নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ত্রুটি নিরসনে আজ প্রকল্প এলাকা সরেজমিন পরির্দশনে যাচ্ছেন দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় আজ পদ্মা সেতু এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন রেলপথ সচিব সেলিম রেজা, সেতু সচিব বেলায়েত হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা।
তারা প্রকল্পের কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও চীনা ঠিকাদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে রেললাইনের কারণে ট্রাক, ট্যাংকলরিসহ বেশি উচ্চতার যানবাহনের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে, সে বিষয়ে একটি সমাধান খুঁজবেন তারা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন রেলওয়ে কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এ সমাধান যদি শুধু রেলওয়ের পক্ষ থেকে করা হয়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বাড়বে। কারণ হিসেবে তারা জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ১ হাজার ৬১টি পিলার, পাইলের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ত্রুটি সারাতে হলে ৭ কিলোমিটার উড়াল রেলপথে প্রভাব পড়বে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক শামছুজ্জামান বলেন, আজ দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পদ্মা সেতু সরেজমিন পরির্দশনে যাবেন। দিনভর সেখানে ঠিকাদার, প্রকৌশলীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। নিশ্চয়ই একটি সলিউশন বের হবে। আমরা চাচ্ছি কম ক্ষতি হয় এমন ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন বের করতে। ইতোমধ্যে আমরা বুয়েটের সঙ্গেও আলোচনা করছি।
পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন এ চৌধুরী বলেন, আমরা পদ্মা সেতু সরেজমিন পরিদর্শনে যাচ্ছি। কী করে চলমান রেললাইন ডিজাইনের ত্রুটির সমাধান বের করা যায়- আমরা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।
আগামী বছরের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হওয়ার কথা। করোনা ও বন্যার কারণে কাজে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন কাজ চলছে পুরোদমে।
ডিজাইনের ত্রুটি ধরার পর রেল সংযোগ প্রকল্প কাজে আপত্তি দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রেলওয়ে কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, উভয় প্রকল্পের কাজ সমীক্ষা অনুযায়ীই হচ্ছে, যা ২০১৫ সালে মীমাংসিত। সমীক্ষার বাইরে রেলওয়ের সাইডে কোনো প্রকার কাজ হয়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।