ইনসাইড বাংলাদেশ

১৯ লাখ টাকা মেরে খেতে চট্টগ্রাম রেলে এ কেমন কাণ্ড!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:৪৪ এএম, ৩০ জুন, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অবস্থান চট্টগ্রামে হালিশহর এলাকায়। রেলওয়ে সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশিক্ষণ এখানেই দেওয়া হয়। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ৩২ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন সেই রেলওয়ে ট্রেনিং একাডেমিতে (আরটিএ)। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের কাছ থেকে নেওয়া হয় পরীক্ষা। নিয়ম অনুযায়ী ওই পরীক্ষার খাতা কেটে প্রশিক্ষণার্থীদের দেওয়ার কথা সনদ। কিন্তু ট্রেনিং একাডেমি তাদের কাছ থেকে নেওয়া পরীক্ষার খাতা কাটেনি। খাতা না কেটে তাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে দেয়।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ৩২ কর্মকর্তা ২০১৮ সালে এখানে প্রশিক্ষণ নেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তারা আরটিএতে। অভিযোগ উঠেছে, ৩২ কর্মকর্তাকে দেড় মাস প্রশিক্ষণের পর কোর্স কোঅর্ডিনেটর আবুল কাসেম তাদের পরীক্ষার খাতা নিজের কাছেই রেখে দেন। খাতাগুলো না কেটেই উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন প্রশিক্ষণার্থীদের।

এরপর এই প্রশিক্ষণের জন্য বিল করা হয় প্রথমে ৪৩ লাখ টাকা। আরটিএর পক্ষ থেকে রেল মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এ বিল পাঠানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন আরটিএ প্রধান (রেক্টর) রুহুল কবির আজাদ। কিন্তু মন্ত্রণালয় ৪৩ লাখ টাকার বিপরীতে ১৯ লাখ দিতে সম্মত হয়। দুটি চেকের মাধ্যমে এ বিল পাঠানো হয় আরটিএ প্রধানের কাছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আরটিএর সংরক্ষিত একাউন্ট ও যৌথ একাউন্টে এ চেক জমা করা হয়।

এদিকে নিয়ম অনুযায়ী যে ১২ জন প্রশিক্ষক পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের ৩২ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন আরটিএর অধীনে, তাদের আর্থিক সম্মানী দেওয়ার কথা। কিন্তু সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রশিক্ষণ বিল বাবদ চেক জমা হয়ে গেলেও প্রশিক্ষকদের সম্মানী পরিশোধ করতে গড়িমসি শুরু করে আরটিএ। দেবে দেবে বলেই পার করে দেওয়া হয় দেড় বছর।

এর মধ্যে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া লিখিত পরীক্ষার খাতা না কেটেই বিলের প্রক্রিয়া শুরু করে আরটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তা। পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীদের উত্তীর্ণ ঘোষণা দিয়ে দেয় আরটিএ। ট্রেনিং শেষে স্পেয়ার লেটার (সাময়িক সনদ) দেওয়া হয় প্রশিক্ষণার্থীদের।

এরই মধ্যে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বর্তমান জিএম সরদার সাহাদাত আলী ভারপ্রাপ্ত রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর ওই প্রশিক্ষকরা তাদের সম্মানীর বিষয়ে যোগাযোগ করেন। তখন ভারপ্রাপ্ত রেক্টর তাদের সম্মানী পরিশোধ কেন হয়নি তা জানতে চান আরটিএর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।

এ সময় জানাজানি হয়, প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া লিখিত পরীক্ষার খাতাই কাটা হয়নি। যার কারণে ভারপ্রাপ্ত রেক্টর সরদার সাহাদাত আলী ওই প্রকল্পের চেকের কোনো টাকা উত্তোলনে সম্মত হননি। এর পরপরই তিনি খাতা কাটার নির্দেশনা দেন। প্রশিক্ষণের প্রায় ১ বছর ৩ মাস পর ওই প্রশিক্ষণার্থীদের খাতা কাটা হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে। যদিও তাদের এক বছর আগেই উত্তীর্ণ ঘোষণা দিয়ে দিয়েছিল আরটিএ।

প্রশিক্ষকদের একজন বলেন, ‘২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ কোর্স কো-অর্ডিনেটর আবুল কাসেম প্রশিক্ষকদের ডেকে প্রশিক্ষণার্থীদের খাতাগুলো দেন। পরে তারা কেটে তা জমা দেন। ১ বছর ৩ মাস পর কেন এই খাতাগুলো কাটা হল তা আমার কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। কারণ খাতাগুলো না কেটেই প্রশিক্ষণার্থীদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে বিল আত্মসাৎ করাই আবুল কাশেমের উদ্দেশ্য ছিল। যা বর্তমান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় জিএম ও ভারপ্রাপ্ত রেক্টর সরদার সাহাদাত আলীর কারণে সম্ভব হয়নি। তিনি যাচাই করার ফলে খাতা যে কাটা হয়নি তা উঠে এসেছে। আবুল কাশেমের উদ্দেশ্য ছিল নতুন যোগ দেওয়া ভারপ্রাপ্ত রেক্টরের স্বাক্ষর নিয়ে বিল তুলে নেওয়া। কিন্তু রেক্টর খাতা না কেটে বিল তোলার সুযোগ দেননি।’

জানা গেছে, কোর্স কোঅডিনেটর দায়িত্বে থাকা আবুল কাসেম গত ৮ জুন ফলাফলে স্বাক্ষর করেন। অথচ খাতা না কেটে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রায় দেড় বছর আগেই উত্তীর্ণ ঘোষণা করেন আবুল কাশেম।

অভিযোগ উঠেছে, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতেই সব রকম চেষ্টা করেন সাবেক রেক্টর আনোয়ার হোসেন ও সিনিয়র ট্রেনিং অফিসার আবুল কাসেম। প্রকল্পের পুরো টাকা আত্মসাৎ করার সব আয়োজন সম্পন্ন করেন তারা। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর নেন রেক্টর আনোয়ার। তার কয়েক দিন পর ১৯ লাখ টাকার চেক আসে। অবসর যাওয়ার শেষ দিন রেক্টর আনোয়ার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন উচ্চমান সহকারী মাহমুদা খানমকে। কারণ প্রশিক্ষণের এই ভুয়া বিলসহ, জাল ক্রয় বিল, ফাইল স্বাক্ষর করতে অনীহা প্রকাশ করে আসছিলেন মাহমুদা। সেই সাথে ৩২ কর্মকর্তার খাতা না কেটে তাদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করে বিল আদায়ের বিরুদ্ধেও কথা বলেছিলেন মাহমুদা খানম।

এ বিষয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জিএম ও ভারপ্রাপ্ত রেক্টর সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘তারা বলতে পারতো, প্রশিক্ষণার্থীরা সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। উত্তীর্ণ কথাটা রেজাল্ট প্রকাশের সময় বলতে পারতো। এরা সব পণ্ডিতের পণ্ডিত। এটি কেমন কথা— আগে পাশ করিয়ে দিয়ে, পরে খাতা কাটা?’

তিনি আরও বলেন, ‘টাকা আমার হাতে। টাকা যখন আমার নামে আসবে এই টাকার জবাবদিহিতা আমার। আমার যেহেতু জবাব দিতে হবে আমি টাকা দেখে ও বুঝেই দেবো। আপনি খাতা কেটেছেন পাঁচটা। প্রতিটা খাতা যদি ২০ টাকা করে সম্মানী হয়, আমি সেটার ডকুমেন্ট দেখে আপনাকে ১০০ টাকা দেবো। আমি থাকতে অন্য কোনো উপায়ে বিল নেওয়ার সুযোগ নেই।’



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছরেই চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) বাস্তবায়নে প্রকল্পটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে আগামী বছর। তবে এর আগে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

তারা জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ পর্যায়ে। ২০২৫ সালে প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সব কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে চলেছে। পরে দ্বিতীয় ইউনিটটি উৎপাদনে যাবে পরের বছর ২০২৬ সালে।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, এ প্রকল্পটি চালু করার সময় যে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে, তা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থেকে নেয়া হবে। প্রকল্প এলাকায় এই বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তুতির কাজও এগিয়ে চলছে। এর প্রথম অংশের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। অক্টোবরের আগে বাকি কাজও শেষ হবে।

চূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার আগে আগামী অক্টোবরে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার দিকে যাচ্ছি। অক্টোবরে প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।

রাশিয়ার প্রযুক্তি ও আর্থিক সহযোগিতায় পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে দেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে দেশটির রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন (রোসাটম)। এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত থ্রিজি(+) ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জ্বালানিও সরবরাহ করবে রাশিয়া। গত বছর অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞ তৈরি ও তাদের প্রশিক্ষণের কাজও করছে রাশিয়া। প্রকল্পটি চালুর পর ৫-৬ বছর বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়ার বিশেষজ্ঞরাই এটি পরিচালনা করবেন। পরে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আরো প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য রাশিয়ায় প্রশিক্ষণে পাঠানো হচ্ছে। রাশিয়া থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর এর পরিচালনার কাজে যুক্ত হবেন।

এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমাদের টিম ওয়ার্ক ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে জ্বালানি আসা পর্যন্ত সব কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আরো বিশেষজ্ঞ তৈরির জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর পর তারা কাজ করবেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুইটি ইউনিটের প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট অর্থাৎ দুইটি ইউনিট থেকে মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

এদিকে, প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর পর এই একই স্থানেই দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। দ্বিতীয় প্রকল্পটিও বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিচ্ছে রাশিয়া। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোসটামের প্রধানের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্টদের আলোচনাও শুরু হয়েছে।


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র   রোসাটম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:৩৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নিয়ামতি ইউনিয়নের ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে গৃহবধূ সোনিয়া বেগম (৩১), তার ৯ বছরের মেয়ে রেজমি আক্তার ও ৫ বছরের ছেলে সালমান মোল্লা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


বিদ্যুৎস্পৃষ্ট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর চার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি: ডিএমপি

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকার ৫০টি থানা এলাকার মধ্যে ১০টি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ লক্ষ্য করা যায়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আজকের কিশোর আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি ‘কিশোর গ্যাং’।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।

কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। পরিবার থেকে মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

মোবাইলের দুটি দিক উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, একটি নেতিবাচক অন্যটি ইতিবাচক। একটি মোবাইল একটি লাইব্রেরি, একটি জ্ঞান ভাণ্ডার। মোবাইলের পজিটিভ দিক শিক্ষার্থীরা যেন ব্যবহার করে সেই শিক্ষাটা অভিভাবকদের দিতে হবে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।


রাজধানী   কিশোর গ্যাং   ডিএমপি   কমিশনার হাবিবুর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে তাপদাহে দূর্বিসহ জনজীবন, বৃষ্টির আশায় ইস্তিসকা’র নামাজ

প্রকাশ: ০২:২৮ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail জয়পুরহাটে বৃষ্টির আশায় ইস্তিকার নামাজ আদায়

প্রচন্ড তাপ প্রবাহে জয়পুরহাটে জনজীবন দূর্বিসহ হয়ে পরেছে। জয়পুরহাটে আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠানামা করছে।

অতিরিক্ত তাপদাহের কারনে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিন মজুর ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষরা। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ডাবের পানি সহ বিভিন্ন পানীয় জাতীয় পান করে তৃষ্ণা নিবারন করছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের জন্য সেলাইন পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, বৃষ্টির জন্য ওলামা পরিষদের আয়োজনে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা। নামাজে ইমামতি করেন জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদে খতিব মাওলানা শরিফ উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা ওলামা পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুল মতিন, সভাপতি মাওলানা আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিনসহ অন্যরা।


তীব্র তাপপ্রবাহ   ইস্কিকার নামাজ   অতিষ্ট জনজীবন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রোববার থেকে খুলছে স্কুল, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপদাহের মধ্যে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলছে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে বন্ধ থাকবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।  

শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ২৮ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় যে শিখন ঘাটতি হয়েছে তা পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।


স্কুল   বন্ধ   প্রাক-প্রাথমিক   প্রাথমিক   প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন