ইনসাইড বাংলাদেশ

করোনা নিয়ে স্বস্তিতে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১১ অগাস্ট, ২০২০


Thumbnail

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে, আড়াই লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, সাড়ে তিন হাজারের মতো মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। তারপরেও করোনা নিয়ে সরকারের মাঝে স্বস্তি দেখা দিচ্ছে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কেটে গেছে। করোনা সংক্রমণের শুরুতে সরকারের মধ্যে যে ধরণের অস্থিরতা ছিল, সেই ধরণের অস্তিরতা এখন আর নেই। বরং সরকার করোনার থেকে বন্যা মোকাবেলা, অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা, খাদ্যের ফলন বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছে। আগস্ট মাস থেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে সবকিছু। স্কুল-কলেজ এবং বড় ধরণের সভা-সমাবেশ ছাড়া সব ধরণের কার্যক্রম বাংলাদেশে শুরু হয়েছে, যদিও করোনা সংক্রমণ এখনো বাংলাদেশে থামেনি। কিন্তু সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যৎবাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং করোনার সঙ্গে বসবাসের যে কৌশল প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন সে কৌশল সফল হয়েছে। আর এই বাস্তবতায় সরকার করোনা নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন নয়, আতঙ্কিত নয়। বরং করোনা পরবর্তী বিশ্বে প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্যে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। করোনা নিয়ে বাংলাদেশের স্বস্তির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-

বাংলাদেশে মৃত্যুহার কম

বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে বিশেষজ্ঞরা বলছিল যে, সংক্রমণ বাড়লেই মৃত্যুহার বাড়বে এবং মৃত্যুর মিছিল হবে বাংলাদেশে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বের সবথেকে বেশি করোনা সংক্রমিত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার সবথেকে কম এবং যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাঁদের সবার ভেতরে অন্যান্য উপসর্গ ছিল। মৃত্যুর হার কম থাকার কারণে মানুষ করোনা নিয়ে প্রথমদিকে যে ভীত এবং আতঙ্কিত ছিল তা এখন কাটতে শুরু করেছে। এখন মানুষ করোনাকে আর অন্য দশটা রোগের মতো ধারণা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে।

হাসপাতালের উপর নির্ভরশীলতা কম

বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের একটি বড় অংশই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গের। তাছাড়া নানা বাস্তবতার কারণে বাংলাদেশের মানুষ এখন করোনায় আক্রান্ত হলে হাসপাতালে যাচ্ছে না। প্রথমদিকে হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ ছিল এবং এটা নিয়ে সরকারের মধ্যে একটি উদ্বেগ ছিল যে, যদি রোগী বাড়ে তাহলে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া যাবে না। ইউরোপ-আমেরিকার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। এজন্য সরকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল যাই পেয়েছিল, সেটাকেই করোনার জন্যে বিশেষায়িত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, তত দেখা গেছে যে, মানুষ আর হাসপাতাল মুখী নয়, বরং হাসপাতালের চেয়ে মানুষ বাড়িতে চিকিৎসা নিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। এর কারণ যাই হোক না কেন, হাসপাতালের উপর চাপের হ্রাস সরকারের জন্যে এক বড় স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে সরকারের জন্যে যেমন ব্যয় সাশ্রয় হয়েছে, তেমনি জনআতঙ্ক কমে গেছে।

করোনার সঙ্গে বসবাসের কৌশল

সরকার শুরু থেকেই করোনা মোকাবেলায় লকডাউনের থেকে করোনার সঙ্গে বসবাস, অর্থাৎ মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দুরত্ব মেনে চলা, স্বাস্থ্যবিধি মানা ইত্যাদি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিচ্ছিল এবং আস্তে আস্তে এটাতে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে এবং সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে এখন আরো কঠোরতা আরোপ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, মাস্ক বাধ্যতামূলক করার জন্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কথাও আলোচনা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে মানুষ সচেতন হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং করোনার সঙ্গে বসবাসের যে কৌশল, সেই কৌশল বাস্তবায়িত হবে বলে মনে করছে সরকার।

গরীব মানুষরা আক্রান্ত কম

বাংলাদেশে যেকোনভাবেই হোক না কেন, করোনা সংক্রমণের হার গরীবদের মধ্যে অনেক কম। এটা ছিল সরকারের অন্যতম উদ্বেগ এবং আতঙ্কের দিক যে, যদি গরীব মানুষদের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে সেক্ষেত্রে তাঁদের চিকিৎসার ভার সরকারের উপর বর্তাবে এবং এই চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করা গরীব মানুষদের জন্যে কঠিন হয়ে পড়বে-এরকম একটি উৎকণ্ঠা হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতি হয়নি।

ভ্যাকসিনমুখী উদ্যোগ

সরকারের স্বস্তির একটি বড় কারণ হলো যে, বিশ্বে যে ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়াগুলো হচ্ছে, সেই প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হলেও বাংলাদেশ যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ভ্যাকসিন এলেই বাংলাদেশ তা পাবে এবং এটার কারণে বাংলাদেশ সরকারের ভেতর অস্বস্তি ভাব কমে যাচ্ছে। কারণ এখন ভ্যাকসিনই করোনা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ তা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে হিট স্ট্রোকে প্রাণ গেল ভ্যানচালকের

প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকে বাবলু খন্দকার (৪৫) নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ভ্যান চালক জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল সরকারপাড়া গ্রামের শুকুর মাহমুদ খন্দকারের ছেলে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিক্রির জন্য বাবলু খন্দকার ভ্যান যোগে কয়েক বস্তা আলু নিয়ে গোপীনাথপুর হাটে যান। সেখানে আলুর বস্তা নামিয়ে রেখে চা খেতে দোকানে বসেন তিনি। এসময় হঠাৎ করে বুকে ব্যাথা উঠলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্তে কর্মকর্তা নয়ন হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


হিটস্ট্রোক   ভ্যান চালক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় সেচের অভাবে অনাবাদি ১০০ বিঘা জমি

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সেচের অভাবে অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে ১০০ বিঘা জমি

নওগাঁ সদর উপজেলায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত একটি গভীর নলকূপ বন্ধ রাখা হয়েছে। পানির অভাবে এই সেচযন্ত্রের আশ পাশের প্রায় ১০০ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছে। সেচ সংকটের কারণে কিছু কৃষক ধানের আবাদ না করে জমিতে তিলের চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টির কারণে তিলের গাছও মরে যেতে বসেছে।

  

সেচ নিয়ে কৃষকদের এমন দুরাবস্থা নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া, মাদ্রাসা পাড়া, সরদার পাড়া, শেখপুরা ও মন্ডলপাড়া এলাকায়।

 

কৃষকদের দাবি, পৌরসভার হাজীপাড়া মহল্লা সংলগ্ন মাঠে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। গভীর নলকূপটি মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করে থাকেন। ওই এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতে নলকূপটির মালিক মকবুল হোসেন কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান আবাদের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে সেচের জন্য ২ হাজার টাকা করে দাবি করেন। আশপাশের অন্যান্য নলকূপের সেচ খরচের তুলনায় বেশি টাকা দাবি করায় কৃষকেরা ওই পরিমান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। চাহিদা অনুযায়ী সেচ খরচ দিতে রাজি না হওয়ায় সেচযন্ত্রটি বন্ধ রেখেছেন গভীর নলকূপের মালিক মকবুল হোসেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেও কৃষকেরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

 

গত ১৯ মার্চ ৬০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পৌরসভার হাজীপাড়া, সরদারপাড়া ও মাদ্রাসাপাড়া মহল্লার মধ্যবর্তী মাঠে প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমি আছে। এসব জমিতে প্রতি মৌসুমে কয়েক হাজার মণ ধান হয়। বোরো মৌসুমে ওই এলাকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওই মাঠে দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছে। ওই দুটি সেচ যন্ত্রের মধ্যে মকবুল হোসেন পরিচালিত গভীর নলকূপের অধীনে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিগত তিন বছর ধরে মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ কৃষকদের জিম্মি করে সেচ বাবদ বেশি টাকা আদায় করছে।

 

পার্শ্ববর্তী বোয়ালিয়া, শেখপুরা এলাকায় গভীর নলকূপ থেকে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ খরচ বাবদ যেখানে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে, সেখানে সবুজ তার সেচযন্ত্র থেকে সেচ খরচ দাবি করে ২ হাজার টাকা।

 

অধিকাংশ কৃষক এই পরিমাণ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ সেচ যন্ত্রটি থেকে পানি তোলা বন্ধ করে দেন। ধানের বীজ তলায় সেচ দিতে না পারায় কৃষকদের চারা নষ্ট হয়ে যায়। জমিতে ধান লাগাতে না পেরে অনেক কৃষক জমিতে তিলের চাষ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে এবং সেচ যন্ত্র বন্ধ থাকায় অধিকাংশ তিল গাছ মরে যেতে বসেছে। এই দূরাবস্থা নিরসনে জেলা ও উপজেলা সেচ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকেরা।

 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) পৌরসভার হাজীপাড়া সংলগ্ন ওই ফসলি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ওই মাঠে অনেক জমি অনাবাদি পড়ে আছে। কিছু জমিতে তিলের চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে অনাবাদি জমি ও তিলের খেতের জমি শুকিয়ে আছে। পানির অভাবে শুকনো মাটিতে বপন করা তিল বীজ থেকে চারা গজায়নি। আবার কিছু কিছু জমিতে চারা গজালেও পানির অভাবে তিলের গাছগুলোর পাতা শুকিয়ে লালচে হয়ে মরতে বসেছে।

 

কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেচ যন্ত্রের মালিক মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো বলেন, ‘একটা মৌসুমে একটা ডিপ টিউবওয়েল চালালে তিন থেকে চার লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। এছাড়া ট্রান্সফরমার বা সেচ যন্ত্রের অন্য কোনো অংশ নষ্ট হয়ে গেলেও বাড়তি খরচ হয়ে যায়। মেশিন চালাতে যে খরচ হবে, সেটা তুলতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে। তাই পানি তোলা বন্ধ রেখেছি।’

 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এস এম রবিন শীষ বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সম্ভবত এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছিলাম। কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সেচ যন্ত্রটি চালু করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


অনাবাদি   সেচ   সেচযন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এই জেলায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভুট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা   চুয়াডাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৃত্যুর ৩ বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা যান বছর আগে। সেই মামলার রহস্যের জট খুলেছে বছর পর। আসামী আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই ফিরোজ আহমেদ জানান, বিগত ২০২১ সালের মার্চ ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আমির হোসেন তার দলবল কায়দা করে ভিকটিমের সাথে ভাব জমিয়ে তাকে বিস্কুটের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খ্ইায়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা মালামাল নিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসের হেলপার তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছাগলছিড়া এলাকায় তাকে বুঝে দিয়ে বরিশালের দিকে বাস চলে যায়।

পরে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাচ্চু শেখকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনায় মৃত বাচ্চু শেখের স্ত্রী মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ পিবিআই মূল অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পিবিআই-এর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।


পিবিআই   মৃত্যু রহস্য   জবানবন্দি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ কর্মসূচী

নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।


সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় নওগাঁ সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন।

এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।


কৃষি প্রণোদনা   কৃষক   বীজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন