ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদের পর কী হবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে এবার ঈদ উদযাপিত হচ্ছে এক সংকটকালীন সময়ে। ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে করোনা সংকট যেন আমাদের জনজীবনকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে রেখেছে। রাষ্ট্রীয় জীবনে এক সংকটের বলিরেখা স্পষ্ট। তারমধ্যে আম্পানের ছোবল আমাদেরকে একটি লণ্ডভণ্ড অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছে। এর ভেতরেই জনগণের মধ্যে নানা রকম অশান্তির গুঞ্জন। সরকারের ভেতরও নানা রকম বিভাজন, মেরুকরণ। আর বিরোধী দলের মধ্যে অপেক্ষার প্রহর শেষ হওয়ার গুঞ্জন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন, বাংলাদেশে কী হচ্ছে? ঈদের পর কী হবে?

ঈদের পর কী হবে, এই প্রশ্নটি যখন উত্থাপিত হয়, তখন মোটাদাগে মোট পাঁচটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। এসব নিয়ে রাজনৈতিক টেবিলে আলোচনা হয়, মানুষের মধ্যে নানা রকম জল্পনাকল্পনা হয়। এই পাঁচটি প্রশ্নের উত্তরের উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতি, সরকার পরিচালনার গতিপ্রকৃতি এবং ভবিষ্যৎ। ঈদের পর কী হবে, এই প্রশ্নের ভেতরে মোটা দাগে যে পাঁচটি প্রশ্ন রয়েছে, সেগুলো হলো-

১. করোনার ছুটি কি বাড়বে?

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, ঈদের পর কি আমরা আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসব? নাকি করোনার ছুটি বাড়বে? ২৬ মার্চ থেকে ছুটির ফাঁদে রয়েছে দেশ। দুইমাস হতে চলল টানা ছুটি চলছে। যদিও সরকারি কিছু অফিস খোলা হয়েছে, জরুরী সেবাগুলো বহাল রয়েছে। কিন্তু একটি স্বাভাবিক কর্মজীবন, বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানগুলো চলমান রাখা, দোকানপাট খোলা, আমরা এ রকম স্বাভাবিক জীবনে ফিরব কবে, এটা অনেক বড় প্রশ্ন? তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হল ঈদের পর যেটা সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে ৩০ মে পর্যন্ত, সেই ছুটির পর কি আমরা কর্মজীবনে ফিরতে পারব নাকি ছুটি আরও বাড়বে?

জানা গেছে যে, সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল এখনও এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় নি। আর কয়েকটা দিন তারা করোনা পরিস্থিতি দেখবেন, দেখার পর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন যে, ছুটি আরও বাড়ানো হবে কিনা। তবে একাধিক সূত্র বলছে যে, সরকার একেবারে বন্ধ দুয়ার করে না দিয়ে অর্থনীতি সচল করার কৌশলে এগুবে। আস্তে আস্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস আদালতগুলো খুলে দেওয়ার পক্ষেই মত বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২. ব্যর্থ এবং অযোগ্যদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?

করোনা সংকট মোকাবেলার সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমে এই নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা হয়েছে, কথাবার্তা হয়েছে। সরকারের ভিতরেও এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে অনেকেই ধারণা করছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো ঈদের পরে ব্যর্থ ও অযোগ্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। আদৌ তিনি ব্যবস্থা নেবেন কিনা বা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের দিয়ে চালাবেন কিনা এটি একটি বড় প্রশ্ন। ঈদের পরে যদি দ্রুতই যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে বোঝা যাবে হয়তো শেখ হাসিনা এই টিম নিয়েই এগুতে চান।

৩. মন্ত্রিসভায় কি পরিবর্তন হবে?

ব্যর্থ এবং অযোগ্যদের পাশাপাশি সবচেয়ে আলোচিত ছিল মন্ত্রিসভার রদবদল। অনেকেই মনে করছেন যে, বর্তমান যেই মন্ত্রিসভা সেই মন্ত্রিসভার অনেকেই সীমাহীন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এইজন্য তাদের পরিবর্তন প্রয়োজন। এই মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনের গুঞ্জন করোনা সংকটের পর থেকেই ছিল। তাই প্রশ্ন হল, ঈদের পর শেখ হাসিনা কি করবেন? তিনি কি মন্ত্রিসভার পরিবর্তন করবেন নাকি এই মন্ত্রিসভা নিয়েই দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।

৪. প্রণোদনার প্যাকেজ কি বাস্তবায়ন হবে?

সরকার ৯২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে কেবল গার্মেন্টসের ৫ হাজার কোটি টাকা, যেটি শ্রমিক-কর্মীদের বেতন-ভাতা পরিষোধের জন্য প্রদত্ত, সেটি ছাড়া কোন প্রণোদনার টাকা এখনও দেওয়া হয়নি। এরমধ্যে ব্যাংকগুলো নানা রকম গড়িমসি করছে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই প্রণোদনার টাকা দেওয়া নিয়ে নানারকম সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন যে, এই প্রণোদনা প্যাকেজ যদি দ্রুত বাস্তবায়িত না হয়, তবে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। প্রশ্ন হল, এই প্রণোদনার প্যাকেজ কি বাস্তবায়িত হবে? সেটা বাস্তবায়িত হবে কিনা সেটা বুঝা যাবে ঈদের পরেই।

৫. গরীব মানুষকে আর কতদিন সহায়তা দেওয়া হবে?

এটি হল সরকার এবং অর্থনীতির সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যে, করোনা সংকটের কারণে একটা বিশাল জনগোষ্ঠী কার্যত বেকার এবং আয় রোজগারহীন। এদেরকে সরকার নানারকম সহায়তা দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে। সর্বশেষ ৫০ লাখ কর্মহীন পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। এসব সহায়তা যে কোন অর্থনীতির উপর একটা বড় চাপ। দীর্ঘকাল ধরে সরকার একটা বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে খাইয়ে পড়িয়ে রাখতে পারবে না। কাজেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে এই গরীব মানুষগুলোকে কতদিন সহায়তা দেওয়া হবে? এটার উপর নির্ভর করছে আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ।

কাজেই অনেক প্রশ্নের উপর নির্ভর করছে ঈদের পর বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনা এবং রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি।  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দাবদাহে এবার দশ শিক্ষার্থীসহ ১৩ জন হাসপাতালে

প্রকাশ: ০৮:০৯ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের সালথায় তীব্র দাবদাহে ৩ শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করেন।

অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালিন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর গতকাল রোববার স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি।

তিনি আরও বলেন, কিছু সময় কাজ করার পর তীব্র গরমে আমরা সবাই পানির পিপাসায় ভুগছিলাম। তখন সবারই গলা শুকিয়ে আসছিল। পরে স্কুলের টিউবওয়েল চেপে ঠান্ডা পানি বের করে তা পান করি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় স্থানীয় এক যুবক এসে আমাকে বলেন, স্যার ওই টিউবওয়েলের পানি খেয়েন না, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে। পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম, রবিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ার নাম পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।

সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন বলেন, ‘টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত’।

সালথা থানার ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ পাননি’।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী জানান, রোববার স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সকালে স্কুলে এসে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ পরলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাননি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখব। একইসঙ্গে আগামীকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি খেতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


দাবদাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে।

ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ক্লাস চলার সময় ছিঁড়ে পড়ল সিলিং ফ্যান, শিক্ষার্থী জখম

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুর পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সিলিং ফ্যান পড়ে সুমাইয়া আক্তার মীম নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের রশিদপুর এলাকার ইজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুমাইয়া আক্তার মীমকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

আহত মীম পৌরসভার বগাবাইদ গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। আহত সুমাইয়া আক্তার মীম সেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, সকাল ১০টা থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। দশম শ্রেণির ক্লাসরুমে তৃতীয় ঘণ্টার ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দ্বিতীয় তলার শ্রেণি কক্ষের একটি ফ্যান ভেঙে সুমাইয়ার ওপর পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুখের ওপরের ঠোঁট কেটে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। গত বছরও ওই বিদ্যালয়ে ফ্যান পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান তারা।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গেলে ছবি ও ভিডিও নিতে বাধা প্রদান করে বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। আর এ বিষয়ে কোনো বক্তব্যও দিতে চাননি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুজ্জামান। এ সময় তিনি শুধু বলেন, বক্তব্য কী দেব বলেন, ফ্যান পড়ে গেছে এই আর কি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত না। তবে খবর নিচ্ছি। জেলার সাতটি উপজেলায় সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জামালপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপদাহের কারণে দেশের পাঁচ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (সোমবার) বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের স্কুল-কলেজ-মাদরাসা খোলা রাখতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া পরবর্তী সময়ে এ পাঁচ জেলায় কিংবা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এমন অন্যান্য জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত সোমবার জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপদাহ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুই দফায় ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে সরকারের ভেতরে গুঞ্জন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর বাজেট অধিবেশনের আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে আসতে পারে বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এই মন্ত্রিসভা অপূর্ণ ছিল, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর ১ মার্চ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। তবে সে দফায় কোন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। বরং ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিসভা ছিল ৪৭ সদস্যের। এবারের মন্ত্রিসভা আওয়ামী লীগের গত তিন বারের মন্ত্রিসভায় চেয়ে আকারে সবচেয়ে ছোট। আর এই কারণেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি বিভিন্নভাবে আলোচিত হয়।  

সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা আরও বড় করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এছাড়া মন্ত্রিসভায় কয়েকটি দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালেয়ও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। 

এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার পরিবর্তে অন্য কোন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএ-এর অনুরোধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি করতে হতে পারে এই বিবেচনা থেকে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যিনি আইনে দক্ষ বিশেষ করে শ্রম আইনে দক্ষ কাউকে যেন এই মন্ত্রণালেয়র দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইতোমধ্যে ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে গত ২১ এপ্রিল। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভালো-মন্দ নানান রকম হিসেব নিকেশ প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে এখনই বিচার করার সময় হয়নি বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন। তবে টানা দুই থেকে তিনবার যারা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে দু’একজনকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে। এদের মধ্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এদের মধ্যে এক বা একাধিক জনকে পূণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, জুনাইদ আহমেদ পলক ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগের 'গুড বুকে' চলে গেছেন। বিশেষ করে তার শ্যালককে তিনি প্রার্থী থেকে প্রত্যাহার করার ফলে তিনি সরকারের আরও বেশি আস্থাভাজন এবং প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল কখন, কীভাবে হবে এবং কতজন নতুন মন্ত্রী হবেন এ বিষয় সম্পর্কে কেউই কিছু বলতে পারেননি। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এটি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন বিবেচনা করবেন তখনই তিনি এই রদবদল করবেন।

মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন