নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৪ অগাস্ট, ২০২০
খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। ৮৮ বছর বয়সী এ চিত্রশিল্পীকে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করার পর করোনা সংক্রমনের পরীক্ষা করা হলে আজ সন্ধ্যায় ফল পজিটিভ এসেছে। শিল্পী হাসপাতালের মেডিকেল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এমআইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে শিল্পীর মেয়ে মুনীরা বশীর গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিল্পী হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। এর আগেও বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তিনি তার বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তিনি বলেন, বাবা দ্রুত সুস্থ হয়ে যেন আমাদের মাঝে ফিরে আসেন; তার অসমাপ্ত কাজগুলো যেন সম্পন্ন করতে পারেন।
বাংলাদেশে বিমূর্ত বাস্তবতার চিত্রকলার অন্যতম পথিকৃৎ শিল্পী মুর্তজা বশীরের ‘দেয়াল’, ‘শহীদ শিরোনাম’, ‘পাখা’ ছাড়াও বেশকিছু উল্লেখযোগ্য চিত্রমালা রয়েছে। তিনি একজন ভাষা সংগ্রামী। ‘রক্তাক্ত ২১শে’ শিরোনামে ভাষা আন্দোলন নিয়ে ‘লিনোকাট’ মাধ্যমে একটি চিত্রকর্ম রয়েছে। পেইন্টিং ছাড়াও ম্যুরাল, ছাপচিত্রসহ চিত্রকলার বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন।
চিত্রকলা ছাড়াও সৃজনশীল অন্যান্য মাধ্যমেও তিনি অবদান রেখেছেন। ‘টাটকার রক্তের ক্ষীণরেখা’ শিরোনামে একটি বইতে নিজের লেখা কবিতার ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেছেন। ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা উপন্যাস ‘আলট্রামেরিন’। মুদ্রা ও শিলালিপি নিয়েও তিনি গবেষণা করেছেন।
মুর্তজা বশীরকে চিত্রকলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ১৯৮০ সালে একুশে পদক এবং ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
বাঙালি মনিষী বহু ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে মুর্তজা বশীর ১৯৩২ সালের ১৭ অগাস্ট ঢাকার রমনায় জন্মগ্রহণ করেন। পেশাজীবনে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিমানবন্দর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।