ইনসাইড বাংলাদেশ

আরিফিন শুভঃ দ্যা ট্রান্সফর্মার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫:৩০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

একটা সময় ছিলো যখন গল্প নির্ভর চলচ্চিত্র অভিনয়ের জন্য ঢাকাই চলচ্চিত্রে একসাথে একঝাক তারকা অভিনেতা ছিলেন। আমাদের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন নায়ক রাজ রাজ্জাকের মতো দুর্দান্ত অভিনেতা। আমাদের ছিলো আলমগীর, ফারুক, সোহেল রানার মতো অভিনেতারা। সেই সাথে এই আমাদের ঢাকাই চলচ্চিত্রে ছিলো পুরো নব্বই দশক কাপিয়ে বেড়ানো সোহেল চৌধুরী, ওমর সানী, বাপ্পারাজ, সালমান শাহ, রুবেল ও জসিমের মতো অভিনেতারা।

একটা সময় পাশের দেশ ভারতে্র কলকাতা কিংবা বলিউড থেকেও অনেকটাই এগিয়ে ছিলাম আমরা। ওই সময়টাতে প্রায়শই পাশের দেশের সুপারস্টারদের সাথে অভিনয়ে টেক্কা দিতেন আমাদের সালমান, রাজ্জাক আর রিয়াজেরা। কালের ধারায় দর্শকদের রুচির পরিবর্তন এসেছে। সেই সাথে বদলে গেছে নায়কের সংজ্ঞা। বিশ্ব চলচ্চিত্রের অনেক দেশেই বাণিজ্যিক সিনেমার নায়ক বলতেই আজকাল বোঝায় দুর্দান্ত অভিনয়ের সাথে পেশি বহুল শরীর।

ধীরে ধীরে সেই ধারায় যুক্ত হয়েছেন হলিউড, বলিউড, তামিল, মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে আমাদের পাশের দেশের কলকাতার নায়কেরা। এখন সিনেমা হলে নায়কের দুর্দান্ত বডি ল্যাংগুয়েজ আর অভিনয়ের পাশাপাশি দর্শক সিটি বাজিয়ে ওঠে সালমান খান, আমির খান, টাইগার শ্রুফ, জিত, দেবদের পেশিবহুল শরীর দেখে। একঝাক দুর্দান্ত নায়ক আমাদের ঢাকাই চলচ্চিত্রে থাকলেও জসিম থেকে শুরু করে রুবেল, আলমগীর, রিয়াজ বা হালের সুপারস্টার আমাদের সাকিব খান কারো মধ্যেই ছিলোনা ফিটনেস ধরে রাখার প্রবনতা। তাই ঢালিউড সিনেমার নাম শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে ভুঁড়িওয়ালা, হেলে দুলে চলা নায়কের প্রতিচ্ছবি।

২০১০ সাল! খিজির হায়াত খান পরিচালিত “জাগো” সিনেমায় অভিষেক হয়েছিলো এক যুবকের। উচ্চতা, লুক আর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ মিলিয়ে নায়কোচিত সেই যুবকটির নাম আরিফিন শুভ। শুরুর দিকে অভিনয়ে খুব একটা পরিপক্বতা না থাকলেও গল্প আর চরিত্রের প্রতি ডেডিকেশন দেখা গিয়েছিলো তার পরবর্তী সিনেমাগুলোতে।

২০১৫ সালে অভিনয় করেন শিহাব শাহীন পরিচালিত “ছুয়ে দিলে মন” নামের সিনেমাটিতে। এতোদিনের অভিনয় দক্ষতাকে বেশ ভালভাবেই কাজে লাগিয়েছিলেন এই সিনেমাটিতে। ধীরে ধীরে অনেকগুলো সিনেমায় অভিনয় করলেও ঠিক যেন ব্যাটে বলে কি একটা মিলছিলো না। অনেকের মাঝেই অভিনয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেলো। নানান গুঞ্জন আর নিন্দুকের কথাকে পেছনে ঠেলে ফিরলেন আরিফিন শুভ। হ্যা বলছি “ঢাকা অ্যাটাক” সিনেমার কথা। দীপঙ্কর দীপনের প্রথম সিনেমা ঢাকা অ্যাটাকে পুলিশের স্পেশাল টিমের সদস্যা “আবিদ রহমানের” চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে মন জয় করে নিলেন অনেক চলচ্চিত্রপ্রেমীর।

বাংলা সিনেমায় যে কয়জন অভিনেতা খুব ভালো অভিনয় দিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন আরিফিন শুভ যেন তাদের রেখে যাওয়া হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্যই নিজেকে নিয়ে প্রতিনিয়ত নানান ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করে চলেছেন। আরিফিন শুভ এমন একজন অভিনেতা যিনি চরিত্রের প্রয়োজনে প্রায় অসম্ভব কাজগুলোকেও নিজের ডেডিকেশনের মাধ্যমে আলোর মুখ দেখিয়েছেন। অভিনয় দক্ষতাকে আরো বাড়িয়ে নিতে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফিল্ম স্কুল থেকে কর্মশালা সম্পন্ন করেছেন।

তবে এতোকিছু ছাপিয়ে আরিফিন শুভকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে একটি সিনেমা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে বাংলাদেশ ভারত যৌথ প্রযোজনায় পরিচালক শ্যাম বেনেগাল নির্মাণ করছেন একটি চলচ্চিত্র। এটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে চরিত্রে অভিনয় করছেন আরিফিন শুভ। যদিও অনেকের মাঝে এখনো গুঞ্জন রয়েছে বাঙ্গালীর আবেগ জড়িত যে নামটির সাথে সেই মানুষটির চরিত্রের ভার ঠিকঠাক বইতে পারবেন কিনা শুভ। তবে শুভর ডেডিকেশন আর চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোভাসা ইংগিত দেয় এই ইতিহাস রচনা করতে যাওয়া চলচ্চিত্রটিতেও আরিফিন শুভ তার কারিশমা দেখাবেন।

ঢাকা অ্যাটাক সিনেমার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শুরু হয় শুভর আরেকটি পুলিশ থ্রিলার সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। ইতোমধ্যেই সিনেমাটির শুটিং, এডিটিং সহ অনেক কাজই সম্পন্ন হয়েছে। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা আরিফিন শুভর এই সিনেমাটি নিয়েই শুরু হয় আরেকটি গুঞ্জন। আরিফিন শুভর সর্বশেষ সিনেমা ছিলো আহারে, যেটিতে ওজন বাড়ানোর দরকার হয়েছিলো চরিত্রের প্রয়োজনে। কিন্তু সমস্যার শুরু সেখানেই, ফয়সাল আহমেদ পরিচালিত মিশন এক্সট্রিম সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্য যখন শুভকে নির্বাচন করা হয় তখন আরেফিন শুভর ওজন ৯৪ কেজি।

সেইসাথে পেটে জমেছে বিশাল এক মেদ এর স্তুপ। অন্যদিকে মিশন এক্সট্রিমের শুটিং শুরু হতে বাকী মাত্র নয় মাস। এই অল্প সময়ের মধ্যেই আরিফিন শুভকে করতে হবে একটি অসাধ্যসাধন যা বাংলাদেশি সিনেমার ইতিহাসে আগে কেউ করেননি আগে। মিশন এক্সট্রিমের “নাবিদ আল শাহরিয়ার” চরিত্রটির জন্য কাজ শুরু করলেন শুভ। শুরু হলো ঢাকাই সিনেমার ইতিহাস বদলে দেওয়ার গল্প। নিয়মিত জিম, ডায়েট দিয়ে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ শুনতে যতোটা সহজ মনে হচ্ছে আরিফিন শুভর এই নয় মাসের ট্রান্সফরমেশন জার্নিটা অতোটা সহজ ছিলো না।

বলতে গেলে খাওয়া, ঘুম আর দিনের অধিকাংশ সময়ের সঙ্গী ছিলো জিমনেশিয়াম আর শুভর ইন্সট্রাকটর। মাঝে ঘটলো বিপত্তি, অতিরিক্ত ওজন নেওয়ার কারনে পায়ের গোড়ালিতে রিপিটেটিভ টিস্যু ড্যামেড হয়ে থেমে গেলো শুভর জিমনেশিয়াম মিশন। কিন্তু হেরে যাবার পাত্র নন শুভ, ঢাকাই চলচ্চিত্রের সবথেকে বেশি ডেডিকেটেড মানুষটি আবারো ফিরলেন জিমে যার পেছনে ছিলো আরেফিন শুভর ইচ্ছাশক্তি আর মনের জোর। নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ঢাকাই সিনেমাপ্রেমীরা সাক্ষী হলো একটি ইতিহাসের। আরিফিন শুভ তার মিশন এক্সট্রিম সিনেমার জন্য যে বডি ট্রান্সফরমেশন যুদ্ধ চালিয়েছেন তার জন্য তিনি অনেকের কাছেই আইডল হয়ে থাকবেন। সেই সাথে দিন দিন অভিনয় দক্ষতায় নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার যুদ্ধে লড়ছেন আমাদের আরিফিন শুভ।

সময়ের চাকায় ভর দিয়ে সিয়াম আহাম্মেদ, এবিএম সুমন, তাসকিন রহমান, শরিফুল রাজ, রোশান ও ইয়াশ রোহানরা যুক্ত হয়েছেন আমাদের চলচ্চিত্রে। একজন আরিফিন শুভ হয়তো রাতারাতি বাংলা সিনেমাকে বদলে দিতে পারবেন না। কিন্তু চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে পরিবর্তনের যে ইতিহাস তিনি রচনা করেছেন সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে হয়তো সামনের দিনগুলোতে ঢাকাই চলচ্চিত্র পাবে আরো অনেক ফিটনেস সচেতন নায়ককে। নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই ফিটনেস আইডল হিসাবে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে আরিফিন শুভর নাম।

বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য আরেফিন শুভর বডি ট্রান্সফরমেশন ভিডিওটির লিংক দেওয়া
হলো –



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন