নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২০
করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা বিবেচনা করে করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলোকে তিনটি জোনে ভাগ করার ব্যাপারে সরকার কাজ করছে বলে জানা গেছে। গতকাল মন্ত্রীপরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিবেচনায় দেশের ৬৪ টি জেলাকে তিনটি ভাগে ভাগ করার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলা হয়েছে যে, লাল, হলুদ এবং সবুজ- এই তিনভাগে ভাগ করা হবে এলাকাগুলোকে। সবথেকে সংক্রমিত এলাকাগুলোকে লাল বা রেড জোন, অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত এলাকাগুলোকে হলুদ জোন এবং সংক্রমণ নেই যেখানে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা যাবে সেখানে সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বাড়ছে। তাই লাল, হলুদ এবং সবুজ জোন চিহ্নিত করা হচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সবকিছু খুলে দেওয়ার পর এভাবে লাল, হলুদ এবং সবুজ জোন চিহ্নিত করলে আবার নতুন করে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। তাঁরা মনে করছেন নানা কারণে বাংলাদেশকে এই জোন হিসেবে বিভক্ত করা বিভ্রান্তিকর এবং ভুল সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই ক্ষেত্রে তাঁরা কতগুলো যুক্তি উপস্থাপন করছেন।
প্রথমত তাঁরা বলছেন যে, বাংলাদেশে এখন সবথেকে বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম, এরপর তৃতীয় স্থানে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। অথচ এই এলাকাগুলোই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। রেড জোন হওয়ার কারণে যদি ঢাকা-চট্টগ্রাম-নারায়ণগঞ্জ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে অর্থনীতির কি হবে? অর্থনীতির গতি সঞ্চারণের জন্যেই বাংলাদেশ ঝুঁকি নিয়েও সবকিছু সীমিত আকারে সচল রাখার সিদ্ধান্ত নেয় গত ৩১শে মে। আবার এখন যদি রেড জোন বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে অর্থনীতি সম্পূর্ণ গতি হারাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জ। এই তিনটি জেলাই যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে পরিস্থিতি খারাপ হবে।
দ্বিতীয়ত, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, বাংলাদেশে সামাজিক সংক্রমণ এখন ছড়িয়ে পড়েছে। যেটিকে এখন সবুজ জোন মনে করা হচ্ছে, কম ঝুকিপূর্ণ মনে হচ্ছে, তা আগামীতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যেতে পারে। আবার যেটা এখন হলুদ জোন হিসেবে মনে করা হচ্ছে সেটাও রেড জোন বা সবুজে পরিণত হতে সময় নিবেনা। তাছাড়া আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাফেরা করছে এবং এর ফলে সামাজিক সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে চলাচল বন্ধ করাটা অসম্ভব ব্যাপার। উদাহরণ দিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন যে, ঈদের ছুটির আগে ঢাকাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। মানুষ যে যেভাবে পেরেছে ছুটে চলে গেছে। কাজেই সবকিছু খুলে দেওয়ার পর আমাদের এমন জোন ম্যাপ ভাগ দেয়াটা কতটুকু সফল হবে সেটা এখন বড় প্রশ্ন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া তাঁরা মনে করছেন যে, এখন গোটা বাংলাদেশই একটি জোন। তাই কোথায় কম সংক্রমণ, কোথায় বেশি সংক্রমণ সেটি বড় বিবেচ্য বিষয় নয়। কারণ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে এবং কম সংক্রমিত যে জায়গাগুলোর কথা বলা হচ্ছে, সেই জায়গাগুলোতে কম পরীক্ষা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রামে অনেক বেশি পরীক্ষার কারণে অনেক বেশি শনাক্ত হচ্ছে। বরং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জোন ম্যাপ ভাগ করার আগে ব্যাপক পরীক্ষা প্রয়োজন, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ঈদের ছুটিতে মানুষের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া একটি নতুন সঙ্কট তৈরি করেছে। এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য সবার আগে দরকার ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করা, সংক্রমিতদের চিহ্নিত করা, সংক্রমিতদের আলাদা করা এবং তাঁদের কন্টাক্ট ট্রেসিং করা। এখন জোন-জোন ভাগ করলে পরস্থিতি উন্নতির থেকে অবনতি হওয়ার শঙ্কাই বেশি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা যান ৩ বছর আগে। সেই মামলার রহস্যের জট খুলেছে ৩ বছর পর। আসামী আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই ফিরোজ আহমেদ জানান, বিগত ২০২১ সালের ৯ মার্চ ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আমির হোসেন ও তার দলবল কায়দা করে ভিকটিমের সাথে ভাব জমিয়ে তাকে বিস্কুটের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খ্ইায়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা মালামাল নিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসের হেলপার তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছাগলছিড়া এলাকায় তাকে বুঝে দিয়ে বরিশালের দিকে বাস চলে যায়।
পরে
মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাচ্চু শেখকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মৃত বাচ্চু শেখের স্ত্রী মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ পিবিআই মূল অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পিবিআই-এর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক বার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরী সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫শ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে পুলিশবাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে।
এঘটনায় বিজয়ী ও পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফ উদ্দিন আনোয়ার।গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর আবারও দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল ও ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিজয়ী ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ইবনে হোসাইন ভুলু এবং পরাজিত প্রার্থী তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরীকে আটক করেছে।
ইউপি নির্বাচন সংষর্ঘ চেয়ারম্যান প্রার্থী গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনী-১
মন্তব্য করুন