ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা: নীরব সর্বনাশ হচ্ছে বাংলাদেশে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৭ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমিত দেশগুলোর তালিকায় ১৫ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। যে ইতালি নিয়ে এত হইচই হচ্ছিল, সেই ইতালিকে হটিয়ে বাংলাদেশ ১৫ তম স্থান দখল করে নিয়েছে এবং সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আগামীতে বাংলাদেশ যে শীর্ষ দশে যাবেনা তা হলফ করে কেউ বলতে পারে না। যদিও বাংলাদেশে করোনা নিয়ে তেমন কোন আতঙ্ক নেই, দুশ্চিন্তাও আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। মানুষ করোনাকে এখন আর আগের মতো পাত্তা দিচ্ছে না। বরং জীবীকার প্রয়োজনে সবকিছু স্বাভাবিক করার জন্যে সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। আগে যেমন সীমিত আকার অফিস-আদালত চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে সরকার সরে এসেছে। সরকারি অফিসগুলো সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চালু রাখার নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া হয়েছে। আদালত খুলে দেওয়া হয়েছে এবং উচ্চ আদালতও খুলে যাচ্ছে। শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া সমস্ত কর্মকাণ্ডই স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পর্যটন শিল্পগুলো বাঁচানোর জন্যে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলগুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তগুলোর পেছনে সবথেকে বড় কারন হিসেবে কাজ করেছে করোনায় মৃত্যুহার, যা এখন পর্যন্ত অত্যন্ত কম। এখন পর্যন্ত ১ দশমিক ৩- এর কাছাকাছি হারে করোনায় মানুষ মারা গেছে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুবরণ করলেন ৩৩৩৩ জন। করোনাকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে সুস্থতার হার বেশি। যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫৭ ভাগ মানুষ ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে মানুষ এটাকে আর ৮-১০ টা রোগের মতোই মনে করছে। প্রথমে যেমন মনে করা হচ্ছিল যে, হাসপাতালগুলোর উপরেচাপ পরবে, এখন সেই অবস্থারও পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের হাসপাতাল নির্ভরতাও কমে গেছে। এখন মানুষ আক্রান্ত হলে বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছে। যদিও বাসাতেও মৃত্যু হচ্ছে, যদিও বা সেই হার উদ্বেগজনক নয়।

ফলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকার মনে করছে যে, করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বসবাসের নীতিতে এগোতে হবে এবং করোনার থেকে অর্থনৈতিক দিককে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। কিন্তু এরকম সিদ্ধান্তে যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে, তেমনি এর কিছু ঝুঁকিও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে বাংলাদেশের নীরব সর্বনাশ হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। যেসব ক্ষেত্রে এই সর্বনাশগুলো হতে পারে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-

আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতা

ইতিমধ্যেই জাপান, ইতালি, কুয়েতসহ বেশকিছু দেশ বাংলাদেশিদের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাংলাদেশে যদি দীর্ঘমেয়াদে করোনা থাকে এবং সারাবিশ্ব যদি করোনাকে প্রতিরোধ করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের জন্যে সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন হয়ে পড়বে, বাংলাদেশ সারাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। এটা বাংলাদেশের অভিবাসনসহ আমাদের অর্থনীতির উপরে একটি ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে।

যেকোন সময় পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে

যদিও বলা হচ্ছে যে, বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যত বানী ভুল প্রমাণিত হয়েছে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, তাঁদের ভবিষ্যত বানী সঠিক না ভুল তা এখন পর্যন্ত বলার সময় হয়নি। কারণ বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বোঝার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। কারণ বাংলাদেশে যে পরীক্ষা হয়েছে সেই পরীক্ষার হার অত্যন্ত কম এবং ১৭ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশের জন্য এই পরীক্ষা খুবই কম। এখন পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে এই কারণে যে, আসলে পরিস্থিতি কি তা বোঝার জন্যে যে পরিমাণ পরীক্ষা দৈনিক হওয়ার কথা সেই পরিমাণ পরীক্ষাও হচ্ছে না। ফলে আমাদের হঠাত করেই পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি

দীর্ঘমেয়াদী করোনা বাংলাদেশে থাকলে সেটা আমাদের জনস্বাস্থ্যের জন্যে একটি বড় হুমকি হবে। কারণ করোনার চিকিৎসার জন্যে অন্যান্য চিকিৎসা গুলো যেমন ব্যহত হবে, তেমনি মানুষের স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা জটিল হবে। হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা চালানো কঠিন হয়ে যাবে এবং সামগ্রিক ভাবে একটি জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়তে পারে দেশ।

ভ্যাকসিন বিতর্ক

করোনা সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদী হলে আমাদের ভ্যাকসিনের উপর নির্ভরশীল হতে হবে এবং সেই ভ্যাকসিন আসলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পাবো কিনা বা কোথা থেকে পাবো ইত্যাদি বিতর্কের সঙ্গে বাংলাদেশ জড়িয়ে পড়েছে। ফলে এখন মৃত্যুহার কম এবং সুস্থতা বেশি হলেও যদি আমরা ভবিষ্যতে ভ্যাকসিন না পাই তাহলে আমাদের পরিস্থিতি কি হবে তা সহজেই অনুমেয়।

আর এই সমস্ত বাস্তবতার কারণে করোনা দীর্ঘমেয়াদী থাকায় আমাদের নীরব সর্বনাশ হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে এবং এই উপেক্ষার মাশুল হয়তো বাংলাদেশকে দিতে হতে পারে। তবে সেটা নির্ভর করছে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি কতদিন থাকে, কিভাবে থাকে এবং করোনার ভয়াবহতা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয় তার উপরে।  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে।

ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ক্লাস চলার সময় ছিঁড়ে পড়ল সিলিং ফ্যান, শিক্ষার্থী জখম

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুর পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সিলিং ফ্যান পড়ে সুমাইয়া আক্তার মীম নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের রশিদপুর এলাকার ইজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুমাইয়া আক্তার মীমকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

আহত মীম পৌরসভার বগাবাইদ গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। আহত সুমাইয়া আক্তার মীম সেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, সকাল ১০টা থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। দশম শ্রেণির ক্লাসরুমে তৃতীয় ঘণ্টার ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দ্বিতীয় তলার শ্রেণি কক্ষের একটি ফ্যান ভেঙে সুমাইয়ার ওপর পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুখের ওপরের ঠোঁট কেটে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। গত বছরও ওই বিদ্যালয়ে ফ্যান পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান তারা।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গেলে ছবি ও ভিডিও নিতে বাধা প্রদান করে বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। আর এ বিষয়ে কোনো বক্তব্যও দিতে চাননি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুজ্জামান। এ সময় তিনি শুধু বলেন, বক্তব্য কী দেব বলেন, ফ্যান পড়ে গেছে এই আর কি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত না। তবে খবর নিচ্ছি। জেলার সাতটি উপজেলায় সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জামালপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপদাহের কারণে দেশের পাঁচ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (সোমবার) বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের স্কুল-কলেজ-মাদরাসা খোলা রাখতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া পরবর্তী সময়ে এ পাঁচ জেলায় কিংবা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এমন অন্যান্য জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত সোমবার জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপদাহ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুই দফায় ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে সরকারের ভেতরে গুঞ্জন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর বাজেট অধিবেশনের আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে আসতে পারে বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এই মন্ত্রিসভা অপূর্ণ ছিল, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর ১ মার্চ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। তবে সে দফায় কোন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। বরং ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিসভা ছিল ৪৭ সদস্যের। এবারের মন্ত্রিসভা আওয়ামী লীগের গত তিন বারের মন্ত্রিসভায় চেয়ে আকারে সবচেয়ে ছোট। আর এই কারণেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি বিভিন্নভাবে আলোচিত হয়।  

সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা আরও বড় করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এছাড়া মন্ত্রিসভায় কয়েকটি দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালেয়ও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। 

এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার পরিবর্তে অন্য কোন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএ-এর অনুরোধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি করতে হতে পারে এই বিবেচনা থেকে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যিনি আইনে দক্ষ বিশেষ করে শ্রম আইনে দক্ষ কাউকে যেন এই মন্ত্রণালেয়র দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইতোমধ্যে ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে গত ২১ এপ্রিল। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভালো-মন্দ নানান রকম হিসেব নিকেশ প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে এখনই বিচার করার সময় হয়নি বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন। তবে টানা দুই থেকে তিনবার যারা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে দু’একজনকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে। এদের মধ্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এদের মধ্যে এক বা একাধিক জনকে পূণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, জুনাইদ আহমেদ পলক ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগের 'গুড বুকে' চলে গেছেন। বিশেষ করে তার শ্যালককে তিনি প্রার্থী থেকে প্রত্যাহার করার ফলে তিনি সরকারের আরও বেশি আস্থাভাজন এবং প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল কখন, কীভাবে হবে এবং কতজন নতুন মন্ত্রী হবেন এ বিষয় সম্পর্কে কেউই কিছু বলতে পারেননি। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এটি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন বিবেচনা করবেন তখনই তিনি এই রদবদল করবেন।

মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে মোদি হারলে বাংলাদেশে কী হবে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।

প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।

এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।

বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।

এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।

অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বাংলাদেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন