ইনসাইড বাংলাদেশ

দামী হোটেলে চিকিৎসকদের আর থাকা হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

ঢাকা মেডিকেল কলেজে করোনাকালে ডাক্তারদের থাকা-খাওয়ার বিল নিয়ে বড় দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। শুধু ঢাকা মেডিকেলই নয়, এর বাইরে রাজধানীর সরকারি মুগদা জেনারেল হাসপাতালসহ আরও অন্তত ডজনখানেক হাসপাতালের বিরুদ্ধে ডাক্তারদের থাকা-খাওয়ার বিল নিয়ে মোটা দাগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অথচ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও নার্সসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বরাবরই তাদের মানহীন হোটেলে রাখা ও নিম্নমানের খাবার দেওয়ার কথা বলছেন। হোটেল নির্বাচনে বৈষম্য নিয়েও তাদের মধ্যে অসন্তোষও ছড়িয়েছে।

এমন বিতর্কের মুখে শেষ পর্যন্ত করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত সরকারী চিকিৎসকদের দামী তারকা হোটেলে থাকার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সরকার। কতগুলো নির্দিষ্টি সরকারী স্থাপনায় তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ১৫দিন কর্মকালীন পৃথক অবস্থানের জন্য-বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমি (BCSAA), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ম্যানেজমেন্ট (BIAM), জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (NAPD), ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব এডুকেশনাল ম্যানেজমেন্ট (NAEM), টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (TTC) ও জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (NILG) এ অবস্থান করতে পারবেন।

আর ঢাকা মহানগরের বাইরে সব জেলা ও উপজেলার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য এমন ব্যবস্থা করা হবে।

চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী যারা কর্তৃপক্ষের নির্ধারণ করা স্থাপনায় অবস্থান করবেন তাদের যাতায়াতের জন্য আবশ্যিকভাবে (প্রাপ্যতা সাপেক্ষে) বিআরটিসির যানবাহন ব্যবহার করতে হবে এবং এরূপ ক্ষেত্রে যানবাহনের ভাড়া পরিশোধের জন্য বিআরটিসির কাছ থেকে প্রাপ্ত বিলের ভিত্তিতে বরাদ্দ দাবি করতে হবে। যেখানে বিআরটিসির যানবাহন নেই সেখানে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রিকুইজিশনকৃত অথবা ভাড়ায় যানবাহন ব্যবহার করা যেতে পারে।

কোভিড-১৯ চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সাধারণভাবে একাধারে ১৫ দিনের বেশি দায়িত্ব পালন করবেন না। প্রতি মাসে ১৫ দিন দায়িত্ব পালন শেষে পরবর্তী ১৫দিন তারা সঙ্গনিরোধ ছুটিতে থাকবেন। চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ১৫দিন কর্মকালীন পৃথক অবস্থানের জন্য বিশেষ ভাতা ও খাবারসহ আবাসনের সুবিধা পাবেন।

কোভিড-১৯ চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ঢাকা মহানগরীর চিকিৎসকরা দৈনিক দুই হাজার ও ঢাকার বাইরের চিকিৎসকেরা এক হাজার ৮০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। এছাড়া ঢাকার নার্সরা এক হাজার ২০০ ও ঢাকার বাইরের নার্সরা এক হাজার এবং ঢাকার অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ৮০০ ও ঢাকার বাইরের ৬৫০ টাকা করে দৈনিক ভাতা পাবেন। কেউ এক মাসে ১৫ দিনের বেশি ভাতা পাবেন না। প্রাপ্যতা অনুসারে ওই বিশেষ ভাতা ভ্রমণ ও দৈনিক ভাতা আহরণের পদ্ধতিতে উত্তোলন করতে পারবেন।

এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে দৈনিক ভাতার হিসেবে সরকারের কাছে বরাদ্দ দাবি করবে। বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে আবাসিক সুবিধা গ্রহণ না করে দৈনিক ভাতা গ্রহণকারীদের পরিশোধিত অর্থ বাদ দিয়ে বাকি অর্থ দিয়ে বিভিন্ন আবাসিক স্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও যানবহনের জন্য দাবিকৃত অর্থ পরিশোধ সম্ভব না হলে প্রকৃত খরচের হিসাবসহ অতিরিক্ত প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দাবি করা যাবে।

তবে এ উদ্যোগে দুর্নীতি কতটা কমবে তা নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছেন। বরং এতে লুটপাট নতুন করে আরও বাড়বে বলেও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের ভাষ্য, শুরুতে কোভিড হাসপাতালে রোগীর যে ভিড় ছিল, এখন তা অনেকাংশেই কমে এসেছে। অধিকাংশ হাসপাতালে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ শয্যা দিনের পর দিন ফাঁকা পড়ে থাকছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই আগের মতো এত বেশি ডাক্তার-নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীকে ডিউটি করতে হচ্ছে না। কোনো কোনো হাসপাতালে চিকিৎসকরা মাসে ৫-৭ দিন দায়িত্ব পালন করছেন। কোথাও কোথাও এ ডিউটি আরও কমে এসেছে। এ অবস্থায় চিকিৎসক-নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের গড়ে ১৫ দিনের থাকা-খাওয়ার বিল দেওয়া হলে অনেকে ডিউটি না করেও এ বিল নেবে। বেশ কিছু হাসপাতাল থেকে এমন অভিযোগ পাওয়াও গেছে। ডিউটি না করেই সরকারী সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন তারা।

তবে অনেক চিকিৎসক এই উদ্যোগকে সাধুবাদও জানিয়েছেন, তাদের মতে সরকার থেকে নির্ধারিত কি সুবিধা তারা পাচ্ছেন সঠিকভাবে তা জানতেন না। এই পরিপত্রের মাধ্যমে সেটা তারা সঠিকভাবে জানতে পারলেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাজাহান খানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি শাজাহান খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি অভিযোগ তুলেছেন মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ডিসির ব্রিজ এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান তার নিজ নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। 

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে শফিক খান অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছেলে আসিবুর রহমান খান। শাজাহান খান তার ছেলেকে বিজয়ী করতে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করছেন। তিনি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর খবরদারি করছেন। কালো টাকা বিলির মাধ্যমে ভোট কেনার চেষ্টা, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ শফিক খানের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। 

শফিক খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ১৫টি অভিযোগ দিলেও সে বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যেকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনাসহ ইলেকট্ররাল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আবেদন জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে।’

সংবাদ সম্মেলন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাদারীপুর জেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ।
 
তবে সংবাদ সম্মেলনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আসিবুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা শাজাহান খান এলাকায় থাকলেও তিনি নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করছেন না।’ শাজাহান খান নিজেও তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কোনভাবেই নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণ করিনি। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

শাজাহান খান   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন