ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনায় হারিয়েছি যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৮ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনা সংকটের চার মাস পূর্ণ হল। এই চার মাসে এখনো পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জন। লাগামহীনভাবে বেড়ে চলছে করোনা।  সরকারি হিসেবে এখনো পর্যন্ত মারা গেছেন ২ হাজার ১৫১ জন। আর মৃত্যুর এই তালিকায় রয়েছে রাষ্ট্রের সিনিয়র সিটিজেন ও বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ ও নানা পেশার মানুষ। সেইসাথে সম্মুখযুদ্ধে করোনার সাথে লড়তে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন র‍্যাব, পুলিশ, চিকিৎসক, ব্যাংকার, সাংবাদিকসহ আরও বিভিন্ন পেশাজীবী। মরণব্যাধী করোনা কেড়ে নিয়েছে আমাদের দেশপ্রেমিক নাগরিক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজনদের।

ড. আনিসুজ্জামান

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেন শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। কর্ম জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য লাভ করেন একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক। তাঁর এমন চলে যাওয়াতে যেন এক অভিভাবক হারাল বাংলাদেশ।

মোহাম্মদ নাসিম

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও করোনাভাইরাসের শিকার হয়েছেন। জ্বর-কাশিসহ ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হলে মোহাম্মদ নাসিমের করোনা ধরা পড়ে। এরপর তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেন। হাসপাতালের নিউরো সার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে সফল অস্ত্রোপচার হলেও তিনি কোমায় চলে যান। পরবর্তীতে তার তিনবার করোনা পরীক্ষা হলেও নেগেটিভ রিপোর্ট আসে বলে জানানো হয়। অবশেষে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ১৩ জুন রাজপথের সংগ্রামী এই নেতা পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।

শেখ আব্দুল্লাহ

১৩ জুন রাতে মারা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ। পড়ে ১৪ জুন সকালে পাওয়া রিপোর্টে জানা যায় তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।

বদরউদ্দিন কামরান

করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ছিলেন। ১৪ জুন দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

আনোয়ারুল কবির

বিএনপি সরকারের আমলের সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবির করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১০ মে সিএমএইচ এ মারা যান।

ভিসি ড. নাজমুল করিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. নাজমুল করিম গত ৭ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

হাজী মকবুল হোসেন

করোনায় প্রাণ হারান আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সাংসদ হাজি মকবুল হোসেন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি।

প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী। ২৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন আবদুল্লাহ আল মোহসীন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অসুস্থ ছিলেন আবদুল্লাহ আল মহসিন। বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে তাকে সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে তার করোনা শনাক্ত হয়। দুই সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন।

প্রিন্সিপাল নিলুফার মঞ্জুর

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল নিলুফার মঞ্জুর। তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রী।

মোরশেদুল আলম

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম।

ইমামুল কবীর শান্ত

করোনায় মারা যান শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি ও সুন্দরবন কুরিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমামুল কবীর শান্ত। আক্রান্তের পর তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জামাল এম এ নাসের

করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান বেসরকারি জীবন বিমা কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেনসের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জামাল এম এ নাসের। বিমা শিল্পে দক্ষ ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত জামাল এম এ নাসের ২০১১ সালে ন্যাশনাল লাইফে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় আট বছর কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ডা. মো. মঈন উদ্দিন

করোনা সংকট শুরুর দিকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান চিকিৎসক ডা. মো. মঈন উদ্দিন। পুরো সিলেটে গরীবের ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলেন দেশপ্রেমিক এই চিকিৎসক। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন তিনি। পেশাদারিত্ব ও নৈতিক মানবিকতাবোধ থেকে কাজ করে জয়ী করে তুলেন মানবতাকে।

তাছাড়া, করোনায় প্রাণ হারান দুদক পরিচালক জালাল সাইফুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আলম, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান বজলুল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পরিচালক ও সরকারের যুগ্ম সচিব জাফর আহম্মদ খান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নানের স্ত্রী কামরুন্নাহার, টিভি ব্যক্তিত্ব মোস্তফা কামাল সৈয়দ, এনটিভির সাবেক বার্তা সম্পাদক সুমন মাহমুদ, সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খোকন, ক্রাইম রিপোর্টার আসলাম রহমান, মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ইসহাক ভুইয়া, সময়ের আলোর মাহমুদুল হাকিম অপু, নৃত্যশিল্পী হাসান ইমামসহ আরও অসংখ্য প্রিয়জনকে আমরা হারিয়েছি চলমান এই করোনা দুর্যোগে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এই মৃত্যু যেন কেবল বেড়েই চলছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন