নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সদ্য বহিষ্কৃত নেতা শামীমা নূর পাপিয়া জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পাপিয়া আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে বলেছেন যে, যুব মহিলা লীগের তিন নেতাকে তিনি নিয়মিত উপঢৌকন দিতেন। বিভিন্ন পালা-পার্বণে তাদেরকে তিনি কোটি কোটি টাকার উপহার দিয়েছেন। এ কারণেই নরসসিংদী যুব মহিলা লীগসহ নরসিংদী আওয়ামী লীগ পাপিয়ার বিরুদ্ধে যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে অভিযোগ করার পরও তারা আমলে নেননি।
জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া বলেছেন, যুব মহিলা লীগের নেতারা ছিলেন পাপিয়ার ভ্যানিটি ব্যাগে। পাপিয়া তাদেরকে যেভাবে বলতেন, সেভাবেই তারা কাজ করতেন। পাপিয়া ছিলেন তাদের কাছে খুবই প্রিয়জন। কারণ যখন যা দরকার হতো, সবকিছুই পাপিয়া তাদেরকে দিতেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পাপিয়া দাবি করেছেন যে, যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন কর্মসূচীতে তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা ডোনেশন দিতেন। তাছাড়া যুবলীগের নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন প্রয়োজনে তিনি খরচ দিতেন। যুব মহিলা লীগের প্রধান দুই নেত্রীর একজনকে তিনি বিদেশে চিকিৎসার জন্য টাকা দিয়েছিলেন। ওই সময় তার বিদেশে যাওয়ার যাবতীয় খরচ পাপিয়া বহন করেছিলেন।
যুব মহিলা লীগের তিনজন নেতাকে তিনি নিয়মিত শাড়ি, গয়নাসহ নানারকম উপঢৌকণ দিতেন। একজন যুব মহিলা লীগ নেতার বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দিয়েছিলেন পাপিয়া। এভাবেই পাপিয়া তার নেটওয়ার্ক বিস্তার করতেন। যার কারণে পাপিয়ার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া হতো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত পাপিয়ার বিরুদ্ধে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তরে অন্তত দুই ডজন অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। ভুক্তভোগীরা এই অভিযোগগুলো করেছিলেন। এগুলোর বিষয়বস্তু ছিল, টাকা নিয়েও পাপিয়া তাদের কাজ করে দেননি, উল্টো ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। দলের নাম ব্যবহার করে পাপিয়া নানা রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছেন। কিন্তু যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ এসব অভিযোগ আমলে নেননি। কারণ পাপিয়া ছিল তাদের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।