ইনসাইড বাংলাদেশ

মালেকদের উত্থানে মদ ও নারীর ভূমিকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৯ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০


Thumbnail

 

গাড়ি চালক মালেক কিংবা বিভিন্ন দপ্তরের অফিস সহায়ক বা নিম্নমান সহকারিগণ কোট কোটি টাকার মালিক বনে যান রাতারাতি, কীভাবে? যারা সরল অংক জানেন মনেও সরল বাংলাদেশের সে সব মানুষদের কাছে এটি একটি বিরাট গোলক ধাঁধাঁ ছাড়া আর কিছুই না। তাঁদের সিঁড়িভাঙ্গা অঙ্ক কষ্টে হয়।  

আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলন আছে তা হচ্ছে ‘বিপদ যখন আসে তখন চারিদিক দিয়েই আসে, একজোট হয়ে’। আরেকটি কথা হচ্ছে, ‘ভাগ্য যখন ভালো হয় তখন খড়কুটা ধরলেও সোনার মোহর হয়ে যায়’। ওসব কথা একদিনে জন্ম বা তৈরি হয়নি, হাজার বছরের অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ এসব কথা বলেছেন, বলে আসছেন।      

কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ার অনেকেই আক্ষেপ করে বলছেন, তাঁরা তাঁদের মেয়েকে গাড়ি চালকের সাথে কিংবা সরকারী অফিসের অফিস সহায়কের সাথে বিয়ে দেবেন। কারণ দেশে কয়েক শ’ বা কয়েক হাজার গাড়ি চালক বা অফিস সহায়ক বা নিম্নমান সহকারী রাতারাতি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন, কেউ কেউ তো চাকরী ছেড়ে শিল্পপতি বনে গেছেন ৫/৭ বছরেই। তাই এটা নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রাক্তন সিবিএ নেতার সাথে কথা বলে জানা গাছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

স্বাস্থ্য দপ্তরের গাড়ি চালক মালেকরা বা তাঁদের মত বিভিন্ন দপ্তরের কর্তারা নিজেরা প্রথমে তাঁদের অবৈধ কাজে এদের শামিল করেন সহযোগী হিসেবে। তখন সহযোগী গাড়ি চালক বা অফিস সহকারী যখন সব অপকর্মের সাক্ষী হয়ে যায় তখন তাঁকে ধীরে ধীরে নানা অবৈধ সুবিধা দিতে থাকেন ঐসব কর্তা ব্যক্তিরা। অবৈধ টাকা যখন বানের পানির মত আসে তখন তাঁর সাথে আসে মদ, জুয়া আর নিত্য নতুন নারী আসক্তি যা আমাদের সমাজে ভালো চোখে দেখা হয় না। মদ, জুয়া আর নিত্য নতুন নারী আসক্তি এতোই প্রবল যে, এতে মানুষের হিতাহিত জ্ঞান বা নীতি নৈতিকতার কোন বালাই থাকে। বেপরোয়া হয়ে উঠেন তাঁরা তাঁদের জীবনাচরণে। এসবের সাক্ষী হয়ে গেলেই গাড়ি চালক বা অফিস সহায়ক বা নিম্নমান সহকারীগন। গাড়ি চালক বা অফিস সহকারী বা নিম্নমান সহকারীগণ অনেক সময় তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই মদ, নারী সরবরাহ কাজে নেমে গিয়ে অভ্যস্ত হয়ে যান। এর ফলে ঐ নষ্ট অফিসার বা তাঁর গ্রুপ চালক বা অফিস সহকারী বা নিম্নমান সহকারীগণের কাছে, প্রায় সকল কাজে আত্মসমর্পণ করে বসেন। এই সুযোগ হাতছাড়া না করে কিছু চালক বা অফিস সহকারী বা নিম্নমান সহকারীগণ অনেকেই বিলাসী জীবনের স্বপ্ন দেখে নেমে যান অবৈধ আয়ের পথে।      

‘টাকায় বাঘের চেখ মেলে’ বলে কথা প্রচলিত আছে। আমাদের দেশের প্রধান দুটি দলে মানে সরকারী দলের পদ বাণিজ্য হয় দেদারছে, তাঁর প্রমাণ ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে। সারা দেশে দেখা গেছে যে, বিএনপি, জাসদ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, জামায়াত, ইত্যাদি দলের অনেক নেতাই তাঁর প্রাক্তন দল থেকে পদত্যাগ না করেই টাকার বিনিময়ে পদ কিনেছেন, সেখানে এখনো নিয়মিত চাঁদা দেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এদের অনেকে উপজেলা চেয়ারম্যান, এমন কি এমপি হয়েছেন সে খবর বেরিয়েছে মিডিয়ায়। একই ভাবে যারা কয়েকবছর আগে ছিলেন বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি দপ্তরে বিএনপি জামায়াত (বিজাত) এর শ্রমিক নেতা তাঁরা এখন সরকারী দলের তুখোড় নেতা, পদ বাণিজ্যের মাধ্যমে।     

এসব চালক বা অফিস সহকারী বা নিম্নমান সহকারীগণের মধ্যে যারা নেতা হয়েছেন তাঁরা ফুলটাইম অফিসের দামি গাড়ি ব্যবহার করেন। গাড়ির মেইন্টেনেন্সের নামে চলে লুটপাট সুনির্দিষ্ট গ্যারাজের মাধ্যমে। এখানে ভাগ পান বিআরটিএ’র কর্তাগণ। কারণ তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই গাড়ির ভুয়া রিপিয়ার বিল হয়। ৩ হাজার কিলোমিটার চলা বা ৩ /৪ মাস পরে গাড়ির ফিল্টার, ইঞ্জিন অয়েল, ইত্যাদি পরিবর্তন করতে হয় যার খরচ গাড়ির মডেল ভেদে ১০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এগুলো হয় না নিয়মিত তাই নতুন গাড়ি ৪/৫ বছরেই নষ্ট হয়ে যায়। গাড়ি যত নতুন হউক না কেন তাঁর মাইলেজ হবে ৫ কিলোমিটার ঢাকায়, ঢাকার বাইরে সবখানেই। একই অবস্থা হয় কারগরি দপ্তরের অন্যান্য যন্ত্রপাতির বেলায়ও। সরকারী অফিসের গাড়ি,যন্ত্রপাতির তেল চুরি, রিপিয়ার মেইটেনেন্সে পুকুর চুরি, টায়ার চুরি, ইত্যাদি এখন ওপেন সিক্রেট।         

ঢাকায় এখন আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ সরকারিভাবে। কিন্তু, বাস্তবে তা নয়। অভিযোগ আছে যে, সরকারী দলের শ্রমিক কর্মচারী ফ্রন্টের নেতা বনে যাওয়া হোমরাচোমরাগন বিভিন্ন সরকারী অফিসের অভ্যন্তরে পড়ে থাকা ফাঁকা জায়গা ৩য়, ৪র্থ শ্রেণীর করমি বা তাঁদের আত্মীয়দের কাছে মৌখিক লীজ দিয়ে সেখানে টিন শেড বাসা বানানোর ব্যবস্থা করেন, এরা ভাড়াও দেন অনেকে। দেন অবৈধ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগ যার বিল দেয় সেই সরকারী দপ্তরের সংশ্লিষ্ট অফিস। এখাত থেকে অফিস ভেদে শ্রমিক কর্মচারী নেতারা কোটি কোটি টাকা আয় করে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। এসব নেতাগণ ছোট ছোট টেন্ডারে ভাগ বসান, বড় কাজে বাঁধা দিয়ে বখরা নেন। তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মনিয়োগ বাণিজ্যে জড়িত থাকেন।      

বিদ্যুৎ, গ্যাস, ওয়াসায় সরকারী দলের শ্রমিক কর্মচারী ফ্রন্টের নেতা এতোই প্রভাবশালী যে তাঁরা বিভিন্ন বস্তি ও বাসায় অবৈধ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগ দিয়ে শুধু ঢাকা শহরেই মাসে কোটি কোটি টাকা আয় করেন বলে অভিযোগ ও তার প্রমাণ আছে। বেশি টাকার দরকার হলেই বা সরকারী দলের শ্রমিক কর্মচারী ফ্রন্টের নেতা পরিবর্তন হলেই স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে বস্তিতে আগুন লাগে, নতুন সংযোগ হয়, হয় নতুন বাণিজ্য। 

বেসরকারি পরিবহণ খাতে মালিকের গাড়ির সংখ্যা বাড়ে বছর বছর। কিন্তু সরকারী গণপরিবহণ খাত লোকসান গোনে সরকারী দলের শ্রমিক কর্মচারী ফ্রন্টের নেতা ও নষ্ট কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সেটাও আর গোপন কথা নয়। সব দপ্তরের কথা লিখতে গেলে কড়ি দিয়ে কিনলামের মত ১৬ শ’ পৃষ্ঠার উপন্যাস লিখেও শেষ করা যাবে না। তাইতো পাপিয়াদের বিচার হতে এতো দেরি হয়। অবস্থা দেখে বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন কাব্য চর্যাপদের কয়েকটি চরণ মনে পড়ে যায়, ‘নগর বাহিরে ডোম্বি তোহোরি কুড়িয়া, ছই ছই যায়সি ব্রাহ্ম নাড়িয়া’। কথা ভাবানুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘নগরীর উপকণ্ঠে পাপিয়াদের মত ডোম্বি (দেহপসারিনী) দের আখড়া, সেখানে সমাজের বড় বড় মানুষেরা দৈনিক যাতায়াত করেন’।    



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে রক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।


সংঘর্ষ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আটকে গেল মামুনুল হকের মুক্তি

প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবরে তারা কারা ফটকে ভিড় জমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি হিসেবে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। অনেক মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মামুনুল হক আজ মুক্তি পেতে পারেন কিনা বা কখন মুক্তি পাবেন তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কারাগারের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বৃহস্পতিবার ছাড়া পাচ্ছেন না মামুনুল হক।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।


কাশিমপুর কারাগার   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: গজারিয়ায় দুই প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময় উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস) এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।


উপজেলা নির্বাচন   শোকজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন