নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২৯ মে, ২০২০
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জীবনের পাশাপাশি জীবিকার গতি সচল রাখতে শেখ হাসিনার সরকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং গণপরিবহন চালুর বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মে) বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালুর নিমিত্তে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনসহ অংশীজনদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে ওবায়দুল কাদের ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার মার্চের শেষ সপ্তাহে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৃত্যুর সংখ্যা ও সংক্রমণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছালেও সার্বিক বিবেচনা করে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন লাখ লাখ শ্রমিক, মালিকের জীবনের সঙ্গে পরিবহনের একটি সম্পর্ক রয়েছে। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মানবিক মানুষ, তার মানবিকতা ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রশ্নাতীত।
তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করব, আপনারা যারা পরিবহন ব্যবসা সংশ্লিষ্ট তারা চলমান সংকট মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাবেন না। আপনাদের সামান্য ভুল বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। আপনারা আজ বসে কিছু নীতিমালা ঠিক করুন, কিভাবে যাত্রী সেবা দেয়া যায়, পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা যায়।
তিনি বলেন, গণপরিবহন সংক্রমণের জন্য অত্যান্ত ভয়ানক হতে পারে। এখানে শ্রমিক, চালক, যাত্রী, পথচারী অনেকেই সংশ্লিষ্ট। একজন গাড়িতে উঠলে চেইন রিঅ্যাকশনে অনেককে সংক্রমিত করতে পারে। তাই ঢালাওভাবে নয়, নিয়ন্ত্রিত উপায়ে সীমিত পরিসরে যাত্রী সেবা প্রদানে আপনারা প্রতিপালনীয় শর্তগুলো ঠিক করুন।
কাদের বলেন, শুধু ঠিক করলেই হবে না, কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকেও নজর রাখতে হবে। করোনার মৃত্যুর মিছিলের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দেশের মানুষ দেখতে চায় না। শুরুতে আমি কয়েকটি বিষয় আপনাদের নজরে আনতে চাই। তা হলো, স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
বাস টার্মিনালে কোনোভাবেই ভিড় করা যাবে না। তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীর গাড়ির লাইনে দাঁড়াবেন এবং টিকেট কাটবেন।
মন্ত্রী বলেন, স্টেশনে পর্যাপ্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাসে কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবে না। বাসের সব সিটে যাত্রী নেয়া যাবে না। ২৫- ৩০ শতাংশ সিট খালি রাখতে হবে। পরিবারের সদস্য হলে পাশের সিটে বসানো যাবে অন্যথায় নয়। যাত্রী, চালক, সহকারী, কাউন্টারের কর্মী সকলের জন্য মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ট্রিপের শুরুতে এবং শেষে বাধ্যতামূলকভাবে গাড়ির অভ্যন্তরভাগসহ পুরো গাড়িতে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। যাত্রী উঠানামার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। চালক, কন্ডাক্টদের ডিউটি একটানা দেয়া যাবে না। তাদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রেস্ট দিতে হবে।
তিনি বলেন, মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে পথিমধ্যে থামানো, চা বিরতি এড়াতে পারলে ভালো। কারণ সংক্রমণ কোথা থেকে হবে তা কেউই জানে না। যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালামাল জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে। ভাড়া নির্ধারণের জন্য বিআরটিএর একটি কমিটি রয়েছে। সে কমিটি আলোচনা করে যুক্তিসঙ্গত ভাড়া চূড়ান্ত করবে।
কাদের বলেন, আমি আশা করব, আপনারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন এবং বাস্তবায়ন করবেন যেন গণপরিবহন সংক্রমনের ঊর্বর ক্ষেত্র হতে না পারে। এমনিতেই জনগণ উদ্বিগ্ন। আপনারা জনগণের উদ্বেগকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা গণপরিবহন সীমিত পর্যায়ে পরিচালনার যে সাহসী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তা আপনাদের উপর দৃঢ় আস্থার বহিঃপ্রকাশ। আপনারা তার আস্থার প্রতি সন্মান রাখবেন।
মন্ত্রী বলেন, টার্মিনালে চালক, সহকারী ও শ্রমিকদের কাউন্সেলিং করুন, প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিবেন গাড়ি চালুর আগে। পুলিশ প্রশাসন, বিআরটিএ ও মন্ত্রণালয় আপনাদের সহযোগিতা দেবে। পাশাপাশি নিয়ম অমান্য করলে শাস্তিরও বিধান থাকবে জনস্বার্থে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের খুবই আশঙ্কা রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপীই এই কৌশল অনুসরণ করা হয়। সেটা হলো বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় যেন মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। যদি বাইরে থাকে তবে গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যেন না থাকে।
চলমান দাবদাহের বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে সোমবার থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত
চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ
করা হয়েছে। এ ছাড়া, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার,
অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের
পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী
হিসেবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী,
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক
কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসারেরা উপস্থিত ছিলেন।
সেনানিবাস প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন। রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে।
দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।