নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১১ জুলাই, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আটকে গেল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরেক দুর্নীতি। এর ফলে আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার কাছে হেরে গেলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমস্ত দুর্নীতি অনিয়মের হোতা মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
ঘটনার শুরু গত জুনে। সে সময় করোনা আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষার আওতা বাড়াতে বিশেষ ব্যবস্থায় ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ভয়াবহ জালিয়াতি করা হয়। যেই আইইডিসিআর এর কর্মীরা (মাস্টার রোল) করোনার শুরু থেকেই নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজ করছিলেন তাদের বাদ দিয়ে অনৈতিকভাবে অন্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ‘কেঁচো খুড়তে সাপ’ বেরিয়ে আসার মতো এই নিয়োগ বাণিজ্যের নেপথ্য নায়ক হিসেবে উঠে আসে তিন জনের নাম। তারা হলেন ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক পরিচালক ডা. ইকবাল কবীর এবং এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ডা. সামিউল ইসলাম।
দুর্নীতির এই পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে সক্ষম হন আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এরপর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন যে, আইইডিসিআর এ যারা শুরু থেকে অস্থায়ীভাবে কাজ করছেন তাদের আগে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিতে হবে, তারপর সুযোগ পাবেন অন্যরা। গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব এতে অনুমোদন দেন। এরপর এই ফাইল পাঠানো হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে। এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই ফাইল আটকে ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সেখানে ফোন দিয়ে অনতিবিলম্বে ফাইল ছাড়ার জন্য বলা হয়। আজকে সেই ফাইলটি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল একটি সূত্র। ফলে আবুল কালাম আজাদ গং সেব্রিনা ফ্লোরার দৃঢ়তার কাছে হেরে গেলেন।
প্রসঙ্গত যে, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই আবুল কালাম আজাদ গং এর সঙ্গে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার একটা বিরোধের কথা শোনা যাচ্ছিল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনার তথ্য গোপন করা, জেকেজি, রিজেন্টসহ বিভিন্ন ধাপ্পাবাজ প্রতিষ্ঠানের সাথে করোনা পরীক্ষার চুক্তি করাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন সেব্রিনা ফ্লোরা। যার ফলে তিনি আবুল কালাম আজাদের চক্ষুশূলে পরিণত হন। এ কারণে একটা পর্যায়ে করোনার নিয়মিত বুলেটিনের দায়িত্ব থেকে সেব্রিনা ফ্লোরাকে সরিয়ে দেন আজাদ। এর বদলে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা্কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সেব্রিনা ফ্লোরা তার যোগ্যতা, দক্ষতা এবং সততার কারণে প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। যার প্রমাণ পাওয়া গেল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।