ইনসাইড বাংলাদেশ

দীর্ঘস্থায়ী যে সঙ্কটের মুখে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ২৬ মে, ২০২০


Thumbnail

করোনা সঙ্কট অন্যান্য দেশগুলোর জন্য এসেছে একটি আপদকালীন সমস্যা হিসেবে। ৩ মাস, ৫ মাস বা ৬ মাসের সঙ্কট হিসেবে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য করোনা সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদি বহুমাত্রিক কিছু সঙ্কট সৃষ্টি করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবং বাংলাদেশের জন্য চটজলদি এই সঙ্কটগুলো থেকে উত্তরণ করা জটিল হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বাংলাদেশে গত মার্চ মাস থেকে যে করোনা সঙ্কট শুরু হয়েছে তা এখনো চলছে এবং এই সঙ্কট কতদিন চলবে সে সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া যাচ্ছেনা। আর করোনা সঙ্কট শুধু একা আসছে না, সঙ্গে আনুষাঙ্গিক অনেক সমস্যা নিয়ে আসছে। বিশেষত অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভয়ঙ্কর স্থবিরতা নিয়ে এসেছে। আর একারণেই বাংলাদেশ এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদি কিছু সঙ্কটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বা ইতিমধ্যে পড়া শুরু করেছে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা যে দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কটগুলোর আশঙ্কা করছেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে

করোনা সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন যে, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব শীঘ্রই ভেঙে পড়বে। কারণ করোনা রোগীর সংখ্যা যখন বাড়বে তখন হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ছাড়া অন্য রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবেনা। তাছাড়া তাঁরা মনে করছেন যে, বাংলাদেশে এখন বিপুল পরিমাণ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যত করোনা রোগী বাড়বে তত আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে। ফলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তাঁরা এটাও মনে করছেন যে, করোনা চিকিৎসার জন্য টেস্টিং কিটসহ উপকরণ সঙ্কট দেখা দিবে এবং আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটের ভেতর পড়বো। অনেকে মনে করছেন যে, ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত এই সঙ্কট আমাদের দেশে চলতে পারে।

২. অর্থনৈতিক সঙ্কট দীর্ঘ হবে

করোনা সঙ্কট শুরুর সাথে সাথেই অর্থনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়েছে। বিশ্বের সব দেশের জন্যেই এটা প্রযোজ্য যে, করোনা সঙ্কট একা আসে না, সাথে অর্থনৈতিক সঙ্কটও নিয়ে আসে। কারণ করোনা মোকাবেলায় লকডাউন এবং অর্থনৈতিক গতিপ্রবাহ বন্ধ করে দিতে হয় এবং একারণেই আমাদের অর্থনৈতিক সঙ্কট ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং এই সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এই মানুষরা সহসা চাকরি পাবে এমন আশা করা যাচ্ছেনা। বেশকিছু দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য সমস্যা একটি বড় সমস্যা। যদি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, যতদিন করোনা সমস্যা না যাবে ততদিন পর্যন্ত প্রান্তিক, দরিদ্র মানুষকে সহায়তা দেয়া অব্যহত রাখা হবে। কিন্তু সরকার কতদিন সহায়তা দিবে? যদি করোনা সঙ্কট চার মাসের বেশি সময়ে গড়ায় তাহলে এই সহায়তা দেয়া সরকারের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ক্ষুদ্র, মাঝারি এমনকি কিছু বৃহৎ শিল্পের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দ্রুত সবকিছু স্বাভাবিক হবে এই প্রত্যাশা করা যাচ্ছেনা। বাংলাদেশের করোনার আগের মতো অবস্থায় ফিরে যেতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।

৩. রেমিটেন্স প্রবাহ সহসা ভালো হচ্ছেনা

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবথেকে বড় হাতিয়ার হচ্ছে বিদেশিদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স। বৈশ্বিক করোনা সঙ্কটে বাংলাদেশের অভিবাসনে ধ্বস নেমেছে এবং বাংলাদেশ একটি দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটের পথে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশের অভিবাসীরা খুব সহজেই বিদেশে যেতে পারবে এমন আশা করা দুরাশার নামান্তর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশে যদি ঈদের কারণে কিছু রেমিটেন্স বেড়েছে, তবে তা আগামী মাসেই আবার কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমাদের অভিবাসন খাতে একটি দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কট তৈরি হবে তা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

৪. রপ্তানী আয় হোঁচট খাবে

ইতিমধ্যে বাংলাদেশের পোষাক খাতসহ বিভিন্ন খাতে ধ্বস নেমেছে এবং এই ধ্বস দীর্ঘমেয়াদী হতে যাচ্ছে। কারণ অন্যান্য দেশগুলো সঙ্কট কাটিয়ে উঠলেও তাঁদের যে অর্থনৈতিক সঙ্কট, সেই সঙ্কটের জন্য তাঁরা ক্রিচ্ছতার পথে যাবে এবং বাংলাদেশ থেকে পোশাকসহ যে অন্যান্য পণ্য আমদানি করবে, তা কমে যেতে পারে।

৫. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

করোনা সঙ্কটের কারণে ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন সবথেকে বেশি সংক্রমিত হয়েছে। ফলে করোনা সঙ্কটের কারণে চুরি-ডাকাতি সহ অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে এবং সামগ্রিকভাবে একটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্কট তৈরি হবে এবং এই সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদী হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কটগুলো কাটিয়ে উঠে কবে বাংলাদেশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে সে এক কঠিন প্রশ্ন। তবে সেই সঙ্কট থেকে উত্তরণের চটজলদি এবং সহজ কোন পথ নেই বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার উপজেলায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই-ভাগ্নের মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ মে) তারা মনোনয়ন দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহানা আক্তার। 

এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী হয়নি।

৪র্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।

উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই মুক্তি পাচ্ছেন।

তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এমন খবরে সেখানে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

হেফাজতে ইসলাম   মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজশাহীতে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মে) থেকে প্রতীকী এই বিয়ের আয়োজন করা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল পশ্চিম আদিবাসীপাড়ায়। এ গ্রামের বাসিন্দারা সাঁওতাল। তবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। সাঁওতালি রীতিনীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

গ্রামের একমাত্র চার্চের শিক্ষক অঞ্জলী বিশ্বাসসহ কয়েকজন ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন। এ জন্য বুধবার বিকেলে তারা গ্রামের এক শুকনো পুকুরপাড় থেকে একটি ছেলে ব্যাঙ ও একটি মেয়ে ব্যাঙ ধরে আনেন। তারপর সন্ধ্যায় গ্রামের চার্চে সাজানো ছাতনাতলায় বর ও কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিয়েতে বরের নাম রাখা হয় শিমুল। আর কনের নাম মেঘলা বিশ্বাস। গায়ে হলুদের পর কনেকে রাখা হয়েছিল গ্রামের আলফন্স বিশ্বাসের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের নারী ও শিশু-কিশোরীরা নেচে-গেয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। এরপর সবাই লাইন ধরে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের আশীর্বাদ নিয়ে বরযাত্রী হিসেবে বর নিয়ে রওনা দেয়। সঙ্গে যান বরের প্রতীকী বাবা সৈকত বিশ্বাস আর প্রতীকী মা ভাবনা বিশ্বাস নামের দুই শিশু।

আলফন্স বিশ্বাসের বাড়ি গেলে বরের বাবা-মায়ের পা ধুইয়ে দেওয়া হয় পানি দিয়ে। তারপর সবাই বাড়িতে কনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কনে সাজানো শেষ হলে অঞ্জলী বিশ্বাস পুরোহিত সেজে বর-কনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর বর শিমুলের হাত দিয়ে কনে মেঘলার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার পর শেষ হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। পরে বর-কনেকে একটি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিয়ের আয়োজক অঞ্জলী বিশ্বাস বলেন, ‘টানা খরায় পথঘাট পুড়ে যাচ্ছে। সব ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। পশুপাখি ও অন্যান্য প্রাণি কষ্ট পাচ্ছে পানির অভাবে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী দুই কোলা ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো।’

বৃষ্টি   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন