নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ১৪ জুলাই, ২০১৭
বিদ্যুৎ আছে বলেই সভ্যতার চাকা ঘুরছে। বিশ্ব চলছে অবিরাম পথে। তবে এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি তেল, গ্যাস বা খনিজ কয়লা অফুরন্ত নয়। যা অদূরে না হলেও সুদূর ভবিষ্যতে তো ইতি ঘটবেই। সুদূর ভবিষ্যতেও নিঃশেষ হবে না এমন আশঙ্কা নেই পারমাণবিক শক্তিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। পারামণবিক শক্তি অফুরন্ত। তবে এর বেশ ঝুঁকি রয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বপ্ন থাকলেও প্রযুক্তি ও অর্থ নেই।
বাংলাদেশে এখন গ্যাসের উৎপাদন ২৭৩ কোটি ঘনফুট। এরমধ্যে সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস লাগে ১২০ কোটি ঘনফুট, যা মোট উৎপাদনের ৪১ শতাংশ। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে ১৪ শতাংশ, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৭ শতাংশ, সিএনজিতে ৫ শতাংশ, শিল্প ও বাণিজ্যিকে ১৮ শতাংশ এবং সার কারখানায় লাগছে ৭ শতাংশ গ্যাস। কিন্তু এভাবে গ্যাসের মজুদ দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার বিশদ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
বর্তমানে ইতালি, জার্মানি সব পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্র নিষ্ক্রিয় করছে। অস্ট্রেলিয়ার শুধু গবেষণার জন্য পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে। আবার ইউরোপের দেশগুলোর মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ৩০ শতাংশ আসে পারমাণবিক শক্তিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ২০১২ সালে ১ লাখ ২ হাজার ১৩৬ মেগাওয়াট পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন করে। যার ১৯ শতাংশ ব্যয় করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া কোল পাওয়ার প্ল্যান্ট ওই এলাকার ন্যাশনাল পার্কের মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার মোট বিদ্যুতের ৯৪ শতাংশ কয়লা থেকে উৎপন্ন হয়েছে। ভিয়েতনামের ১২শ’ মেগাওয়াট ক্ষমতার কুয়াং নিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হ্যালং বে (ইউনেস্কো ঐতিহ্য) এর মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
জাপানের ইয়োকোহামার ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ইসোগো বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তাদের আবাসিক এলাকার পাশে অবস্থিত। তাইওয়ানের ৫৫০০ মেগাওয়াটের তাইচুং বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। জার্মানির ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার জলিং বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ২০০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অ্যামপার নাটুরার বিশেষায়িত সংরক্ষিত এলাকা থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত।
এছাড়া জার্মানির ৭৫০ মেগাওয়াটের হেইলব্রোন হ্যাফেন বিদ্যুৎ কেন্দ্র, জার্মানির শহর সংলগ্ন এবং নদীতীরবর্তী স্থানে অবস্থিত। এছাড়া ১৬০০ মেগাওয়াটের ক্রাফটওয়ার্ক-মুরবার্গ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জার্মানি শহর সংলগ্ন এবং নদীর তীরে। ১৪৬২ মেগাওয়াটের রেইনহফেন ড্যাম্ফক্রাফট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি জার্মানির শহর সংলগ্ন এবং নদীর তীরবর্তী স্থানে অবস্থিত।
বিশ্বে মোট পারমাণবিক চুল্লির সংখ্যা ৪৪১টি। এ চুল্লি থেকে পারমাণবিক শক্তি উৎপাদিত হয় ৩ লাখ ৬৯ হাজার ১২২ মেগাওয়াট। আরো ২৭টি পারমাণবিক কেন্দ্রে ৬৮টি চুল্লি নির্মাণের পথে রয়েছে এবং ৩৮টি কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে ১১৫টি কেন্দ্র।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৩ সালে বিশ্বের ৩১টি দেশে ৪৪১টি পারমাণবিক চু্ল্লি সচল আছে। ২০১২ সালে ১৫টি দেশে ৬৮টি বেসামরিক পরমাণবিক চুল্লির নির্মাণের কাজ চলছিল। এর মধ্যে চীনের ছিল ৩২টি। যুক্তরাষ্ট্রের দুটি। যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে- ২০২০ সালে তাদের আরো দুটি পারমাণবিক বিদুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাবে। তবে আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে ছোট এবং পুরোনো মিলে কমপক্ষে ১০০ চুল্লি বন্ধ করে দিতে হবে।
সম্প্রতি জাপানে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘটিত ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে বাংলাদেশে পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপন না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উল্লেখ্য, অতি শক্তিশালী ভূমিকম্পেও কেন্দ্রটি দুর্ঘটনাকবলিত হয়নি বরং এরপর সংঘটিত সুনামির পানির জোয়ারে কেন্দ্রটির শীতাতপ ব্যবস্থাপনা ভেসে গেলে তাতেই তা দুর্ঘটনাকবলিত হয়। বাংলাদেশের রূপপুর ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত নয়, আর সেখানে সুনামি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। সেই অর্থে ফুকুশিমার সঙ্গে রূপপুরের তুলনা করা ঠিক নয়। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনা হওয়া বিরল ঘটনা, যদিও তা হলে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
১৯৫৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পর বিশ্বব্যাপী চালু ৪৪০টিরও বেশি কেন্দ্রের মধ্যে আজ পর্যন্ত কেবল তিনটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিটি দুর্ঘটনার পরবর্তী সময়ে নির্মিত কেন্দ্রসমূহ আরও সতর্ক নকশা ও ব্যবস্থাপনাসহ তৈরি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে পারমাণবিক কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৪টি, জাপানে ৫৫, ফ্রান্সে ৫৮, রাশিয়ায় ৩২, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২১ ও ভারতে ২০টি। ভারতে বর্তমানে আরও চারটি পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে এবং আরও ২০টি নির্মাণ পরিকল্পনার অধীনে আছে।
বাংলা ইনসাইডার/টিআর
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসকল অভিযোগ করেন দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বদি ফকিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মীদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। গতকাল রাতে প্রায় এক ট্রাক ভর্তি টাকা তারা বেলকুচিতে নিয়ে এসেছে। ভোট কিনতে ও নানা প্রলভোন দিয়ে তারা ভোটাদের বিভ্রান্ত করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচরানা অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এক ভোট পেলেও নির্বাচিত হবে এমন বক্তব্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। এছাড়াও দোয়াত কলম প্রতীকের প্রচারনায় আমাদের কর্মীদের সরে যাবার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। এ সকল বিষয়ে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।'
উপজেলা নির্বাচন কালো টাকা প্রভাব বিস্তার
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী অনুপ্রবেশ
মন্তব্য করুন
গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।
আবহাওয়া অফিস সতর্কবার্তা দিয়ে বলছে- রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে। আর চলতি মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
এপ্রিলের পুরো মাসজুড়েই ছিল তীব্র তাপপ্রবাহ, যা ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। গত মাসের এই তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবন হয়েছে নাভিশ্বাস। তপ্ত গরম থেকে স্বস্তির দিতে সরকার যেমন নানান পদক্ষেপের মাধ্যমে মোকাবিলা করেছে তেমনি জনগণও তাদের স্বস্তির জন্য তপ্ত গরমেও সতর্ক ভাবেই করেছে মোকাবিলা। কিন্তু দেশেরে মানুষ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে পারলেও পারছে না ঝড়-বৃষ্টির মোকাবিলা করতে!
গণমাধ্যমের তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (৪ মে) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার ৫ বছর বয়সী ছেলের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (০৫ মে) খাগড়াছড়ির রামগড়ে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানে দুটি গরুসহ গনজ মারমা (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুধু চলতি মাসেই নয়, এপ্রিলের কিছু কিছু অঞ্চলেও কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হয়। সেই ঝড়ে ছয় জেলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও দুজন নিখোঁজ হয়েছেন।
যেখানে গেল মাসের দাবদাহ মোকাবিলায় যেমন মানুষ নিজেদের সুরক্ষার্থে সর্তক হয়ে স্বস্তির খোঁজে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা কার্যকর করেছে ঠিক, সেখানে ঝড়ো বৃষ্টিতে কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সময় নিজেরা সচেতন হয়ে তা মোকবিলা করতে পারছে না। তবে কি সাধারণ মানুষ নিজেদেরে সুরক্ষার্থে সচেতন হতে পারে না। শুধু সাধারণ মানুষ নয় সরকারের উপরও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। যাতে করে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠেী থেকে সকলেই সতর্ক হয়ে তা মোকাবিলা করে নিজেদের এবং পরিবারের সুরক্ষা নিতে পারে।
বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মোকবিলায় জনগণের প্রতি দিকনির্দেশনা
সাধারণত কালবৈশাখী ঝড়ের সময়ে দেশকে জনস্বার্থে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কালবৈশাখী ঝড়ের আগেই মেটারোলজি বিভাগ এবং অঞ্চলের নিকটস্থ সংস্থার পূর্বাভাস করে বিপদগ্রস্ত হলে পূর্বেই পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সরকার সংগঠন বা প্রশাসনিক সংস্থাগুলো আগাম বিপদ জনস্বার্থে জনগণকে সাবধানতা প্রকাশ করতে পারে। প্রয়োজনে সরকারী অথবা অন্য সংস্থা গুলি মানুষদের নিরাপত্তার জন্য তথ্য দিতে পারে। এবংকি সকল প্রয়োজনীয় সাহায্য ও সহযোগিতার ব্যবস্থা করা উচিত যার মধ্যে খাবার, পানি, ও প্রাথমিক চিকিৎসা। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারী অথবা অর্গানাইজেশ সংস্থা সহযোগিতা করে সাহায্যের অভিযান চালাতে পারে। সময়ে ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পর্যায়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। শুধু তাই নয় বাস্তবায়নের পর্যায়ে মানুষদের সঠিক তথ্য প্রদান করলেও জনগণ কালবৈশাখী ঝড়ের বিপদ থেকে নিজেদের সুরক্ষা করার জন্য সহায়তা হবে।
মানুষকে সচেতন হওয়া উচিত
জলবায়ুর প্রভাবে দেশের ঝড়ো বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির একটি প্রবল আবহাওয়া ঘটনা যা ধারাবাহিকভাবে দেশের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে মানুষকে সাবধান থাকা অতিব জরুরী। পূর্বানুমানিক নিরাপদ অঞ্চলে থাকা। আকাশের দিকে লক্ষ্য রাখা ও আবহাওয়া অফিসের দিক নির্দেশনা মেনে মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালবৈশাখী ঝড়ের সময় নিজ কাজেস্থলে বা কর্মক্ষেত্রে বা প্রয়োজনে নিরাপ স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। আবার, কৃষি কাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারেন। সুতরাং, সাবধানে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় আশ্রয় নিতে হবে। এটি আপনাকে সুরক্ষিত করতে সাহায্য করতে পারে। বিদ্যুৎ, পানি, ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাগুলো বন্ধ না হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়েরি মধ্যে যত্ন নেওয়া উচিত। এবংকি আপনার পোষা প্রাণী থাকলে তার যত্ন নিন। প্রাণীর জন্য যত্ন নেওয়া উচিত, যেমন পাখি, বিড়াল, ও গরুর জন্য আবাস পরিষ্কার করা, অবশ্যই খাদ্য ও পানি খাওয়ানো ও সংরক্ষিত করা উচিত। কেননা, কালবৈশাখী ঝড়ের সময়টাতে নিজেদের সুরক্ষাটা যেমন জরুরী তেমনি বিপরীতে প্রাণীর সুরক্ষাটাও জরুরী।
এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দেশের আবহাওয়ায় যখন এমন দূর্বিসহ যাচ্ছে তখন সরকার থেকে সাধারণ মানুষ সকলের পদক্ষেপেই মিলতে পারে স্বস্তি। দেশের জনগণকে নিজেদেরে সচেতন হয়ে তাপপ্রবাহ, বজ্র, বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় মোকাবিলা নিতে হবে। বিশেষ করে দেশপ্রেমের ভাবনা থেকেও সাধারন মানুষ সরকারের দিক নির্দেশনা মেনে সহযোগিতা করতে হবে। এতে করে কমবে কালবৈশাখী ও বজ্রে নিহতের সংখ্যা, মারা যাবে না আর হিট স্ট্রোকে মানুষ। বাড়বে জনসচেতনতা। স্বস্তিতে থাকবে পুরো দেশের জনগণ।
ঝড় বজ্রসহ বৃষ্টি আবহাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ
মন্তব্য করুন
মিল্টন সমাদ্দার ডিবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
গত মাসে তীব্র তাপপ্রাহে পুড়েছে পুরো দেশ। দফায় দফায় হিট এ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমনকি গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য তাপপ্রবাহের সতর্কতা দেয় সংস্থাটি। এদিকে তীব্র দাবদাহ যখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে তখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হয়েছে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত। ইতোমধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ অনেকেই।