ইনসাইড বাংলাদেশ

‘অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০১ পিএম, ০৯ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিকল্প নির্বাহী পরিচালক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেছেন, ‘অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাতে হবে। ২০১৪ সাল থেকে যেই হাসপাতালটির অনুমোদন নেই, সেই হাসপাতালটিকেই করোনা পরীক্ষার অনুমতি দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আমি আমার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে, এ ধরনের অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করার পূর্বে কিছু কাগজপত্র যেমন- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আছে কিনা, ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা, এসব দেখা বাধ্যতামূলক দায়িত্ব। এসব না দেখেই কিংবা নাই জেনেও করোনা পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়ার মানে হলো অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার বিনিময়ে এটা করা হয়েছে।’ রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারির বিষয়ে ‘বাংলা ইনসাইডার’ এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (বিএমআরসি) এই চেয়ারম্যান সাম্প্রতিক একটি ঘটনার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘কয়েক মাস আগে একজন আমাকে ফোন করে একটা ওষুধের বিষয়ে বললেন, ওষুধটি ব্যবহারে উপকার হচ্ছে। আমি যেন বিএমআরসি থেকে ওষুধটাকে রিকগনাইজ করে দিই। মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও আমাকে এ বিষয়ে বললেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাকে ‘চাচা’ বলে ডাকেন। আমিও তাকে খুব স্নেহ করি। কিন্তু তারপরও সরাসরি আমি তাকে বললাম, ‘এটার কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেগুলো পেরিয়ে না আসলে এ ধরনের অনুমোদন আমি দিতে পারবো না। নিয়মের বাইরে যাওয়া যাবে না’। এর দু’মাস পরে তখনকার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান আমাকে মন্ত্রীর কথা বলে আবার অনুরোধ করেন যে, একটু তাড়াতাড়ি যেন আমি অনুমোদনের ব্যবস্থা করি। আমি তখনও তাকে সরাসরি বলি যে, ‘এটা সম্ভব নয়। সব নিয়ম কানুন পেরিয়ে তবেই অনুমোদন পেতে হবে। এ ব্যাপারে আমাকে দ্বিতীয়বার আর অনুরোধ করবেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এখানে বসিয়েছেন। আমি আইনমাফিক সবকিছু করবো’। আমি এই উদাহরণটি এ কারণেই দিলাম যে, অনেক অনুরোধ, তদ্বির আসতেই পারে। কিন্তু অনুরোধ আসলেই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সেটা মানতে হবে, এটা কোনো কথা হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেওয়ার বিনিময়ে কে কতটা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন, তা আমি জানি না। কিন্তু অর্থের লেনদেন যে হয়েছে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। এটা স্বাভাবিক যে, সব ধরনের লাইসেন্স আছে কিনা সেটা মন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়ের অবশ্যই এগুলো দেখার দায়িত্ব। তিনি যদি সেটা না-ই করেন, তবে তিনি কি কাজ করেন- সেটা এক বড় প্রশ্ন।’

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সবাইকে কোনো দরকারে ফোন করলে পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে অনেক সময় তারা ফোন ধরতে না পারলেও পরবর্তীতে কলব্যাক করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, একান্ত সচিবও এটা করেন। অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্তা ব্যক্তিদের কোনো কাজে ফোন দিলে পাওয়া যায় না। করোনা মোকাবেলার টেকনিক্যাল সব কাজগুলো এখান থেকে হওয়ার কথা। এই অফিসটার সবচেয়ে বেশি তৎপর থাকার কথা। অথচ এই অফিসটাই একেবারে অথর্ব হয়ে বসে আছে। একের পর মাস্ক, পিপিই নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে অভিযগ এলো। আরও বিভিন্ন বিষয়ে রাজধানীর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে নানা অভিযোগ পাওয়া গেল। অথচ আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ হাসপাতালগুলোতে গেলেন না। করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত বিভিন্ন হাসপাতালে কোথায় কি হচ্ছে, সেটা তো তাদের গিয়ে দেখা দায়িত্ব। তারা বসে বসে কোন কাজটা করছেন, তা আমার বোধগম্য নয়। তবে আমি বিশ্বাস করি যে, এই অফিসের সবাই অসৎ নন, অনেকেই আছেন যারা সৎ। তবে এটা প্রমাণিত যে সবাই অথর্ব। না হলে এত এত কেলেঙ্কারি- দুর্নীতি হচ্ছে কি করে!’

ডা. মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে তো অভিযোগের পাহাড়। আগেও এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু তারপরও কেন কোনো তদন্ত হয়নি। এমনকি এখনও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে নমনীয় আচরণ করছে। এতে এটাই প্রমাণিত হয়ে যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেউ ওই হাসপাতালের সাথে যুক্ত, এমনকি ওই হাসপাতালে তাদের কারও মালিকানার অংশও থাকতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ছবিতে দেখলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির কামরায় তার উপস্থিতিতে রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ পায়ের উপর পা তুলে খোশ গল্প করছেন। সেখানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলানকেও দেখা গেছে। শোনা যায়, ডা. এম ইকবাল আর্সলান নাকি দিনের অনেকটা সময় ডিজির অফিসেই থাকেন। তিনি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বললেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি পদে কোনো আমলাকে নিয়োগ দেওয়া হলে ফল ভালো হবে না। তার এই বক্তব্যের মানে কি? ডিজি’র কামরায় সাহেদের সঙ্গে তার থাকার মানে কি? এগুলোর তদন্ত হওয়া উচিৎ।’

অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাত ভঙ্গুর বলে যে অভিযোগ করছে সাধারণ মানুষ, এটা সত্য বলে আমি মনে করি। আমি এটাও মনে করি যে, বর্তমান সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন করার জন্যই স্বাস্থ্য খাতের কেলেঙ্কারিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হচ্ছে। সরকারবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে জেঁকে বসেছেন। একের পর এক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই এখনই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাতে হবে।’

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন