ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদের পরেই সবথেকে ভয়ঙ্কর হবে করোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৩ মে, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, কোথায় শেষ হবে ইত্যাদি নিয়ে কোন প্রক্ষেপণ এবং পূর্বাভাসই যেন মিলছে না। একের পর এক পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব এবং লক ডাউন না করলে বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন প্রক্ষেপণই সঠিক হবে না। বরং পরিস্থিতি দিনের পর দিন ভয়াবহ হবে, একটি চূড়ান্ত সীমার পর আরেকটি নতুন চূড়ান্ত সীমা শুরু হবে এবং এই পরিস্থিতি কখন শেষ হবে তা বোঝার উপায় নেই। কারণ বাংলাদেশে যখন করোনা পরিস্থিতি চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছিল ঠিক সেই সময় সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছিল। বিশেষ করে রাস্তাঘাট, দোকানপাট ইত্যাদি উন্মুক্ত করে দেওয়ার ফলে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে, কেউ কেউ ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হচ্ছে এবং দোকানপাটে কেনাকাটা করছে, বাজারহাট করছে। ফলে প্রতিদিনই নতুন নতুন সংক্রমণের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে, প্রতিদিনই নতুন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কাজেই বাংলাদেশ সম্পর্কে পূর্বে যে প্রেডিকশন করা হয়েছিল যে, বাংলাদেশে হয়তো করোনা পরিস্থিতি থাকবে মে মাসের শেষ পর্যন্ত এবং জুন মাসে আস্তে আস্তে দেশ স্বভাবিক হওয়া শুরু করবে। তবে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সেই ধারণাটি এখন ক্রমশ ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। এই ভুল প্রমাণের পেছনে তারা একাধিক কারণ দেখাচ্ছেন। তারা মনে করছেন যে-

প্রথমত; আগে যে প্রক্ষেপণটি করা হয়েছিল তখনকার বাস্তবতা, সাধারণ ছুটি বা লকডাউনকে মাথায় রেখে। কিন্তু এপ্রিল মাস থেকে ক্রমশ লকডাউন শিথিল হয়ে গেছে এবং মে মাসে এসে সাধারণ ছুটি বা লকডাউন বলতে কিছুই নেই। বরং গার্মেন্টস খুলে গেছে, দোকানপাট খুলে গেছে, মানুষ এখন ঈদের ছুটিতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে বাংলাদেশে নতুন করে আবার করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যেটা হয়তো আবার ২১ দিন বা ৩/৪ সপ্তাহের ভেতর চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছাবে।

দ্বিতীয়ত; তারা মনে করছেন যে, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের যে ভৌগলিক অবস্থা ছিল, সেটা ছিল ঢাকাকেন্দ্রিক। মূলত অর্ধেকের বেশি আক্রান্ত রোগীই ছিল ঢাকার। এটা বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিক ছিল। কারণ আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাসহ যা কিছুই থাকুক না কেন, তা হলো ঢাকাকেন্দ্রিক। আর ঢাকার বাইরে এই করোনা ছড়িয়ে পড়লে আমাদের একটি ভয়াবহ ট্রাজেডিতে পড়তে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কেননা ঢাকার বাইরে সাধারণ চিকিৎসারই অপ্রতুলতা রয়েছে, করোনা চিকিৎসা তো বটেই। আর এই বাস্তবতায় ঢাকা করোনার হটস্পট থাকবে এবং আস্তে আস্তে ঢাকাকে করোনা মুক্ত করার মাধ্যমে আমরা করোনা সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসবো বলে আমাদের চিকিৎসকরা আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু এখন যে লাখ লাখ মানুষ ঢাকার বাইরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছেন তার ফলে পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই সমস্ত লোকরা ঢাকার বাইরে চলে যাবেন। তারা ওই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে দিতে পারেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন এখন দেখা যাচ্ছে যে প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত। কাজেই এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যারা উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ কিংবা তথ্য গোপন করে শুধুমাত্র ঈদের জন্য যারা ঘরমুখো হচ্ছেন তাদের অনেকেই করোনায় সংক্রমিত এবং তারা দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে দিতে পারেন। এটা যদি গ্রামে ছড়িয়ে দেয় তাহলে এত ভয়ংকর অবস্থা নেবে।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আটজন বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল প্রক্ষেপণ করেছিল যে বাংলাদেশে ৫০ থেকে ৬০ হাজার করোনা সংক্রমণ হবে। সেই প্রক্ষেপণ এখন ভুল প্রমানিত হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে আক্রান্তের সংখ্যা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এখন লকডাউন শিথিল এবং সব কিছু শিথিল করার ফলে আমাদের দ্বিতীয় ধাপে করোনা সংক্রমণ শুরু হবে। দ্বিতীয় ধাপের করোনা সংক্রমণ আবার ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে চুড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছবে। অর্থাৎ আগামী জুনে গিয়ে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।

কোন কোন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে এখন যে সংক্রমণ হবে সেই সংক্রমণের ফলে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে যাবে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় যেটি চিকিৎসকরা মনে করছেন যে আমাদের সীমিত চিকিৎসা সুযোগ রয়েছে কাজেই যখনি আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ অতিক্রম করবে তখনি আমাদের ভয়ংকরভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়বে।

সারা বিশ্বের তথ্য বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখি যে, যারা আক্রান্ত তাদের মধ্যে ৮০ ভাগ এমনিতেই সুস্থ হয়ে যান, ২০ভাগ জটিল অবস্থায় যান। অর্থাৎ, বাংলাদেশের যদি ১ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয় তাহলে ২০ হাজার মানুষকে চিকিৎসা দিতে হবে। এই ২০ হাজার মানুষকে চিকিৎসা দেয়ার মত বাস্তব পরিস্থিতি আমাদের নেই।

আবার মোট আক্রান্তের মধ্যে ৫ শতাংশ মানুষ গুরুতর আক্রান্ত হয়। অর্থাৎ ১ লাখ মানুষ যদি আক্রান্ত হয়ে তার মধ্যে ৫ হাজার মানুষের আই সি ইউ, ভ্যান্টিলেশন ইত্যাদি লাগবে। অথচ আমাদের বাংলাদেশে এখন সব হাসপাতাল মিলিয়ে করোনা চিকিৎসার জন্য ৪০০-র কম আই সি ইউ আছে।

এই অবস্থায় আমাদের করোনা পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে কি ভয়াবহ অবস্থা অপেক্ষা করছে তা বলাই বাহুল্য। চিকিৎসকরা মনে করছেন ঈদের পর করোনা কমবে না বরং জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হবে এবং আমরা আরেকটি সর্বোচ্চ সীমার জন্য অপেক্ষা করবো। তখন এই পরিস্থিতিটি ভয়াবহ হবে আমাদের সকলের জন্যই।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারামুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টার দিকে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

পরে রিজার্ভ গার্ডে তাকে বসিয়ে রাখা হয় এবং বেলা ১১টার দিকে কারাগারের মূল ফটক থেকে তিনি বের হয়ে যান। গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার মামুনুল হকের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই শেষে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে মাওলানা মামুনুল হককে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা গেছে, মামুনুল হকের জিম্মাদার অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী আসতে দেরি হওয়ায় তাকে প্রায় এক ঘণ্টা রিজার্ভ গার্ডে বসিয়ে রাখা হয়। পরে বেলা ১১ টার দিকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে তিনি কারাগারের মূল ফটো থেকে বের হয়ে যান।

এ সময় মামুনুল হকের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে জিসান ও ভাগিনাসহ আরো কয়েকজন। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্ত পাবেন, এমন খবরে আলেম-ওলামারা কারা ফটকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার পর থেকেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন মামুনুল হকের সমর্থকরা।  


মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: উঠান বৈঠকে বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ

প্রকাশ: ১২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আলমের উঠান বৈঠকে তার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করার জন্য সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ফাঁকা গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, আমি বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকার হোয়াইক্ষং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ায় আমার একটি উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা ছিল। সেখানে হঠাৎ সাবেক এমপি বদি (আব্দুর রহমান বদি) চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলমকে সঙ্গে নিয়ে আমার অনুষ্ঠানস্থলে এসে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন।

তখন ভয়ে আমার সমর্থকরা পালিয়ে যায়। আমি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়েছি। পরে সেখান থেকে বের হয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। সাবেক এমপি বদি আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। যাতে কেউ আমার বিরুদ্ধে কাজ না করে। আমার জনপ্রিয়তা বদি সাহেব মেনে নিতে পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর আলম বলেন, গুলি ছোড়ার ঘটনা পুরাপুরি মিথ্যা। উল্টো নুরুল আলম আমার এক সমর্থককে ধরে নেওয়ার খবর শুনে আমি আর বদি ভাই (সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি) সেখানে যাই।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমের একটি অনুষ্ঠানে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা শুনেছি। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের টিম সেখানে গিয়েছে। এ ঘটনায় নুরুল আলম একটি অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।


উপজেলা নির্বাচন   উঠান বৈঠক   অভিযোগ   সাবেক এমপি   আব্দুর রহমান বদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে জয়দেবপুর স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিলেন না বলে জানা গেছে। জয়দেবপুর স্টেশনমাস্টার হানিফ মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।


দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে রক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।


সংঘর্ষ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন