ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ৩০ জুন, ২০২০


Thumbnail

করোনা মোকাবেলার শুরু থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একের পর এক দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড করছে, তাঁদের অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে, তাঁদের সমন্বয়হীনতা প্রকট আকারে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি এবং অযোগ্যতা যত দিন যাচ্ছে তত প্রকাশ্য হচ্ছে। আর এসমস্ত বাস্তবতার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদারকি করার দায়িত্ব নেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে তাঁদের পরামর্শ দেন যেন তারা জনকল্যাণ করতে পারে, জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বক্তব্য খণ্ডন করাই যেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ হয়ে উঠেছে। আমরা যদি দেখে নেই যে করোনা পরিস্থিতির পর থেকে কিভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বক্তব্যের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছে তাহলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে।

পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারি

প্রধানমন্ত্রী যখন সারাদেশের সবগুলো জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যু্ক্ত হয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে মাস্কগুলো দেওয়া হয়েছে সেই মাস্কগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের এবং সুরক্ষা সামগ্রীগুলোও মানসম্মত নয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের বললেন যে এন-৯৫ মাস্ক বলে যেগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো আসলে এন-৯৫ মাস্ক নয়৷ মোড়কে এন-৯৫ লেখা থাকলেও বাস্তবে তা নয়। একইসঙ্গে যে জিনিসগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে সেগুলো সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে কিনা, মোড়কে যা লেখা আছে তা ভেতরে ঠিকঠাকভাবে আছে কিনা তা যাচাই করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু এর পরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খণ্ডনের জন্য উঠেপড়ে লাগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে সিএমএইচডি`র সাবেক পরিচালক পিপিই এবং এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে যে দুর্নীতি হয়নি তার ফিরিস্তি দেওয়া শুরু করেন এবং উপর্যুপরি ৩ দিন এই ফিরিস্তিগুলো দেন। যেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই খণ্ডন করছেন। এরপর সিএমএইচডি’র পরিচালককে বিদায় দিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু বিদায় নেওয়ার সময় তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে প্যানডোরা বাক্স খুলে দেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির হোতা কারা, কিভাবে দুর্নীতি হচ্ছে তাঁর বিস্তারিত তুলে ধরেন।

দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতির কথা। তিনি বলছেন দুর্নীতি যারাই করবে, বিশেষ করে করোনাকালে যারা দুর্নীতি করবে তাঁদের ছাড় দেওয়া হবেনা এবং এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফ থেকে তদন্তের নির্দেশনা দেন। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এখন পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি এবং তদন্ত রিপোর্টে যাদের নাম এসেছে তাঁদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়নি।

এক ব্যক্তিকে পাঁচ দায়িত্ব

এই সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে এবং এটা যে এক প্রকার স্যাবোটাজ সেটা আরো স্পষ্ট হয় যখন করোনা মোকাবেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক এক ছাত্রদল নেতাকে। শুধু দায়িত্ব নয়, ঐ নেতাকে পাঁচটি দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছিল এবং এই বিষয়টি যখন প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে তখন প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সেই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করে। এরপর নতুন সচিব আব্দুল মান্নান দায়িত্ব গ্রহণের পর এই ব্যাপারটি নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত অনেক বিলম্ব হলেও ডা. ইকবাল কবীরকে সেই পাঁচটি দায়িত্ব থেকে ওএসডি করা হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের একাধিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডা. ইকবাল কবীরের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করে, ভাবখানা এমন যে যেন প্রধানমন্ত্রী ভুল বলছেন এবং তারাই সঠিক। 

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং করোনা চিকিৎসা শুরুতে বিনামূল্যে ছিল। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা করাবে এবং সরকার টাকা দিবে৷ কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনা চিকিৎসার জন্য সরকারি টাকাও যেমন নিতে শুরু করে অন্যদিকে জনগণের টাকাও হাতিয়ে নেওয়া অব্যহত রাখে। এই অবস্থা প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং তিনি কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করে বলেন যে যারা সরকারি টাকা নেওয়ার পর জনগণের টাকাও নিচ্ছে তাদের সরকারি টাকা বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘুমিয়ে ছিল। তাহলে কি বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গোপন যোগসাজশ ছিল? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বেসরকারি হাসপাতালগুলো এখন যেমন খুশী তেমন বিল হাঁকছেন, এটা নিয়ন্ত্রণে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর।

২০ কোটি টাকা ১ মাসের বিল

ঢাকা মেডিকেল কলেজে করোনা ইউনিট করা হয়েছে অনেক গড়িমসির পর এবং প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে। এইখানে চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার ১ মাসের বিল এসেছে ২০ কোটি টাকা। এই বিল নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরবর্তীতে এরকম আর বিল দেওয়া হবেনা মর্মে এবারের বিল ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন বিষয়টি অস্বাভাবিক, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী যেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিপক্ষ হয়ে উঠলেন, তিনি বললেন যে, বিল সব ঠিকই আছে, কোন বাড়তি বিল হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রী কি বলতে পারবেন যে, এই ১ মাসে কতজন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী ডিউটি করেছেন, কতটি হোটেলে থাকা হয়েছে, হোটেল ভাড়া কত হয়েছিল এবং অন্যান্য খরচ কি? তিনি  না জেনে বুঝে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান করলেন। এটা শুধু শিষ্টাচার বিরোধী নয়, বরং জাতীয় সংসদীয় নিয়মনীতির-ও পরিপন্থি। এভাবেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে। আসলে করোনা মোকাবেলা নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেন সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার মিশনে নেমেছে এবং এই মিশনে সফল হওয়ার জন্য সবাই যার যার অবস্থান থেকে প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নতুন সচিব আব্দুল মান্নান একাই যেন স্রোতের বিপরীতে লড়ছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পালনের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের সময় অল্প কয়েকদিন এবং পুরো বিষয়টিই যখন একটি সিণ্ডিকেটের কাছে জিম্মি তখন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব একা কি করবেন সেটাও দেখার বিষয়।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের আট জেলার ১৯ ইউপিতে চলছে ভোটগ্রহণ

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের আটটি জেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। 

যেসব ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে সেগুলো হলো…

১। লক্ষ্মীপুর

সদর উপজেলা:  ১. দক্ষিণ হামছাদী, ২. দালাল বাজার, ৩. বাঙ্গাখা, ৪. লাহারকান্দি, ও ৫. তেওয়ারীগঞ্জ।

২। দিনাজপুর

বিরল উপজেলা: ৬. আজিমপুর, ৭. ফরক্কাবাদ, ৮. বিরল।

৩। রাজশাহী

পুঠিয়া উপজেলা: ৯. পুঠিয়া।

৪। পটুয়াখালী

সদর উপজেলা: ১০. কমলাপুর, ১১. ভুরিয়া।

৫। বরগুনা

আমতলী উপজেলা: ১২. আমতলী।

৬। সাতক্ষীরা

সদর উপজেলা: ১৩. আলিপুর।

৭। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার

কসবা উপজেলা: ১৪. কুটি

৮। কক্সবাজার 

ঈদগাঁও উপজেলা: ১৫. ইসলামপুর, ১৬. ইসলামাবাদ, ১৭. জালালাবাদ, ১৮. ঈদগাঁও, ১৯. পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে। এই সেল নির্বাচন ভবন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে। বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেলটি গঠিত হয়েছে।

২০২২ সালে সাত ধাপে সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সাপেক্ষে বাকি ইউপির ভোট হচ্ছে সময়ে সময়ে।


উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙ্গে ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল শোডাউন

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে মোটসাইকেল শোডাউন করছে ছাত্রলীগ

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চলাকালীন আচরণবিধি ভঙ্গ করে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছে ছাত্রলীগ। এসময় বিভিন্ন দলীয় স্লোগান দেন ছাত্রলীগ নেতারা।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে ভোটকেন্দ্রের সামনে এ শোডাউন দেন। তবে নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের আশপাশে কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না।

এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা বাইরে কোনো অবস্থাতেই কোন রকম মোটরসাইকেল শোডাউন দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ঘটনায় এখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, রবিবার সকাল ৮টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ইউনিয়নের ১০টি কেন্দ্রে ৭২টি কক্ষে ২৫ হাজার ১১৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদ্য বহিস্কৃত যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রউফ, আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়াসহ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


ছাত্রলীগ   নির্বাচনী আচরণবিধি   মোটরসাইকেল   শোডাউন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সেনা অভিযানে ২ কুকি-চিন সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রুমায়  বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।

আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক বার্তা থেকে জানা যায়, রোববার (২৮ এপ্রিল) রুমা উপজেলার দুর্গম বাকলাই পাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।  

অভিযানের সময় ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। 

এর আগে পরপর কয়েকটি অভিযানে কুকি চিনের একজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত এবং কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত আরও ৪৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী। 

এ ছাড়া অভিযানে আটকদের কাছ থেকে ৭টি দেশি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, কেএনএফের পোশাক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, দুই জোড়া বুট, একটি ছুরি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকে শতাধিক কেএনএফ সদস্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে অস্ত্রের মুখে পুলিশ, আনসার সদস্যদের জিম্মি করে ১৪টি অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। এ ঘটনার ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ৩ এপ্রিল থানচিতে গুলিবর্ষণ এবং কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট ও ৪ এপ্রিল ফের থানচির সোনালী ব্যাংক ও বাজারে আক্রমণ করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে কেএনএফ দমনে পাহাড়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী।


সেনাবাহিনী   অভিযান   কুকি-চিন   নিহত   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিট স্ট্রোকে যশোরে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:২০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যশোরে অব্যাহত তাপ প্রবাহে হিট স্ট্রোকে আহসান হাবীব নামে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি যশোর সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার স্বজনের দাবি হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে। 

 

আমদাবাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের এ জেড এম পারভেজ মাসুদ জানান, শিক্ষক আহসান হাবীব সকালে মাঠে কাজ করে ৯ টার দিকে স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

 

যশোর জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. আব্দুর রশিদ জানান, 'সকালে জরুরী বিভাগে ওই রোগীকে আনা হয়। রোগীর স্বজনরা বলছে যে সে সকালে মাঠে কাজ করেছে, রোদে গিয়েছে, তাদের দাবি যে হিট স্ট্রোকে ওই স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা চুড়ান্ত রিপোর্ট পাইনি।’

জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের ধারণা যে, সে হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারে। তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।  


তীব্র তাপদাহ   হিট স্ট্রোক   স্কুল শিক্ষক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর

প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সিলেটের জকিগঞ্জে ইটভাটার মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের বারঠাকুরী ইটভাটা এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় নিহতরা হলেন, উপজেলার বারঠাকুরী গ্রামের ছাদ উদ্দিনের ছেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী রেদওয়ান আহমদ (২৬), একই গ্রামের মৃত আব্দুস শুক্কুরের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৫) এবং সোনাসার বাজারের ব্যবসায়ী মঞ্জুর আহমদ (৩৮)

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাবেদ মাসুদ জানান, মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে রেদওয়ান, মঞ্জুর দেলোয়ার হোসেন বারঠাকুরী ইটভাটার কাছে পৌঁছালে সড়কে পার্ক করে রাখা মাটিবোঝাই অবৈধ ট্রাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই রেদওয়ান আহমদ এবং দেলোয়ার হোসেন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় মঞ্জুর আহমদকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনিও মারা যান।


সড়ক দুর্ঘটনা   ট্রাক্টর   মোটরসাইকেল   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন