতাদের মধ্যে প্রথমেই নাম আসে এইচ টি ইমামের। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি ছিলেন দলের দ্বিতীয় ব্যক্তি। শেখ হাসিনার পরই তাঁকে ক্ষমতাবান মনে করা হতো। নির্বাচনে মনোনয়ন থেকে আমলাদের পদোন্নতি-সব ব্যাপারে তাঁর পরামর্শই ছিল মূখ্য। নেতারাও ভিড় করতেন তাঁর বাড়িতে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে উঠতে থাকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ। ২০১৪ সালের পর তাঁর ক্ষমতার খুটি যেন আলগা হয়ে যায়। জনপ্রশাসন উপদেষ্টা থেকে হন রাজনৈতিক উপদেষ্টা। দলে তীব্র সমালোচিত হয়ে এখন একরকম আড়ালেই থাকেন।
এইচ টি ইমামের চেয়েও আড়ালে গেছেন ৯৬, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডা. এম. এ. মালেক। শেখ হাসিনার ঘনিষ্টজন ছিলেন তিনি। শেখ হাসিনার আস্থা হারালে তিনিও একাকী হয়ে পরেছেন। এখন কলাম লেখেন, বাসায় ডাক্তারি করেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে প্রায় হারিয়েই গেছেন।
ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। হঠাৎ করে ২০১৪ তে নিউইয়ার্কে ধর্ম নিয়ে কিছু কথা বললেন। এসব কথা রটনাকারীদের হাতে ডালপালা পেলো। মন্ত্রীত্ব হারালেন, দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন। এক সময়ের এই দাপুটে নেতা এখন বই পড়েই সময় কাটান।
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ সাধারণ সম্পাদক ভাবা হতো তাঁকে। গোপালগঞ্জ থেকে বেড়ে উঠা মকুল বোসের বিভ্রম হলো ওয়ান-ইলেভেনে। তিনি হয়ে গেলেন সংস্কারপন্থী। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা হালকা ধোলাই দিল। আর দলে তাঁর পতন হলো শেয়ার মার্কেটের ধসের মতো।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। জ্ঞানী, বুদ্ধিদীপ্ত মেধাবী নেতা হিসেবে তার সুনাম ছিলো। বঙ্গবন্ধু গবেষক ছিলেন। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনে তিনি মাইনাস ফর্মুলা প্রবর্তন করলেন। নেত্রী মাইনাস না হলেও দল থেকে তিনিই মাইনাস হয়ে গেলেন। এখন গবেষণা করেন। কেউ ভুলেও তাঁর সাথে দেখা করেন না।
এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের নেতাদের তালিকায় আছে আবুল হাসান চোধুরী, মোনায়েম সরকার, নুরুল ফজল বুলবুল।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারি চাকরি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের খুবই আশঙ্কা রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপীই এই কৌশল অনুসরণ করা হয়। সেটা হলো বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় যেন মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। যদি বাইরে থাকে তবে গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যেন না থাকে।
চলমান দাবদাহের বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে সোমবার থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন। রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে।