নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩১ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের ছেড়ে দেওয়া আসনটির নির্বাচন জমে ওঠেছে। ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০ জন। মোট ১০ জন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। তবে এদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ফরম বিতরণ ও জমাদান শেষে ফরম বিতরণ ও জমাগ্রহণ সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ফরম বিতরণ শুরু ও জমা প্রদানের আহ্বান করে আওয়ামী লীগ।
এর আগে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের পক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী হিসাবে ঢাকা-১০ আসন থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। ইতোমধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসি নির্বাচনে তিনি বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে পরাজিত করে মেয়র পদে বিজয়ী হন।
একাদশ জাতীয় সংসদে শূন্য হওয়া তিনটি আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ৬ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মার্চ গাইবান্ধা-৩, বাগেরহাট-৪ ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আসন তিনটিতে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থীদের আপিল দায়ের ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ২৯ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ ১ মার্চ এবং ভোট গ্রহণ হবে ২১ মার্চ।
এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ আরও দুইটি সংসদীয় উপ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মাঝে ফরম বিতরণ শুরু করে আওয়ামী লীগ।
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
ঢাকা-১০ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন মেজর ইয়াদ আলী ফকির, মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন (এফবিসিসিআই), অ্যাডভোকেট বশির আহমেদ, আদম তমিজী হক, ড. আব্দুল ওয়াদুদ, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, মো. কুদ্দুসুর রহমান, এ এস এম কামরুল আহসান, কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, মো. সাঈদ খোকন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।