ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপসের ইশতেহার: ৫ রূপরেখায় যত প্রতিশ্রুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২০


Thumbnail

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস তার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা নাগাদ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাপস তার ইশতেহার ঘোষণা করেন। 

পাঁচটি মূল বিষয়কে সামনে রেখে তাপস তার নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করেছেন। এগুলো হলো ঐতিহ্যর ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, স্বশাসিত ঢাকা এবং উন্নত ঢাকা। এ পাঁচটি রূপরেখার আওতায় তাপসের প্রতিশ্রুতিগুলো এখানে তুলে ধরা হলো-

ঐতিহ্যের ঢাকা

চারশত বছরের পুরনো এ শহরের ঐতিহ্যের কথা জানিয়ে তাপস তার প্রতিশ্রুতিতে বলেছেন, ‘ঢাকার রয়েছে নিজস্ব ইতিহাসের উজ্জ্বল ছবি, ঐতিহ্যের গভীর শেকড় ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব। পর্যটনের জন্যও হতে পারে অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এখানে ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদও অনন্য। সাংস্কৃতিক ধারায় রয়েছে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আয্হা, পহেলা বৈশাখ, ঘুড়ি উৎসব, চৈত্র সংক্রান্তি-সহ অজস্র উৎসব।’

তিনি বলেন, ‘আমি র্নিবাচিত হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকাকে ‘ঐতিহ্য প্রাঙ্গন’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সকলকে নিয়ে সমন্বিত প্রয়াসে যাদুঘর ও আর্ট গ্যালারি নির্মাণ ও প্রদর্শনীসহ নগরীর ঐতিহাসিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্থাপনা সংরক্ষণে মহাপরিকল্পনা ও সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করে ঢাকা-কে তার স্বকীয় গৌরবে সাজিয়ে তুলে ধরবো বিশ্ব দরবারে।’ 

সুন্দর ঢাকা

বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা দুই নদীর অববাহিকার ঢাকার মতো শহর পৃথিবীতে বিরল জানিয়ে সুন্দর ঢাকা গড়ে তোলার কথা প্রতিশ্রুতিতে তাপস বলেন, ‘সুন্দর ঢাকা গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উদ্যান নির্মাণ, সবুজায়ন, ছাদবাগানে উৎসাহ, পরিবেশ বান্ধব স্থাপনা বৃদ্ধি, বায়ু ও শব্দ দূষণ রোধ করাসহ শরীর ও চিত্তবিনোদনের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, শরীর চর্চা কেন্দ্র এবং নারী-শিশু ও প্রবীণদের জন্যে হাঁটার উন্মুক্ত স্থান, আধুনিক মানের কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থা। সর্বসাধারনের সুবিধার্থে সাধারণ ও ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের ব্যবস্থা। দুঃস্থ-অসহায়দের কল্যাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও বস্তি উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীর অন্তর্ভূক্ত করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘নির্মাণাধীন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাসগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন, নতুন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস নির্মাণ ও তাদের নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হবে। খালগুলোর অবৈধ দখল উচ্ছেদ-খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, প্রয়োজনীয় সংখ্যক নর্দমা নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, ও জলাধার সংরক্ষণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দৈনন্দিন ভিত্তিতে সড়কের উপর উন্মুক্ত আবর্জনার  স্তুপ অপসারণ করা হবে। সড়ক থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকাটিকে সবুজায়ন, শিশুপার্ক, থিয়েটার হলসহ পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। র্দীঘমেয়াদি পরিকল্পনায় বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার পাড় ঘিরে বনায়ন, বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনসহ ব্যাপক সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যেমে সুন্দর ঢাকা গড়ে তুলবো।’ 

সচল ঢাকা

যানজটের কারণে রাস্তায় চলাচল হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ জানিয়ে তাপস বলেন, ‘বিশেষ করে কর্মজীবী নারীদের বিড়ম্বনা অপরিসীম। গণপরিবহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও সুব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিছু রাস্তায় দ্রুত গতির যানবাহন, কিছু রাস্তায় ধীর গতির যানবাহন, আবার কিছু রাস্তায় শুধু মানুষ হাঁটার ব্যবস্থা করবো। নদীর পাড়ে থাকবে সুপ্রস্ত রাস্তা, যেখানে পায়ে হেঁটে চলা যাবে, চালানো যাবে সাইকেল, চলবে রিক্সা ও ঘোড়ার গাড়ি। দ্রুতগামী যানবাহনের জন্য থাকবে আলাদা পথ, থাকবে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা। রাস্তা পারাপারের সুব্যবস্থাসহ নগর ঘুরে দেখার জন্য থাকবে ‘হপ অন হপ অফ’বাস সেবা। থাকবে প্রয়োজনীয় সড়ক বাতি ও উন্নত প্রক্ষালণ কক্ষ। হকারদের তথ্যভান্ডার গঠন করে তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। এভাবে গড়ে তুলবো আমাদের সচল ঢাকা।’ 

সুশাসিত ঢাকা

তাপস বলেন, ‘ঢাকায় একসময় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ছিল। মাদক নির্মূল, জুয়া, কিশোর অপরাধসহ নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়জনিত বিভিন্ন অপরাধ রোধসহ এলাকাভিত্তিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কার্যকর ও সংশোধন কেন্দ্র নির্মাণ করবো। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন হবে বাংলাদেশে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম দুর্নীতি মুক্ত সংস্থা। বছরের ৩৬৫ দিন, সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘন্টা নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য খোলা থাকবে। মশকের প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস, মশক নিধনে দৈনন্দিন ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাসপাতাল-ডিসপেনসারি ও প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র্র স্থাপনসহ মাতৃসদন, পরিবার পরিকল্পনা, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংখ্যক কারিগরি-ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’

কোনো ধরনের গৃহ কর বৃদ্ধি করা হবে না জানিয়ে তাপস বলেন, ‘গৃহকর বৃদ্ধি হবে না। হত-দরিদ্র সন্তানসন্ততির শিক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের শিক্ষা, বিনোদন ও চিকিৎসা সেবায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে ফায়ার হাইড্রান্ট নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পাড়া-মহল্লায় অগ্নি নির্বাপন গাড়ি প্রবেশের কার্যকর পদক্ষেপসহ প্রয়োজনে নিজস্ব দমকল বাহিনী গঠন করা হবে। বছরের একটি সময় নির্দিষ্ট করে ঢাকার উন্নয়ন ও সেবার সাথে জড়িত সংস্থার কাছে তাদের বাৎসরিক কাজের চাহিদাপত্র আহ্বান করা হবে। কর্পোরেশন কোনো রাস্তা নির্মাণের পরে অন্তত তিন বছরের মধ্যে অন্য সংস্থা ওই রাস্তা খনন করতে পারবে না। আইন, বিধি ও নীতিমালার কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে ঢাকা’র উন্নয়ন ও সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সিটি কর্পোরেশনের নিকট সমন্বিতভাবে দায়বদ্ধ করা হবে।’

ওয়ান স্টপ সার্ভিস ডেস্ক স্থাপন করার কথা জানিয়ে নৌকার এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘সপ্তাহের এক দিন নগরবাসী মেয়রের সাথে আলোচনার সুযোগ পাবেন। দায়িত্ব গ্রহণের ৯০ দিনের মধ্যেই মৌলিক সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ্।’ 

উন্নত ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী ঢাকাকে উন্নতরূপে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাপস বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ এর ‘রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে উন্নত রাজধানী তথা উন্নত ঢাকা গড়ে তোলার বিকল্প নাই। অনেক সময় হয়তো পেরিয়ে গেছে; কিন্তু সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। পাঁচ বছর মেয়াদী বিভিন্ন প্রকল্পসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে ত্রিশ বছর মেয়াদী মহা-পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে নগরীর উন্নতি সাধন, ইমারত নির্মাণ, ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভূমি অধিগ্রহণ, নগর পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের জনগণের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণসহ প্রত্যেকটি সড়ক ও নর্দমার উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মান নিরূপণ করে অন্তত দশ বছর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা হবে। ক্রমবর্দ্ধমান জনসংখ্যার চাপ বিবেচনায় নিয়ে জমির যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য সুব্যবস্থাসহ ছাত্র ও কর্মজীবী মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক হোস্টেল গড়ে তোলা হবে।’ 

সকল সেবা অনলাইন ভিক্তিক করার কথা জানিয়ে তাপস বলেন, ‘জনগণকে প্রদেয় কর্পোরেশনের সকল সেবা যথা- বাণিজ্য লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধনপত্র, প্রত্যয়নপত্র, গৃহকর, আনুষাঙ্গিক অন্যান্য কর সমূহ তথ্য প্রযুক্তিগত সেবার আওতায় আনা হবে। সকল ক্ষেত্রে অনলাইন সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। ঘরে বসেই কর এবং নির্ধারিত ক্ষেত্রে ফি পরিশোধ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। কর্পোরেশন পরিচালনায় তথ্য প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাপনা প্রচলন করা এবং প্রতিটি ওয়ার্ডকে এর আওতাভুক্ত করা হবে।’

নাগরিক সেবায় ২৪ ঘন্টা হেল্প লাইন সেবা থাকবে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘২৪ ঘন্টা হেল্পলাইন এবং নাগরিক সেবা ও সমস্যা, সমাধানে প্রয়োজনীয় তথ্যসমৃদ্ধ নগর অ্যাপ চালু করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ই-লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা। নগর ভবনে নিয়ন্ত্রণকক্ষ রেখে বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও ফ্রি ওয়াইফাই দেয় হবে। পর্যায়ক্রমে এসব বাস্তবায়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যসূচি গ্রহণ করা হবে। সর্বোপরি সিটি কর্পোরেশনের কার্যপরিধির আওতায় সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে সমন্বিত প্রয়াসে আমাদের উন্নত ঢাকা গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ঢাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির আলিঙ্গনে, নানা গোত্র-বর্ণের সাংস্কৃতিক গৌরবময়তা ও ঐতিহ্যে মন্ডিত ঢাকা। এই ঢাকাতে জন্মেছি, বড় হয়েছি, সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়েও স্বপ্ন দেখি এই ঢাকা-কে ঘিরে। ঢাকা বলতে আমার বেড়ে ওঠা এই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকাকেই বুঝি। ব্যথাতুর হীম বুকে তাকিয়ে দেখি, এখানেই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কালো রাতে স্বপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সাথে হারিয়েছি আমার বাবা-মাকে। কিন্তু বিগত দিনে এখানেই পেয়েছি স্নেহ-ভালবাসা-বন্ধন। এই ভালবাসাকে পুঁজি করেই, স্বপ্নের উন্নত ঢাকা’র পথ চলায় আপনার আস্থা ও সমর্থন-ই আমার পাথেয়।’

ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ।

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার উপজেলায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই-ভাগ্নের মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ মে) তারা মনোনয়ন দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহানা আক্তার। 

এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী হয়নি।

৪র্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।

উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই মুক্তি পাচ্ছেন।

তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এমন খবরে সেখানে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

হেফাজতে ইসলাম   মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজশাহীতে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মে) থেকে প্রতীকী এই বিয়ের আয়োজন করা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল পশ্চিম আদিবাসীপাড়ায়। এ গ্রামের বাসিন্দারা সাঁওতাল। তবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। সাঁওতালি রীতিনীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

গ্রামের একমাত্র চার্চের শিক্ষক অঞ্জলী বিশ্বাসসহ কয়েকজন ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন। এ জন্য বুধবার বিকেলে তারা গ্রামের এক শুকনো পুকুরপাড় থেকে একটি ছেলে ব্যাঙ ও একটি মেয়ে ব্যাঙ ধরে আনেন। তারপর সন্ধ্যায় গ্রামের চার্চে সাজানো ছাতনাতলায় বর ও কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিয়েতে বরের নাম রাখা হয় শিমুল। আর কনের নাম মেঘলা বিশ্বাস। গায়ে হলুদের পর কনেকে রাখা হয়েছিল গ্রামের আলফন্স বিশ্বাসের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের নারী ও শিশু-কিশোরীরা নেচে-গেয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। এরপর সবাই লাইন ধরে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের আশীর্বাদ নিয়ে বরযাত্রী হিসেবে বর নিয়ে রওনা দেয়। সঙ্গে যান বরের প্রতীকী বাবা সৈকত বিশ্বাস আর প্রতীকী মা ভাবনা বিশ্বাস নামের দুই শিশু।

আলফন্স বিশ্বাসের বাড়ি গেলে বরের বাবা-মায়ের পা ধুইয়ে দেওয়া হয় পানি দিয়ে। তারপর সবাই বাড়িতে কনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কনে সাজানো শেষ হলে অঞ্জলী বিশ্বাস পুরোহিত সেজে বর-কনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর বর শিমুলের হাত দিয়ে কনে মেঘলার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার পর শেষ হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। পরে বর-কনেকে একটি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিয়ের আয়োজক অঞ্জলী বিশ্বাস বলেন, ‘টানা খরায় পথঘাট পুড়ে যাচ্ছে। সব ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। পশুপাখি ও অন্যান্য প্রাণি কষ্ট পাচ্ছে পানির অভাবে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী দুই কোলা ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো।’

বৃষ্টি   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন