নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ২৬ জানুয়ারী, ২০২০
ব্যক্তিগত অস্ত্র নিয়ে কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। এটি আচরণবিধির পরিপন্থি। আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি প্রার্থীর লোকজনই আওয়ামী লীগের ওপর হামলা করেছেন বলে অভিযোগে করেছেন ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস। এ সময় তিনি মেয়রপ্রার্থীর ওপর কোন হামলা হলে তার নিন্দা জানান।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সবুজবাগ থানার মায়াকানন এলাকায় নির্বাচনি গণসংযোগকালে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
‘মেয়র নির্বাচিত হলে গণপরিবহন নিয়ে কি পরিকল্পনা রয়েছে’- জানতে চাইলে তাপস বলেন, ‘সচল ঢাকার রূপরেখায় গণপরিবহন ঢেলে সাজানো হবে। প্রতিটি সড়ক বিন্যাস করা হবে। সড়কে দ্রুতগতির, ধীরগতির ও ঘোড়ার গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনের জন্য আলাদা লেন করা হবে। এক কথায় সড়ক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসবে।’
কথা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করে মাদক প্রতিরোধ করব। কেননা মাদক তরুণ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে ঢাকাবাসী উন্নত ও আধুনিক ঢাকা গড়ার পক্ষে নৌকায় রায় দেবে। আমরা পুরো ঢাকায় চষে বেড়াচ্ছি। বিপুল গণজোয়ার দেখছি। ঢাকাবাসীর মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাব লক্ষ্য করছি। জনগণ উন্নত ঢাকার পক্ষে রায় দিয়ে নবসূচনা সৃষ্টি করবে।’
ইভিএম নিয়ে বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইভিএম ভোট দেওয়ার আধুনিক পদ্ধতি। এটি নিয়ে ঢাকাবাসীর কোনো শঙ্কার কথা শুনিনি। তারা সাদরে এটি গ্রহণ করেছে। সেইসঙ্গে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করার কথা বললেও সেটি ভুল। ইশরাকের অভিযোগ সম্পূর্ণ অমূলক। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে তিনি যে সুবিধা পাচ্ছেন আমিও সেই সুবিধা পাচ্ছি।’
গণসংযোগের সময় যুব মহিলা লীগের সভাপতি অপু উকিলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।