নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫২ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০২০
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বদলে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। অফিস, ব্যবসা-বাণিজ্য, নিত্যপণ্য কেনাকাটা, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ প্রায় সবকিছুই এখন অনলাইনকেন্দ্রিক। এরই মধ্যে সামনে আসছে কোরবানির ঈদ। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে এবারের কোরবানির পশুর হাটে সীমিত পরিসরে বেচা-বিক্রি হবে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে অনেকেই পশুর হাটেই যাবেন না। এতে কোরবানির গরু বিক্রি নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন জেলার খামারীরা। এমন উদ্ভুদ পরিস্থিতিতে কোরবানির পশু খামারি ও ক্রেতাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে ফেসবুকে কোরবানি পশু বেচা-কিনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ল²ীপুর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
পশু খামারি ও ক্রেতাদের সুরক্ষায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে “অনলাইন গরুর হাট-ল²ীপুর” নামে একটি ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। এতে জেলার খামারিরা তাদের খামারের গরু বিক্রি করতে পারবেন ন্যায্য মূল্যে।
এছাড়াও জেলায় অনেকেই নিজের খামারের নামে ফেসবুকে পেজ খুলে সেখানে পশুর ছবি, ভিডিও, বিবরণ ও দামসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্যই তুলে ধরেছেন। খামারি বা কৃষকদের আহŸান জানানো হচ্ছে হাটে না হেঁটে গরু বেচুন নেটে।
এদিকে কোরবানির পশু অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রিতে পশু খামারিদের উদ্ভুদ্ধ করতে পশুর খামার পরিদর্শণে নামেন সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. যোবায়ের হোসেনসহ অন্যন্যা কর্মকর্তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, পরিকল্পনা করে কোরবানির পশুর অনলাইন বাজার শক্তিশালী করে কৃষক এবং বেপারিদের কাছ থেকে গরু সংগ্রহের চেইন গড়ে তোলা দরকার। যেমনিভাবে করোনা কালিন সময়ে শাকসবজি, খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ইতোমধ্যে ল²ীপুরে আনলাইনে গরু-ছাগলসহ কোরবানির পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন অসংখ্য কৃষক, খামারি ও ব্যবসায়ী। বিভিন্ন খামারি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফেসবুকের মাধ্যমে চালু করেছে অনলাইন হাট ও কোরবানির গরুর মেলা।
কোরবানির পশু ক্রেতা সফিক হোসেন, রাসেল ভ‚ঁইয়া ও খোকন মিয়া বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে হাটে গিয়ে গরু কেনার স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে নিশ্চিন্তে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন কোরবানির পশু ক্রয় করার জন্য অনলাইন কোরবানির হাট সবছেয়ে উত্তম। অনলাইন হাট থেকে সহজেই সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুস্থ কোরবানির গরু কিনতে পেরে আমরা খুশি।
সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. যোবায়ের হোসেন বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মানুষের জীবন-যাত্রার মান পাল্টে দিয়েছে। মানুষ এখন সচেতন হয়েছেন। নিত্য দিনের কাজ-কর্ম এখন অনলাইনে করতে চান তারা। এজন্য অনেকই বেচে নিয়েছে অনলাইন মাধ্যম। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের কোরবানির হাটে ক্রেতারা আসতে অনাগ্রহী। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুরক্ষায় সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে “অনলাইন গরুর হাট-ল²ীপুর” নামে ফেসবুক পেজটি খোলা হয়েছে। খামারীরা তাদের গরুর কয়েকটি ছবি ও বিবরণ দিয়ে এ পেজে পোস্ট করবেন। পেজে গরু দেখে ক্রেতা পছন্দের গরুটি ক্রয় করতে খামারীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করবেন। সঠিক দামে খামার থেকেই কোরবানির গরু নিয়ে যাবেন ক্রেতা। এতে তেমন একটা ঝামেলা হবে না। অনলাইনে গরু বিক্রিতে খামারীরাও আগ্রহী বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
সুন্দরবন আগুন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহাদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফের ছেলে নুরুন্নবীর সাথে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরুন্নবী বাড়ি থেকে বের হয়ে সে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধ্যান পাননি। সেই পরকীয়ার জেরে আসামীরা তাকে হত্যা করে। পরে ২০ নভেম্বর উপজেলা দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুরন্নবীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরের দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
রবিবার (৫ মে) দুপুরে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসকল অভিযোগ করেন দোয়াত কলম মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বদি ফকিরের সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মীদেরকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। গতকাল রাতে প্রায় এক ট্রাক ভর্তি টাকা তারা বেলকুচিতে নিয়ে এসেছে। ভোট কিনতে ও নানা প্রলভোন দিয়ে তারা ভোটাদের বিভ্রান্ত করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচরানা অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এক ভোট পেলেও নির্বাচিত হবে এমন বক্তব্য দিয়ে গুজব ছড়াচ্ছেন। এছাড়াও দোয়াত কলম প্রতীকের প্রচারনায় আমাদের কর্মীদের সরে যাবার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন তারা। এ সকল বিষয়ে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।'
উপজেলা নির্বাচন কালো টাকা প্রভাব বিস্তার
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান
মন্তব্য করুন
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী অনুপ্রবেশ
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার ও ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করে নির্বাচনে কালো টাকায় ছয়লাভ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।