নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০২০
দেশের নাগরিকদের জন্য আরেকটি সুখবর দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১৬ বছর বয়সীরাও নিজেরাই নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনলাইনে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির এনআইডি শাখার অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচের বয়সীদের এনআইডি দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই এ সুযোগটি দেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ১৬ বছর বয়সীদেরও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারা অনলাইনে গিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করে এনআইডি ডাউনলোড করে নিতে পারবে।
এর আগে গত মার্চে মুজিব জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে সীমিত আকারে উপজেলা পর্যায়ে ১০ জন করে শুভেচ্ছাস্বরূপ এই কার্ড পেয়েছেন।
জানা যায়, যারা ইতোমধ্যে তথ্য দিয়েছেন তারা ছাড়াও যাদের বয়স ১৬ হয়েছে তারাও অনলাইনেই আবেদন করে তথ্য দিতে পারবেন। এক্ষত্রে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
দেশে বর্তমানে ভোটারের সংখ্যা ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২ জন। এদের মধ্যে ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৩০ জন প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছর বয়স) নাগরিক নতুন ভোটার হিসেবে চলতি বছর মার্চে যুক্ত হয়েছেন। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তাদের এনআইডি অনলাইনে আগে থেকেই দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এখন ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীরাও এই সুযোগ পাবে।
যারা বর্তমানে লেমিনেটিং করা এনআইডি পাচ্ছেন (করোনার কারণে বিতরণ বন্ধ রয়েছে) বা অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিচ্ছেন, ভবিষ্যতে তারা স্মার্টকার্ড পাবেন। স্মার্টকার্ড প্রস্তুতের কাজও এগিয়ে চলছে।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন। তারাই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীসময়ে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণে যায় ইসি। দেশের প্রায় দশ কোটির নাগরিকের হাতে বর্তমানে এনআইডি রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।