নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩১ পিএম, ১২ জুলাই, ২০২০
শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করার অনুমোদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রতিষ্ঠান পাঁচটি হলো- শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ, থাইরোকেয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড, স্টেমজ হেলথকেয়ার ও এপিক হেলথকেয়ার।
রোববার (১২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরটি-পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে কোভিড-১৯ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করার অনুমোদন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো ফের আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করতে চাইলে তাদের ল্যাবরেটরি সম্পূর্ণভাবে এই পরীক্ষা চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত জানিয়ে ফের অধিদফতরে আবেদন করতে হবে। কোভিড-১৯ আরটি পিসিআর মেশিন ও আমদানি করা কিটের অনাপত্তিপত্র ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে নিতে হবে। পরবর্তী সময়ে সরেজমিনে পরিদর্শনের প্রতিবেদন অনুযায়ী আবেদন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ৫ জুন শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ নমুনা পরীক্ষা করানোর জন্য পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে তারা পিসিআর পরীক্ষা না করিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট চালিয়ে আসছিল। আর এর জন্য সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা নিচ্ছিল। ল্যাবের কাজ শুরু না হওয়ার তাদের চিঠি পাঠানো হয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘র্যাপিড টেস্ট কিটের অনুমোদন দেয়নি সরকার। এভাবে যদি কেউ নমুনা পরীক্ষা করে, তবে তা অনৈতিক। আর হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার খরচ সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা আছে।’
ডা. নাসিমা আরও বলেন, ‘সার্ভিস চার্জ হিসেবে ৫০০ টাকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদি কেউ এর বেশি নিয়ে থাকে তবে সেটাও অনৈতিক। শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু এখনো তারা কাজ শুরু করেনি। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা উত্তরে জানিয়েছে, আগস্টের দিকে তারা পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষা শুরু করবে। তবে করোনা পরীক্ষার জন্য সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা তারা কোনোভাবেই নিতে পারে না।’
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন