ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা নিয়ে পথহারা বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পথ হারিয়ে ফেলেছে। করোনার পিক সিজনেও বাংলাদেশের নেই কোনো এক্সিট প্ল্যান। কেউ জানে না বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, কতদিনে করোনার সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে যাবে, কখন করোনা সংক্রমণ কমবে এবং এই কমার পর জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আশু করণীয় কী।

করোনা নিয়ে আমরা যা কিছু করছি সব অনুমান নির্ভর, অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্বহীন এবং শুধুমাত্র কিছু সংখ্যাতত্ত্বের পরিসংখ্যান ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি আমাদের জন্য ভয়াবহ আতঙ্কের। করোনার ৭৫তম দিন আজ আমরা অতিবাহিত করলাম। এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো দিক নির্দেশনা যে আমরা কী করবো। স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী কোনো পরিকল্পনা নেই। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১৪ হাজার ১১৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৮ হাজার ৫১১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে অর্থাৎ বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের ১৩ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত। আর বাংলাদেশে এখন মৃত্যুর সংখ্যাও ৪০০ পেরিয়ে গেছে। আর সুস্থ হয়েছে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেব মতে ৫ হাজার ৬০২ জন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য যে সংকটগুলো দেখা দিয়েছে এবং বাংলাদেশ যে দিক নির্দেশনাহীন তার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য এখানে তুলে ধরা হলো-

১. কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ নেই

বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ কতদূর যাবে বা কোথায় যাবে এটি নিয়ে কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ নেই। আমরা শুধুমাত্র প্রতিদিনের তথ্যগুলো দিচ্ছি, যোগফল ঘোষণা করছি। শতকরা হিসেব ঘোষণা করছি। কিন্তু প্রত্যেকটি দেশে করোনার যখন পিক সিজন গেছে, তখন বিজ্ঞানভিত্তিক প্রক্ষেপণ হয়েছে। যেখান থেকে তারা বুঝতে পেরেছে যে কখন করোনা সংক্রমণ আস্তে আস্তে কমে যাবে। সে অনুযায়ী তারা একটা এক্সিট প্ল্যান দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এরকম কোনো প্রক্ষেপণ নেই। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৮জন বিশেষজ্ঞ দিয়ে একটি প্রক্ষেপণ পত্র তৈরি করেছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে, ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত বাংলাদেশে সংক্রমণ হতে পারে। কিন্তু এটিকে বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো প্রক্ষেপণ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ৫০ হাজার এবং ১ লাখের মধ্যে পার্থক্য অনেক। তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, বাংলাদেশে যতক্ষণ পর্যন্ত একটি সুনির্দিষ্ট ধরনের লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব মানা না হবে, ততদিন পর্যন্ত এ ধরনের প্রক্ষেপণ করা সম্ভব না। কাজেই বাংলাদেশে করোনার ভবিষ্যৎ কী এবং কোন পথে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা পথহারা।

২. চিকিৎসা নিয়ে পথহারা

বাংলাদেশে যে যার মতো করে করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করছে। এমনকি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও করোনার মহৌষধ বলে কেউ কেউ প্রচার করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি বলে দেয়নি এবং এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু মুনাফালোভী কিছু কিছু ওষুধ কোম্পানি অন্য ওষুধকে করোনার ওষুধ বলে ঢাক ঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠান করছে। যে ওষুধটি শুধুমাত্র করোনার কিছু কিছু উপসর্গ দূর করতে পারে, সেই ওষুধকেও করোনার ওষুধ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্লাজমা থেরাপির কথা বলা হচ্ছে। অথচ সেটা নিয়েও এখন পর্যন্ত কোনো সুসংবাদ নেই, কারণ বিপুল সংখ্যক রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়াটা করটুকু সম্ভবপর হবে, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের করোনা চিকিৎসার যে প্রটোকল তা এখনও নির্দিষ্ট নয়, বরং বিভিন্ন দেশ যা যা অনুসরণ করছে তার সবগুলো নিয়েই বাংলাদেশ একটা খিচুরি পাকানোর চেষ্টা করছে। এটাও হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কাজেই চিকিৎসার দিক থেকেও বাংলাদেশ পথহারা।

৩. পরিকল্পনাহীন করোনা চিকিৎসা

বাংলাদেশে করোনা চিকিৎসার প্রথম দিকে শুধু সরকারি হাসপাতালগুলোতেই চিকিৎসা দেওয়া হতো। এখন বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক ধরনের জগাখিচুরি তৈরি হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যারা অন্য চিকিৎসা নেন, তারা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও করোনা ইউনিট করার ফলে সেখানেও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। পুরো ব্যাপারটাই একটা গোলকধাঁধার মতো অবস্থা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও সম্ভবত জানে না যে তারা কী করছে এবং কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এরকম সবক্ষেত্রেই একটা অস্পষ্টতা, এক ধরনের ব্যাখ্যাহীনতা এবং অনিশ্চয়তা। যার ফলে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পিত বিন্যাস নেই, যে করোনা কতদিন থাকবে, কবে করোনা যাবে এবং আমরা কবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবো। কিংবা করোনা পরিস্থিতি কি আরও ভয়াবহ হয়ে যাবে? হঠাৎ করে কি আমাদের ইতালি বা স্পেনের মতো মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে? আমাদের বাংলাদেশে কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হবে? নাকি আমরা দীর্ঘমেয়াদী করোনার সঙ্গে বসবাস করতে থাকবো? জনস্বাস্থ্যের জন্য এসব উত্তরগুলো জানা জরুরী। আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্যেও, এমনকি অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং আমাদের এগিয়ে চলার জন্যেও এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা দরকার। কিন্তু আমরা করোনা নিয়ে এখন পর্যন্ত পথহারা। আমরা জানি না আমাদের গন্তব্য কোথায়।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন