নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
বাংলাদেশে এখন আলোচনার প্রধান বিষয় স্বাস্থ্যের ড্রাইভার মালেক, আর কর্মচারী আবজাল। মালেক-আবজালের দেশে বিত্ত বৈভব দেখে ঈর্ষা হতেই পারে আমাদের। ঢাকায় সাত বাড়ি মালেকের। আবজালের ১০টি। দেশে শতকোটি টাকার সম্পদ তাদের। মালেক-আবজালকে নিয়ে আলোচনায় ড্রাইভার-পিয়নদের সম্পদের রোমাঞ্চকর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এজি অফিসের প্রায় সব পিয়নেরই বাড়ি আছে বলে জানালেন, এক বড় কর্তা। সরকারি অফিসের পিয়ন-চাপরাশি এমনকি লিফট ম্যানদের সম্পদের হিসেব কষলে, যে কেউ মুর্ছা যাবেন, বলেও জানিয়েছেন এক বড় কর্তা।
তিতাস গ্যাসের এক মিটার রিডারের গুলশানে ফ্লাট আছে। বিদ্যুতের কর্মচারিদের বাড়ি-ঘর খুঁজলেই পাওয়া যাবে, ঢাকা শহরে। মালেক হলো ‘টিপ অব দ্যা আইসবার্গ’। বরফ স্তুপের উপরের অংশ মাত্র।
তবে, আমার লেখার বিষয় এটি নয়। ড্রাইভার পিয়নদেরই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বড় কর্তাদের কি হাল? বড় কর্তারা কি ধোঁয়া তুলশীর পাতা? মাথায় যদি পচন না ধরে, তাহলে নিচে কি এতো দুগন্ধময় পচন সম্ভব। ড্রাইভার যখন ঘুষের টাকা গাড়িতে ওঠান, বিদেশী মদ নিয়ে যান বসের বিনোদন আড্ডায়- তখন সে তো দূর্বিনীত হবেই। আর বসও তাকে ঘাটাবে না। এটাই হলো সমঝোতার চুক্তি। এ কারণেই ড্রাইভার মালেক হয়ে যান মালেক সাহেব।
শুধু স্বাস্থ্যে নয়, একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়া সর্বত্র একই চিত্র। কিন্তু প্রশ্ন হলো, মালেকদের সম্পদের তো তথ্য আমরা পেলাম, বড় কর্তাদের টাকার বস্তা গুলো কই? এই প্রশ্ন করতেই আমাকে প্রচন্ড ধমক দিলেন, এক অর্থনীতিবীদ। বললেন, বড় কর্তারা এই নোংরা, যানজটে হতশ্রী শহরে বাড়ি বানাবে, সম্পদ করবে, তুমি কি আহাম্মক! তাইতো, প্রতিবছর খবর বেরোয় হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, কার টাকা এগুলো? একটু খুঁজে দেখুন কানাডার বেগম পাড়ায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কিংবা লং আইল্যান্ডে কাদের বাড়ি।
আমরা কথায় কথায় রাজনীতিবিদদের চোর বলি, গালি দেই। কিন্তু আমরা কি একবার একটু খতিয়ে দেখেছি, বিদেশে কাদের সম্পদ বেশি। একটু অনুসন্ধান করলে ই দেখবেন বিদেশে বাড়ি, সম্পদের প্রায় সিংহ ভাগই আমাদের বড় স্যারদের। চাকরিতে অবসর নিয়ে এরা টুক করে বিদেশে চলে যান। এখনই একটা জরিপ চালান, দেখবেন বড় কর্তাদের অনেকেই ঢাকা ব্যাচেলর জীবন যাপন করেন। তাদের সন্তান, স্ত্রীরা থাকেন দূরদেশে, নিরাপদে। এই নোংরা দেশে তারা থাকবেন কেন? এই দেশটা তো আসলে পিয়ন এবং ড্রাইভারদের। বড় কর্তাদের বিদেশে বাড়ি-ঘর কিভাবে হলো, সে প্রশ্ন বুকে সাহস নিয়ে কেউ করতে পারবেন? মালেক দুর্নীতিবাজ, কিন্তু মালেক যাদের ড্রাইভার ছিলো তারা লুটেরা। এই লুটেরাদের প্রতিহত না করলে উন্নয়নের সব স্বপ্ন বিবর্ণ হয়ে যাবে। মালেকদের পাশাপাশি তাদের ‘প্রভূ’ দের মুখোশ উন্মোচন করবে কে?
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন