নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০১৭
ঘড়িতে রাত ১১ টা ১০ মিনিট। অঙ্গ সংগঠনের জনা দশেক কর্মীর সঙ্গে বৈঠক শেষ করলেন। বললেন, ‘অনেক রাত হয়েছে, এখন যাও, আর পারছি না।‘ কর্মীদের মধ্যে যিনি নেতা বললেন, ‘এই চলো আপা ঘুমাতে যাবে।‘ কথাটা তার কানে পৌঁছালো। টিপ্পনী কেটে বললেন, ‘এত সুখ তোমরা আমাকে দিয়েছ। এখন যেয়ে ফাইল নিয়ে বসতে হবে। অনেক ফাইল জমা আছে।‘ কর্মীরা নিজেরাই যেন লজ্জা পেলেন। গণভবনের রাস্তার দুপাশে গাছ, ফুল। ফুলেরাও যেন ঘুমিয়ে গেছে। পুকুরটা শান্ত। প্রকৃতি যেন বিশ্রামে। হয়তো সেটা দেখেই একজন কর্মী তার নেতাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা আপা ঘুমায় কখন?’ এই প্রশ্নে সবাই যেন চমকে উঠলেন।
যাকে নিয়ে এই চর্চা তাঁর নাম শেখ হাসিনা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের সভাপতি। একজন আদর্শ মা। একজন স্নেহময়ী নানী। দারুণ দাদী। শেখ হাসিনার চারপাশে যারা থাকেন, তারা তাঁর অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে নিজেরাই অবাক হয়ে যান। একে একে সবাই ক্লান্ত হয়ে যান, তখনও শেখ হাসিনা যেন ক্লান্তহীন এক কর্মময় মানুষ। কেউ বলেন, ‘উনি পারেন কীভাবে।‘ আর সবচেয়ে বেশি যেটা বলা হয়, ‘শেখ হাসিনা ঘুমান কখন?’ নাকি তিনি জেগে থেকেই পাহারা দেন বাংলাদেশকে সব অমঙ্গল থেকে।
এসএসএফের একজন সদস্য বলছিলেন, ‘ওনাকে কখনো ক্লান্ত হতে দেখিনি।‘ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক নীলুফার আহমেদের মতে, ‘ সারাক্ষণ একটা মানুষ শুধু জনগণের চিন্তা করেন। নিজের জন্য যেন তাঁর এক মুহূর্ত সময় নেই।‘
শেখ হাসিনার দিন শুরু হয় সুবেহ সাদিকের আগে। উঠেই তিনি তাহাজ্জুতের নামাজ পড়েন। তার পর ফজর। এরপর এক কাপ চায়ের সাথে রবীন্দ্র সংগীত আর সংবাদপত্র। পত্রিকা থেকে প্রয়োজনীয় খবরগুলো আগেই জেনে নেন। নাস্তার টেবিলে টেলিভিশনে চোখ বুলিয়ে নেন। সাধারণত, নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যেই তিনি বেরিয়ে পড়েন। হয় কোনো অনুষ্ঠানে অথবা মন্ত্রিসভা কিংবা একনেকের সভার জন্য। আর কোনো দিন কোনো কর্মসূচি না থাকলে ফাইল নিয়ে বসেন । বৈঠক, অনুষ্ঠানে, দপ্তরেই সেরে নেন হালকা দুপুরের খাবার। সাধারণতঃ দুইটা থেকে তিনিটা পর্যন্ত কোনো কর্মসূচী রাখেন না শেখ হাসিনা। এসময় একটু বিশ্রাম। এরপর আবার মিটিং, কাজ। সন্ধ্যায় দলের নেতা, প্রশাসনের পদস্থরা আসেন। কারও অ্যাপয়নমেন্ট থাকে। কেউ চলে আসেন এমনিই। শিক্ষক আসেন, আইনজীবী আসেন। সবার শুধু চাওয়া আর চাওয়া। অসীম ধৈর্যশীল এই মানুষটি শুধু শোনেন না, পরামর্শও দেন। এভাবে চলে প্রায় মধ্যরাত। সবাই চলে যায়। শেখ হাসিনা রাতের খাবার খেয়েছেন কিনা- জিজ্ঞেস করবে কে? মাঝে মাঝে না খেয়েই হয়তো কাজে ডুবে যান আরও কিছুটা সময়।
মাঝে মাঝে অবশ্য এর ব্যতিক্রম হয়। মেয়ে পুতুল আর তার বাচ্চারা এলে। জয় এর পরিবার এলে। ছোট বোন রেহানা এলে। তখন গণভবনের দোতালায় একাকীত্ব ঘোচে। হৈ চৈ হয়। রান্নায় হাত লাগান খোদ প্রধানমন্ত্রী। খাবার টেবিল ভরে থাকে। আনন্দ উৎসবের মধ্যে হঠাৎ করে উঁকি দেয় অতীত। বাবার কথা, মায়ের কথা, ভাইদের কথা উঠে আসে। আচমকা আনন্দময় পরিবেশ যেন ভারী হয়ে উঠে। কিছুক্ষণ নিস্তব্ধতা। তারপর আবার সব ঠিক হয়ে যায়। এভাবেই চলে ব্যস্ত কিন্তু নিয়ত নিঃসঙ্গতার এক ছুটে চলা। যে ছুটে চলার মধ্যেই এদেশের উন্নয়ন, এদেশের মানুষের ভাগ্য।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ছিলেন, এখন মুখ্য সমন্বয়কারী, আবুল কালাম আজাদ বলছিলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রতিটি ফাইল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েন। মন্তব্য লেখেন। তাঁর মতো এত গভীরভাবে ফাইল আমি কাউকে দেখতে দেখিনি।‘ শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক শিষ্য যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী জানাচ্ছিলেন, ‘তৃণমূলের ছোট্ট কর্মীটিরও নাম জানেন শেখ হাসিনা। প্রত্যেকের সুখ দুঃখের খবর রাখেন। শেখ হাসিনা যত কর্মীর নাম জানেন তার অর্ধেক নামও কোনো আওয়ামী লীগ নেতা বলতে পারবেন না।‘
তাইতো দেশের সব ভার তো তাঁরই ওপর, দলের সব জঞ্জাল সরাতে হয় তাঁকেই। তাঁর কাছেই সবার চাওয়া, তাঁকে দেওয়ার তো কেউ নেই। এতো ভার নিয়ে তিনি ঘুমাবেন কীভাবে?
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
'মাদক সেবন বন্ধ কর, সুশীল সমাজ গড়ে তোল' এই স্লোগানে জয়পুরহাটে মাদক বিরোধী র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জেলার সদর উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামে মাঝিপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থা আয়োজিত মাদক বিরোধী এই মানববন্ধন করা হয়।
এসময় মাঝিপাড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এমদাদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির, ভাদসা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন, সংস্থার সহ সভাপতি আমিনুর রহমান বুলু, সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে যুবক ছেলে ও মেয়েরা সেই সাথে অভিভাবকরা হাত তুলে মাদককে না বলে ভাদসা ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করেন।
মাদক মাদক বিরোধী মানববন্ধন মাদক মুক্ত
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে বাল্য বিয়ে না দেয়ায় দশম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের গোশালা রোডের সিটি হাসপাতাল এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা ছালমা খাতুন বাদী হয়ে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পুংরৌহালী গ্রামের বখাটে রক্তিম (১৯), রক্তিমের পিতা আফজাল হোসেন (৫৫) ও তার বড় ভাই রুবেল হোসেনের (৩৩) বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মমিন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার পর আসামিদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে স্কুল ছাত্রী উদ্ধার ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ঘটনার দিন সকাল পৌনে ১০ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের হোসেনপুর বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ার উদ্দ্যেশ্যে গোশালা রোডের সিটি হাসপাতাল এলাকায় পৌঁছালে ওই ছাত্রী ও তার আট বছর বয়সী ছোট বোনের মুখে গামছা পেছিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে জোড়পূর্বক সিএনজিতে তুলে নেয় আসামিরা। এরপর ছাত্রীর ছোট বোন এমএস মুমতাহাকে বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামের পাশে তারা রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে মুমতাহা বাসায় ফিরে তার মা ছালমা খাতুনকে এ ঘটনা জানায়।
অপহৃত ছাত্রীর মা ছালমা খাতুন তার মেয়ে উদ্ধার ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আমার দুটি মেয়ে, কোন ছেলে সন্তান নেই। স্বামী অসুস্থ্য হয়ে বিছানায়। আমাদের প্রায় ১০ বিঘা ফসলি জমি ও এক কোটি টাকা মূল্যের একটি দ্বিতল বাড়ি রয়েছে। মূলত এ সম্পত্তির লোভে পড়েই ১ বছর আগে রক্তিমের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু সেই বিয়ের প্রস্তাবে আমরা রাজি হয়নি। কারণ আমার মেয়ের এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রস্তাবের কিছুদিন পরই আমার মেয়েকে তারা অপহরণ করেছিল। পরে পুলিশের সহযোগীতায় উদ্ধার করেছিলাম।’
এ ঘটনার পর আমার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সিরাজগঞ্জ শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে মেয়েকে শাহীন স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু এখানে ভর্তি করার কয়েক মাস পর বখাটে রক্তিম শহরে একটি বাসা ভাড়া নেয়। এ বাসা ভাড়া নিয়ে আমার মেয়ের স্কুল ও প্রাইভেটে আসা যাওয়ার পথে পিছু নেয় এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ প্রস্তাবটি মেয়েও নাকচ করে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রক্তিমের বড় ভাই রুবেল হোসেন এ অপহরণের কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই ছাত্রীর সাথে আমার ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ওরা দুজন এলাকার একই স্কুলে পড়তো।
ছাত্রী অপহরণ বাল্য বিয়ে থানায় মামলা
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেছেন জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ফরিদুজ্জামান।
তার অভিযোগ, জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট সরদারপাড়া এলাকার আবু হেনা ফুল মিয়া তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার ও শ্বশুর আনোয়ার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতারণা সিন্ডিকেট গড়ে তুলে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি নিজেও এর শিকার। ৫ লাখ টাকার ভুয়া চেক দিয়ে তার সঙ্গেও প্রতারণা করা হয়েছে। একইভাবে সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরি দেওয়ার নামে নানা প্রতারণা করে এলাকার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আবু হেনা ফুল মিয়া।
এ বিষয়ে প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা একাধিক মামলা করলেও তাদের কোনো শাস্তি হয়নি। বরং অভিযুক্ত আবু হেনা ফুল মিয়া বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দাবি করে ছাপানো ভিজিটিং কার্ড এলাকায় বিতরণ করে নিজেকে ক্ষমতাবান বলে প্রচার করছেন।
এ অবস্থায় আবু হেনা ফুল মিয়া ও তার স্ত্রী এবং শ্বশুরের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আত্মসাৎ করা অর্থ উদ্ধারসহ তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঐ আইনজীবী।
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী ফরিদুজ্জামান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী ফারহানা মুশতারি, এসএম রাশেদুল হাসান ও জুয়েল হোসেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দম্পতির বাসায় গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অর্থ আত্মসাৎ
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন কমলাপুর ও ভুড়িয়া নামের দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।
রবিবার
(২৮এপ্রিল) সকাল
৮
টায়
থেকে
শুরু
হয়
ভোট
গ্রহণ।
নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ভোট গ্রহণ চলবে
বিকেল
৪টা
পর্যন্ত।
ভুরিয়া
ইউপি
চেয়ারম্যান পদে
৪
জন,
সংরক্ষিত সদস্য
৯,
সাধারণ
সদস্য
২৫জন
ও
কমলাপুর ইউনিয়ন
পরিষদ
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে
৩ জন,
সংরক্ষিত সদস্য
৮,
সাধারণ
সদস্য
২৬
প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলার দুই
ইউনিয়নে ১৮টি
ভোট
কেন্দ্রে যে
কোনো
অপ্রীতিকর ঘটনা
এড়াতে
১২জন
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও
৪
প্লাটুন বিজিবি,
প্রতিটি ভোট
কেন্দ্রে ৮
জন
পুলিশ
সদস্য,
১৭
আনসার
সদস্য
সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন
করবেন।
র্যাবের টিম
এবং
পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স
সহ
কাজ
করছে
সাদা
পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
।
স্থানীয় ভোটাররা জানান, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ থাকে তাহলে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবেন তারা।
মন্তব্য করুন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা
শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ
থেকে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ জামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের নেতারা। এরপর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ
জামাল। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ
থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে
শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে নেতৃত্ব
দেন তিনি।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধানমন্ডি থেকে ভারতের আগরতলায় পৌঁছানোর পর সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস-বিএলএফ) যোগদান এবং প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে অংশ নেন শেখ জামাল। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শহীদ হন তিনি।
মন্তব্য করুন