নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩১ এএম, ৩১ মে, ২০২০
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার কাছে ফল হস্তান্তর করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সেখানে উপস্থিত আছেন।
করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে আজ ভিন্ন আঙ্গিকে প্রকাশ পাচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল। এবার কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ফল পাঠানো হবে না। সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। তাই আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসও বন্ধ রাখতে বোর্ডগুলোর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেলা ১১টায় ফেসবুক লাইভে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
যেসব শিক্ষার্থী মোবাইল থেকে ‘প্রি-রেজিস্ট্রেশন’ করে রেখেছেন মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পরপরই তারা এসএমএসে ফল পেয়ে যাবেন।
গত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হলেও এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত যে, চলতি বছরের ৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা চলে। এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের আওতায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী। বিদেশে আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয় ৩৪২ জন।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩২২ জন। ছাত্রের তুলনায় ৫১ হাজার ৪০৪ জন ছাত্রী বেশি।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ৪৭ হাজার ১১৬ জন। ছাত্রের তুলনায় ছাত্রী বেশি ১২ হাজার ৯৭৮ জন।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ১ লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
ফল জানা যাবে যেভাবে
এবার সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নিজ নিজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। শিক্ষার্থীরা রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবেন।
যারা প্রি-রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফল দেওয়া হবে। রোববার দুপুর ১২টা থেকে ওয়েবসাইট থেকেও এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পাওয়া যাবে। এ জন্য http://www.educationboardresults.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইনপুট দিয়ে ফল জানা যাবে।
এছাড়া ফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে যে কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে এসএমএস করতে হবে। এ জন্য SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর অর্থাৎ ঢাকা বোর্ড হলে Dha লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২০ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে পরীক্ষার্থীর ফল জানানো হবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।