ইনসাইড বাংলাদেশ

সংকট আরও বাড়িয়েছেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ এখন করোনা নামক মহাসংকটের সামনে দাঁড়িয়ে। এখন সবার যখন এক সাথে লড়াই করার সময়, তখন দেখা যাচ্ছে আমাদের শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীল কিছু ব্যক্তিরাই উল্টো পথে হাঁটছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ অনিয়ম আর দুর্নীতিতে মেতে উঠেছেন। কেউ আবার অদক্ষতার কারণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছেন। দায়িত্বশীল পদে থাকা ব্যররথ করেকজনকে নিয়েই এই প্রতিবেদন-

জাহিদ মালেক

করোনা মোকাবেলার শুরু থেকে নিজেই নিজেকে অসহায় ঘোষণা করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, আমি করোনা মোকাবেলায় জাতীয় কমিটির সভাপতি, অথচ আমি অনেক কিছু জানি না। কিভাবে গার্মেন্টস খোলা হয়েছে, কিভাবে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুরু থেকেই যে পদক্ষেপগুলো নেওয়ার কথা বলছিলেন, বাস্তবে দেখা যাচ্ছিল যে, সেই পদক্ষেপগুলো কাগজে-কলমেই আছে, বাস্তবে নেই। তিনি তার দপ্তরেও আসেন না। মাঝে মাঝে কিছু অনুষ্ঠানে তার দেখা মেলে। স্বাস্থ্য খাতের একের পর এক দুর্নীতিতে তার সংশ্লিষ্টতা সামনে চলে আসছে। এসব কারণে তাকে নিয়ে যখন সমালোচনার ঝড় বইছে, পত্রপত্রিকায় লেখা লেখি হচ্ছে,  তখন আরেক কাহিনী করে বসেন মন্ত্রী। প্রতিবাদলিপি পাঠিয়ে তিনি তার সাফল্যের বিশাল ফিরিস্তি তুলে ধরেন। মজার বিষয় হলো, সেগুলো ঘেঁটে দেখা যায়, ফিরিস্তির একটি কাজও তার করা নয়। বরং প্রধানমন্ত্রী এবং তার কার্যলয়ের করা কাজগুলোকে নিজের সাফল্য বলে চালিয়ে দিচ্ছিলেন মন্ত্রী। একের পর এক ভুলভাল কথা বলে এবং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এখন এক ক্লাউনে পরিণত হয়েছেন।

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেতৃত্বে আছেন মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। করোনার শুরু থেকে একের পর এক সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তিনি আইইডিসিআর-এর মাধ্যমে দিনে ১০০ পরীক্ষা করে করোনা ভয়াবহতাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন। মাস্ক কেলেঙ্কারি, পিপিই কেলেঙ্কারি, জেকেজি, জেএমআই, মিঠু গ্রুপের সিন্ডিকেটবাজি প্রতিটি ক্ষেত্রেই উঠে আসছে স্বাস্থের ডিজির নাম।

আসাদুল ইসলাম

করোনা সঙ্কট মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম। এর পাশাপাশি মাস্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায়ও তার নাম জড়িয়ে পড়ে। মুগদা হাসপাতালে এন-৯৫ মাস্কের নামে সাধারণ মাস্ক সরবরাহের ঘটনায় দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এসব কারণে স্বাস্থ্য খাত থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বর্তমান সরকারের অন্যতম ব্যর্থ মন্ত্রী। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং পেঁয়াজের দামের বিশ্বরেকর্ডের কারণে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। আর করোনা সঙ্কটে তার ভূমিকা রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে যে, তিনি সরকারের মন্ত্রী নাকি ব্যাবসায়ীদের এজেন্ট।  গত ৫ এপ্রিল সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করে গার্মেন্টস খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে। বাণিজ্য মন্ত্রী নিজেই একজন গার্মেন্টস মালিক। ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টস চালুর  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেটি ছিল সরকারি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং সংক্রমণ আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরপর গার্মেন্টস কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্মক্ষেত্রে আনা হয়। লকডাউনের মধ্যে হাজার হাজার কর্মী পায়ে হেঁটেও গ্রাম থেকে কর্মক্ষেত্রে ফিরতে বাধ্য হন। কিন্তু এরপর তাদের জানানো হয় গার্মেন্টস খুলবে না। তখন অনেকেই বিপাকে পড়ে যান। অনেকের বেতন ভাতাও ঠিকভাবে পরিশোধ করা হয়নি। এর জন্য অনেক এলাকায় গার্মেন্টস কর্মীরা বিক্ষোভও করেছেন। কিন্তু এই পুরোটা সময় আমরা বাণিজ্যমন্ত্রীকে ফলপ্রসূ কোনও ব্যবস্থাই নিতে দেখিনি।

নসরুল হামিদ

করোনা সংকট সামাল দিতে যখন সরকার হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক সেই সময়টাতেই নতুন বিপদ ঘটলো বিদ্যুৎ খাতে। করোনাকালীন এই সময়েও সারাদেশে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের ছড়াছড়ি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পর্যন্ত এ নিয়ে অভিযোগ করছেন। মিটার না দেখেই মনের মতো করে ১০/১৫ গুণ বেশি বিলের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ফলে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে এবং হচ্ছে। যদিও যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।   



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রবীন্দ্রনাথের জীবনাদর্শ অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায়: ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৩২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনাদর্শ ও তাঁর সৃষ্টিকর্ম শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই বঙ্গবন্ধু কবিগুরুর অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করেন।

বুধবার (৮ মে) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাচারি বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তিনদিনব্যাপী জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

এর আগে ভূমিমন্ত্রী রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে এসে পৌঁছালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ তাঁকে স্বাগত জানান। এর পর বেলুন উড়িয়ে শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ীতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন ভূমিমন্ত্রী।

ভূমিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরও বলেন, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা' গানটি এখন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের অন্যতম প্রতীকে। রবীন্দ্র চিন্তায় উজ্জীবিত হয়ে তরুন প্রজন্ম বিশ্বের দরবারে  স্মার্ট ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে উঁচু করে তুলে ধরতে আহ্বান জানান ভূমিমন্ত্রী।

ভূমিমন্ত্রী এসময় আরও আশা প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্থাপিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য নির্ধারিত জায়গা অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম দ্রুতায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন একযোগে কাজ করবে। এসময় তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত প্রস্তাব এলে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।

অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সাথে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের সময়, এক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক প্রদত্ত বাথানে (গোচারণভূমি) যদি কোনো অবৈধ দখল থেকে থাকে তাহলে তা পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি সিরাজগঞ্জের গোচারণভূমিকে দেশের কৃষি তথা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে অবহিত করেন।

সিরাজগঞ্জের উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধা আজাদ রহমান, শাহজাদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মোঃ কামরুজ্জামান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণমান্য ব্যাক্তিত্ব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।

সংস্কৃতিক মন্ত্রালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রসাশনের ব্যবস্থাপনায় ২৫,২৬ ও ২৭ বৈশাখ তিন দিনের অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহজাদপুর শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ রবীন্দ্র সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও তিনদিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনাসভা ও সেমিনার।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর   ভূমিমন্ত্রী   নারায়ন চন্দ্র চন্দ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি সফরের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করবেন তিনি। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও বৈঠক করবেন কোয়াত্রা।

এ ছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে বার্তায় আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কোয়াত্রার সঙ্গে আলোচনায় সীমান্ত হত্যা গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

কোয়াত্রার সফরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে নানা বিষয় আছে। স্বাভাবিকভাবে নানা বিষয় আলোচনা হবে। তিনি আসার পর আমরা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্র-সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার। তবে অনিবার্য কারণে তার পূর্বনির্ধারিত সেই সফর স্থগিত করা হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   বিনয় মোহন কোয়াত্রা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টের মালিক সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। 

মঙ্গলবার (৭ মে) মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পরপরই গ্রেপ্তার হন সোহেল সিরাজ। আগুনের ঘটনার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) নিজামউদ্দিন ফকির গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় সোহেল সিরাজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  বুধবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়ে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তোলে সিআইডি। তবে শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।  মূলত ওই ভবনটির বিভিন্ন তলায় ছিল খাবারের দোকান। এরমধ্যে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টটি ছিল ভবনের দ্বিতীয় তলায়।  অগ্নিকাণ্ডের সময় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অসংখ্য মানুষ খাবার খেতে এসেছিলেন। পরে ভয়াবহ আগুনে নারী-শিশুসহ মোট ৪৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া আহত হন অনেকেই।

এদিকে, ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় করা মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জুন দিন ধার্য রয়েছে।  গত ২৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।  তবে ওইদিন প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন নতুন দিন ধার্য করেন।

গ্রেপ্তার   কাচ্চি ভাই   বেইলি রোড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে তিন নির্বাচনী কর্মকর্তা আটক

প্রকাশ: ০৬:৫৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৮ মে) উপজেলার উত্তর আমবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিকহাত আরা।

আটককৃতরা হলেন- সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মুক্তি রাণী হাওলাদার, পোলিং অফিসার মুন্নী বড়ুয়া ও সমীর চন্দ্র দাশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই তিন নির্বাচনী কর্মকর্তা ব্যালট পেপারে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়নের কাপ-পিরিচ প্রতীকে জাল ভোট দিচ্ছিলেন।

চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আটক করার ঘটনাটি শুনেছি। তবে বিস্তারিত এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।’

জাল ভোট   নির্বাচনী কর্মকর্তা   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার ঢাকায় কেন ডোনাল্ড লু?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন। নানা কারণে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে অত্যন্ত আলোচিত একটি নাম। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে তাঁর তৎপরতা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছিল। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি একাধিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তাঁর সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং বেশ কিছু কথাবার্তা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

ডোনাল্ড লু নির্বাচনের আগে একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য তিনি বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন। যখন ২৮ অক্টোবর বিএনপি সারা ঢাকা শহরে তাণ্ডব চালায়, এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে গেলেও ডোনাল্ড লু’র একটি চিঠি নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে ধর্না দিয়েছিলেন। অবশ্য ডোনাল্ড লু’র এই চিঠিকে আমলে নেননি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

ডোনাল্ড লু’র এই রাজনৈতিক সংলাপের বার্তাকে অনেক বিলম্বে দেওয়া বলে অভিহিত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এরপর দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে একটি পরিবর্তিত নীতি এবং অবস্থান গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ এই বক্তব্য রেখেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ রকম একটি অবস্থা যখন বিরাজমান তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন ঢাকা সফর করছেন- এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে, ১৪ থেকে ১৬ পর্যন্ত দুই দিনে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে সরকারি এবং বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এছাড়াও তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। আর এবার ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর কী বার্তা দেবে তা নিয়ে নানারকম জল্পনা কল্পনা চলছে। 

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর। সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়া এবং বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক অবস্থানকে সম্প্রসারণ করাই ডোনাল্ড লু এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলেই একাধিক কূটনৈতিক সূত্র দাবি করেছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিশেষ করে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য সরকার যে দরপত্র আহ্বান করেছে সেখানে যেন মার্কিন কোম্পানিগুলো সুবিধা করতে পারে সে সব বিষয় নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী। তবে এর পাশাপাশি বাংলাদেশের মানবাধিকার, বিরোধী দলের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর নিয়ে যত মাতামাতি হতো বা যে আতঙ্ক তৈরি হতো এবারে সেই পরিস্থিতি হচ্ছে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ডোনাল্ড লু   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন