ইনসাইড বাংলাদেশ

এখনো সুযোগ আছে বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ০৬ এপ্রিল, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জ্যামিতিক হারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ যেকোনো সময়ে মহামারীতে প্রবেশ করবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বাংলাদেশের মহামারীতে প্রবেশ একটি সময়ের ব্যাপার মাত্র।

তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিমতও রয়েছে। তাদের অনেকেই মনে করছেন যে বাংলাদেশ অনেকগুলো সুযোগ মিস করেছে। সীমিত আকারে করোনাভাইরাসকে রেখে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারতো। কিন্তু সেই সুযোগ বাংলাদেশ হাতছাড়া করেছে নানা কারণে। তবে এখনো বাংলাদেশের সামনে সুযোগ রয়েছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাদের মতে, এরই মধ্যে বাংলাদেশে সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে এবং রোগের বিস্তৃতি হয়েছে। তারপরেও আমরা যদি এখনো চেষ্টা করি তাহলে এই মহামারীর সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের কথা বলে, তাদের মতামত নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদনটি। যেখানে আমরা দেখাতে চাই যে বাংলাদেশের এখনো সুযোগ রয়েছে, এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশকে কি করতে হবে।

প্রথমত, সামাজিক সংক্রমণ বন্ধ করতে হবে। যেকোনো মহামারী ঠেকানোর সবচেয়ে বড় শর্ত হলো কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিক সংক্রমণ ঠেকানো। আর এজন্য বাংলাদেশকে এখন সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে সামাজিক সংক্রমণের দিকে। যে সমস্ত এলাকাগুলোতে সামাজিক সংক্রমণ হয়েছে, সেগুলোকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। অন্তত তিন সপ্তাহ সেই এলাকাগুলোকে আলাদা করে রাখতে হবে। অন্য এলাকার মানুষ যেন সেখানে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ঐ এলাকার প্রতিটি মানুষের রক্তপরীক্ষা করা, তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হবে, তাদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে আরও কিছুদিন কঠোর লকডাউনে যেতে হবে। এরকম ঢিলেঢালা, ছাড়যুক্ত সাধারণ ছুটি নয়, বরং কঠোর বাধ্যতামূলক লকডাউন, এবং প্রয়োজনীয় সবকিছুই বন্ধ করে দিতে হবে। এখনকার সাধারণ ছুটিতে যে সমস্যাগুলো হচ্ছে যে কেউ ব্যাংকের অজুহাতে, কেউ বাজার বা চিকিৎসার অজুহাতে ঘরের বাইরে হচ্ছে। আসলে যে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার প্রয়োজন ছিল, সেটা হচ্ছে না। তাই অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে আরও কিছুদিনের জন্য হলেও বাংলাদেশকে কঠোরভাবে লকডাউন, কারফিউ যে ভাষাই আমরা বলি না কেন তার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে লোকজন কিছুতেই ঘরের বাইরে বেরোতে না পারে।

তৃতীয়ত, করোনা পরীক্ষার পরিধি দ্রুত বাড়াতে হবে। এখন বাংলাদেশে করোনা মহামারী ঠেকাতে হলে দ্রুত পরীক্ষা ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। কারণ যত পরীক্ষা করা হবে তত করোনার ব্যাপ্তি সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবো। কাজেই প্রতিটি এলাকায় দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে দ্রুত, সম্ভব হলে আগামী ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে দেশের মধ্যে দ্বৈবচয়ন পরীক্ষা চালানো দরকার। এ পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্রমিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করা দরকার এবং যারা আক্রান্ত তাদেরকে আলাদা করা দরকার। কাজেই পরীক্ষার ব্যাপ্তি যদি আমরা না বাড়াই তাহলে আমরা দীর্ঘমেয়াদী একটা সংকটের দিকে যাবো বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। পরীক্ষার ব্যাপ্তি বাড়াতে পারলে আমরা দ্রুতই মহামারীর ঝুঁকি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

চতুর্থত, সংক্রমিত ব্যক্তিদের এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আলাদা করতে হবে। যারা সংক্রমিত হয়েছেন এবং যারা সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে আলাদা করতে হবে। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন নয়, তাদের জন্য আলাদা বিশেষ কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে তারা অন্যদের সংক্রমিত করতে না পারে। আমরা দেখেছি যে, উপমহাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইন ফলপ্রসূ নয়। বরং হোম কোয়ারেন্টাইনের চেয়ে যদি সরকারের নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়, সেখানে যদি আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা লোকদের রাখা হয়- সেটি বেশি ফলদায়ক হবে।

পঞ্চমত, স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দীপ্ত করতে হবে। এখনো এই করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে আমাদের সম্মুখ সমরের যোদ্ধা হলেন আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্স সহ হাসপাতালের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এখন পর্যন্ত তাদেরকে আমরা মোটিভেটেড করতে পারিনি, তাদেরকে উদ্দীপিত করতে পারিনি, তাদের জড়তা কাটাতে পারিনি। করোনা মোকাবেলায় পৃথিবীর সবদেশগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীরা যে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেই দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে অনুসরণ করতে হলে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দীপ্ত করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনো ধমক দিয়ে নয়, সমালোচনা করে নয়, বরং তারা ‘ফ্রন্ট রানার’ এই বোধটা তাদের মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে।

এই কাজগুলো যদি আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রুত করতে পারি তাহলে হয়ত আমরা আমাদের শেষ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবো। আমাদের হাতে সময় অনেক কম, এখনই আমাদেরকে শেষ চেষ্টা করতে হবে যেন আমরা করোনা মহামারী ঠেকাতে পারি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আদালতে মিল্টনের রিমান্ড চাওয়া হবে: ডিবি

প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ। 

বুধবার (১ মে) রাত ৯টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন,’মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও নির্যাতনসহ প্রতারণার মামলার করা হবে। মিডিয়ায় যতো অভিযোগ এসেছে সব বিষয়েই তদন্ত করা হবে। এছাড়া রাতে কেনো লাশ দাফন করতেন এই বিষয়ে মিল্টন জানান, মানুষ তাকে প্রশ্ন করে তাই রাতে তিনি লাশ দাফন করতেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ৯০০ দাফন করলেও ৮৩৫টি লাশের দাফনের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তিনি।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার খবর প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, মিল্টন সমাদ্দার নামক এক ব্যক্তি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে পাঁচ শঙ্কা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।

উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাদেরকে ঢালাওভাবে বহিষ্কার করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৭৩ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৩ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। কিন্তু এই সব বহিষ্কার সত্ত্বেও বিএনপির নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে তাদের আগ্রহ হারায়নি। বরং যারা উপজেলা নির্বাচনে আগ্রহী, তারা দলের নির্দেশ অমান্য করেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।

জাতীয় পার্টিকে উপজেলা নির্বাচনে তেমন সরব দেখা যাচ্ছে না। সারা দেশে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং হতাশার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে কিনা সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে।

উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে পাঁচটি শঙ্কা ক্রমশ দানা বেঁধে উঠছে। 

১. ভোটার উপস্থিতি: উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ভোটার উপস্থিতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণেই আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। একাধিক প্রার্থী যেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, দলের ভিতর যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এবং নির্বাচনে যেন ভোটার উপস্থিতি পারে সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের এই কৌশল কতটুকু কার্যকর হবে, ভোটাররা ভোটে কতটুকু আগ্রহ দেখাবে- সেটি নিয়েও অনেকের সংশয় রয়েছে।

২. আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খল অবস্থা: উপজেলা নির্বাচনে একটা বড় শঙ্কার জায়গা হল আওয়ামী লীগের বিশৃঙ্খলা এবং এই বিশৃঙ্খলা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে কারণে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে। কিন্তু দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহু এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন এবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এই সমস্ত প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রার্থীদের সহিংসতার ঘটনা উপজেলা নির্বাচনকে উত্যক্ত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিভিন্ন স্থানে তার আলামতও পাওয়া যাচ্ছে।

৩. প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ: নির্বাচনে প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি বড় বাধা। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদেরকে নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেই পরামর্শ না শুনেই মন্ত্রী-এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন। শুধু প্রার্থী করাই নয়, এলাকায় তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও করছেন। এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিপক্ষকে ঘাবড়িয়ে দেওয়া, ভোটারদেরকে নিরুৎসাহিত করা ইত্যাদি প্রবণতাগুলো উপজেলা নির্বাচনকে ম্লান করতে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।

৪. প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা: প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর সেই পরামর্শ অনুযায়ী প্রশাসন কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে প্রভাবশালীরা যখন নির্বাচনের মাঠে হস্তক্ষেপ করবে তখন প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কতটুকু নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে সেটি নিয়ে একটি প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

৫. ভোটারদের অনীহা: উপজেলা নির্বাচনেও ভোটারদের অনীহা রয়েছে। কারণ একাধিক বিকল্প প্রার্থী এবং ভিন্নমতের প্রার্থী না থাকার কারণে উপজেলা নির্বাচন নিয়েও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোটারদের এই অনাগ্রহ উপজেলা নির্বাচনকে একটি সাদামাটা নির্বাচনে পরিণত করতে পারে বলেই অনেকে মনে করেন।

উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ০৮:৪৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় এ অধিবেশন শুরু হবে। 

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে সংসদ অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, জুনে দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না।

এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হয়।

দ্বাদশ সংসদ অধিবেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আলোচিত সেই মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর সব প্রতারণার অভিযোগ ওঠা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পরিচিত মুখ ও ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকার মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল কালবেলার প্রিন্ট ভার্সনে ‘মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার’ শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মিল্টন সমাদ্দার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরের তেওয়ারীগঞ্জে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ, স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে। 

প্রায় সাড়ে আট বছর পর ওই ইউনিয়নে নির্বাচনকে ঘিরে মানুষের মাঝে ছিলো ব্যাপক আমেজ। আটজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করে। এর মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হোসাইন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা হয় ব্যাপক। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোটের দিন সকাল পর্যন্ত ছিলো সেই আমেজ। তবে ভোট গ্রহণ শুরু হলে নারী-পুরুষের ব্যাপক উপস্থিতি নজর কাড়ে সবার। 

অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী, সমর্থক, এজেন্ট ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, ভোটের আগের দিন থেকে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ভুলু কালো টাকা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে। কেন্দ্রের ভেতর ও বাহিরে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ও ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করে। এতে করে কয়েকটি কেন্দ্রের বাহির থেকেই নারী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ না করেই বাড়ি ফিরেন। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আনারস প্রতীকের প্রার্থী জানালেন, তিনি শান্তি চান। তিনি হয়রানি হতেও চান না কাউকে করতেও চান না। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, যদি কেউ মনে করে আবারো নির্বাচন করা দরকার তবে তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা করতে প্রস্তুত। 

পুলিশ সুপার তরেক বিন রশিদ বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশের গাড়ির ওপর তারা হামলা করে। এঘটনায় দুই প্রার্থীকেই পুলিশ আটক করে।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন