নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
তরুণদের নিয়ে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে, এমন তথ্য জানান তিনি। নুর বলেন, আমি আওয়ামী লীগ, বিএনপির রাজনীতি করিনি, করব না। আমরা একটি নতুন ধারার রাজনৈতিক দল গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছি। আর এই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্দেশ্যে যুব, শ্রমিক ও প্রবাসী অধিকার পরিষদ গঠন করেছে, বলেও জানান তিনি।
নুর আরও বলেন, এখানে লুকোচুরির কিছুই নেই। আমরা তরুণদের নেতৃত্বে একটা নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করতে চাই। যারা নতুন রাজনৈতিক ধারা তৈরি করতে চায়, পজেটিভ চিন্তা করে নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করার জন্য, আমি তাদের সাথে প্রয়োজনে মিলেমিশে কাজ করতে চাই। আর, যদি সে রকম কাউকে না পাই, তবে একাই এগিয়ে যাব। তিনি বলেন, রাজনীতি করতে প্রয়োজন ত্যাগ এবং ইচ্ছা। বিশাল অর্থের প্রয়োজন নেই এখানে। ইচ্ছা থাকলে মানুষ অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে।
ভিপি নুরের এই ঘোষণা অনেকেই ভাবিয়ে তুলেছে। সেইসাথে নুরের টার্গেট কি? এই প্রশ্ন এখন অনেকেই তুলছে। নুরকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন এমন একজন জানান, এক সময়ের চাকরি প্রার্থী নুর, হঠাৎ করেই ডাকসু ভিপি হয়ে গেল। ভিপি হয়েই যেন সে সরকারবিরোধী কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছে।
ক্যাম্পাসে বাম ধারার রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট একজন জানান, ডাকসু ভিপির সম্মান বা মর্যাদা অনেক। কিন্তু তার কাজ তো জাতীয় রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করে, ‘সস্তা আলোচনা’য় আসা হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করবেন তিনি। শিক্ষার্থীদের অভাব, অভিযোগ বা দাবি-দাওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তুলে ধরবেন তিনি। তিনি আরও বলেন, তবে নুর হয়তো অনুধাবন করতে পেরেছে পূর্বেকার ডাকসু ভিপিরা জাতীয় রাজনীতিতে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি। তাই হয়তো তিনি একেবারে জাতীয় রাজনীতিতেই নামতে চাইছে।
তবে নুরের বেশ কিছু বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ। তাদের মতে, নুরকে এখন টেলিভিশনের পর্দা ছাড়া দেখাই যায় না। চলাফেরাও করে গাড়িতে করে। পোশাকেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। কোটা আন্দোলনের সময়ে নুরের জামা আর এখনকার জামা দেখলেই তা অনুধাবন করা যায়। নতুন রাজনৈতিক দল করার ঘোষণাও দিয়েছে, সেখানেও বলছে টাকা কোন বিষয় না। ফলে সবকিছু মিলিয়ে নুরের টার্গেট কি- এটা যেন অনেক খানিই পরিষ্কার।
একজন জানান, বাংলাদেশে দুটি দলের বাইরে বাকি দলগুলোকে কেউ ভালো করে চেনেও না। অন্যান্য দলগুলো এই দুই দলের সাথে জোট হয়েই রাজনীতি করছে। ফলে, নুরকে দিয়ে হয়তো জামাত-বিএনপিরাই নতুন দল করাচ্ছে। কারণ, এখন তো নুরকে দিয়ে তারা যা ইচ্ছে, তা বলাতে পারছে। নুর যা বলে, যা করে- সবই তাদের তৈরি করা। দল হলে এটা করতে আরও সুবিধা হবে। তাদের কাজ উদ্ধার হলে, নুর হয়তো এমপিও হতে পারে। কারণ, কোন দলের সাথে জোট করলে তো শরিক দল হিসেবে দুই একটা হলেও আসন পাবে। আর যদি এর আগেই নুরের কারসাজি ধরা খেয়ে যায়, তাহলে হয়তো সবকিছু এখানেই শেষ। তবে নুর যে, এখন অনেক অর্থ কড়ি করেছে, তা তার চলাফেরা দেখলেই বুঝা যায়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।