নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৫ পিএম, ২৯ মে, ২০২০
করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার সারা দেশে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি কর্মহীন, দুস্থদের মধ্যে প্রতি পরিবারের জন্য মোবাইল একাউন্টে আড়াই হাজার টাকা পাঠিয়েছে। সেই তালিকা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তৈরি করেছেন। প্রত্যেক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালিকার বিশুদ্ধতা যাচাই বাছাই করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে জমা দিয়েছেন। ইউএনও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন।
করোনাভাইরাস উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মোবাইল ব্যাংকিং নগদের মাধ্যমে কর্মহীন মানুষের জন্য পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহয়তার টাকা বোয়ালখালী পৌরসভার এক কাউন্সিলর নিজে তো নিলেনই, বিতরণ করলেন আরো দুই কোটিপতির মোবাইলে। দুই কোটিপতির একজন সেই সহায়তা সানন্দে গ্রহণ করলেও অপরজন টাকা পেয়ে রীতিমত চমকে উঠলেন!
বোয়ালখালী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোলাইমান বাবুল তালিকা তৈরির সময় তালিকার ২৯ নম্বরে বোয়ালখালী প্রেস ক্লাবের একাংশের সভাপতি শাহিনুর কিবরিয়া মাসুদ, ৩৯ নম্বরে এসএম নুরুল আহাদের নাম আর ৩৩ নম্বর দুঃস্থদের ব্যক্তির তালিকায় রেখেছেন নিজের নাম।
শাহিনুর কিবরিয়া মাসুদ একটি দৈনিকের বোয়ালখালী প্রতিনিধি এবং পারিবারিকভাবেই বেশ অবস্থাসম্পন্ন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, ‘ঈদের সকালে ঘুমে থেকে জেগে দেখি মোবাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার আড়াই হাজার টাকা আসছে আমিও পেলাম। করোনা দুর্যোগ শুরু হওয়ার পর আমার পরিবারের পক্ষ থেকেই প্রায় দুই লাখ টাকার ওপরে খরচ করা হয়েছে মানুষকে সহায়তার জন্য। পরে খবর নিয়ে জানলাম আমাদের কাউন্সিলর তালিকায় আমার নাম্বার দিয়েছিলেন। ওই টাকা দোকানপাট খুললে ক্যাশ করে কারো মাঝে বিতরণ করে দেবো।’
অপর ব্যক্তি এসএম নুরুল আহাদ একসময় প্রবাসী ছিলেন। বোয়ালখালী পৌর এলাকায় তার একাধিক বাড়ি আছে বলেও জানা গেছে। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন তার তিন সন্তানের দুই সন্তান দেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখন নিজে বেকার। কোন কিছু করি না হিসেবে কাউন্সিলর সাহেব খুশি হয়ে আমার নাম তালিকায় দিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পেয়ে খুশি।’ গরিব-দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দ করা টাকা আপনি পেতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব দেননি।
কাউন্সিলর সোলাইমান বাবুল বলেন, ‘আমাকে শুধু কাউন্সিলর হিসেবে দেখছেন কেন? আমিও তো দেশের নাগরিক। সেই হিসেবে আমিও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পেতে পারি। আমি তো বউ বাচ্চা আত্মীয়স্বজনদের নাম তালিকায় দিয়ে আরো বেশি নিতে পারতাম। সেটা তো করিনি।’
তালিকায় অপর দুই কোটিপতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওদের এক সময় টাকা পয়সা ছিল, এখন কিছু নাই। সবাই অসহায়, দুঃস্থ।’
তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ বলেন, ‘যাচাই-বাছাই বলতে আমার দায়িত্ব ছিল ভুল সংশোধন। এক হাজার ২০৪ জনের তালিকায় প্রচুর ভুল ছিল। কারো মোবাইলের ডিজিট কম ছিল। কারো ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সংখ্যা কম ছিল। আবার দেখা গেলো এনআইডি পিতার, মোবাইল নাম্বার ছেলের। ওসব সংশোধনের দায়িত্বে ছিলাম। তালিকায় কে থাকবে না থাকবে তা কাউন্সিলর দেখবেন।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।