নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৩ অগাস্ট, ২০১৭
সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ড দরকার নেই বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক সমাজের ক্ষোভ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের দিন ধার্য হওয়া এবং নবম ওয়েজবোর্ড ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরও ক্ষোভ কমেনি সাংবাদিকদের।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাইলে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, নবম ওয়েজবোর্ডের দাবিতে আমিও একমত। পাঁচ বছর হয়ে গেছে, নবম ওয়েজবোর্ড দরকার। প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান সরকার মিডিয়াবান্ধব। তাই আমি আশা করছি এই দাবি বাস্তবায়ন হবে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, তিনি যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। সাংবাদিকরা সরকারি চাকরিজীবীদের সমান বেতন পান, এ দাবির সঙ্গেও আমি একমত নই। আবার কেউ বলছেন, অর্থমন্ত্রী বয়সের ভারে বেসামাল বক্তব্যগুলো দিয়েছেন। আমি কিন্তু তা মনেকরি না। কারণ তিনি মন্ত্রিসভার একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী। তিনি যা বলেছেন, সচেতনভাবে এবং বুঝে-শুনেই বলেছেন।
আর সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, অর্থমন্ত্রী আশ্চর্যজনক এই কথাটি কেন বলেছেন, তা আমাদের সবার কাছেই প্রশ্ন। উনি হয়ত সঠিক তথ্য জানেন না। খন্ডিত তথ্য জেনে তিনি মন্তব্যটি করেছেন। দায়িত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে থেকে এমন মন্তব্য করা তাঁর ঠিক হয়নি। আশা করছি তথ্য মন্ত্রণালয় তাঁকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে। অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা উচিত।
সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংবাদিকদের অনেকেই অনেক কম বেতনে কাজ করেন। তাঁরা শুধুই আদর্শের কারণে এই পেশায় টিকে আছেন।
যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছু এসে যায় না। তিনি কখন কী বলেন, এর ঠিক নেই। তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই এবং শীঘ্রই নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের দাবি জানাই।
এছাড়া গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন সাংবাদিকরা। মন্তব্যে কেউ বলছেন, বয়সের কারণে অর্থমন্ত্রী বেসামাল কথা বলছেন, রাজনীতি ও মন্ত্রীত্ব থেকে তাঁর অবসরে যাওয়া উচিত। কেউ প্রশ্ন রেখে বলছেন, নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করতে পারলে করবেন, না পারলে করবেন না, কিন্তু অসম্মান করা কেন? আবার কেউ বলছেন, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি আছে, এখন অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের কারণে তাঁরা বরং বিব্রত হবেন। আর কেউ বলছেন, অর্থমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট বোর্ডের কেউ নন, তিনি সংবাদপত্রের মালিকদের বন্ধু, কিন্তু সাধারণ সাংবাদিকদের বন্ধু নন।
অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ)সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড হলো একটি আইনি বাস্তবতা।তিনি কেন এই আইনি বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে চান? তাঁর মতো মানুষের কাছ থেকেদেশবাসী এ রকম বক্তব্য আশা করে না। যদিও তিনি এর আগে শেয়ারবাজার, ঋণ খেলাপিএবং বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক অনেক মন্তব্য করেছেন।
সিডনি প্রবাসী কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে লিখেছেন, তাঁর নলেজেনেই ঢাকার প্রতিষ্ঠিত কাগজের বা টিভির অনেক সাংবাদিক বাসা ভাড়া দিতে পারেন না।অনেকে তিনমাসে বেতন পায় না। কারও কারও বছরে দু-একবার বেতন হয়। এমনও আছেনতাঁরা জীবন পার করে দিয়েও অর্ধবেতনভূক। সবাই সাংবাদিকতা দিয়ে টাকা কামায় না। অবৈধঅর্থ উপার্জন করে না। মুষ্টিমেয় অসাধু সব পেশায় থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়া জগতেরবৈপ্লবিক পরিবর্তনের কারিগররা ভালো নেই।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপতি ওপ্রধানমন্ত্রী ওয়েজবোর্ডের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। ওয়েজবোর্ডের জন্য প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যরেখেছিলেন এবং তিনি আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্য রাষ্ট্রপতি ওপ্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং তাঁরা বিব্রত অবস্থায় পড়লেন। তারা যেওয়েজবোর্ডের যৌক্তিকটা স্বীকার করেছিলেন, সেটা নিয়ে এখন নানা ধরনের কথা তৈরি হতেপারে। অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি অবিলম্বে তিনি প্রত্যাহার করবেন বলে আমরা আশা করছি।
বেসরকারি টিভি বাংলাভিশনের বার্তা প্রধান মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, অর্থমন্ত্রীসাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা খুবই অপ্রাসঙ্গিক এবং অযাচিত।তিনি তো ওয়েজবোর্ডের কেউ নন। এটা মূলত বেসরকারি টেলিভিশন, পত্রিকা, মালিক ওসাংবাদিকদের বিষয়। তারাই বসে ঠিক করবেন- কীভাবে ওয়েজবোর্ড দিবেন কিংবা না দিবেন।আর এটা হলো তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এখানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কোনো টাকা বরাদ্দের বিষয়নেই।
বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির পরিচালক (বার্তা) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, প্রথমকথা হচ্ছে, অর্থমন্ত্রী একটি অসত্য কথা বলেছেন। সাংবাদিকদের বেতন কোনোক্রমেইসরকারি চাকরিজীবীদের থেকে বেশি নয়। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, অর্থমন্ত্রীর এখানে কোনোএখতিয়ার নেই এ বিষয়ে বলার। কারণ সাংবাদিকদের বেতনভাতা আর ওয়েজবোর্ডের মধ্যেকোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে, বিচারপতির নেতৃত্বে একটি স্বাধীন কমিশনগঠিত হয়, ওয়েজবোর্ড গঠিত হয়। এখানে মালিক ও সাংবাদিকপক্ষ মিলে ঠিক করেন যেবেতন কাঠামোটা কী হবে? সেখানে অর্থমন্ত্রী কেন এ কথা বলেছেন আমরা জানি না।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাজী সিরাজ বলেন, অর্থমন্ত্রী এ রকম উল্টাপাল্টা কথা প্রায়ই বলেন। এটানতুন কিছু নয়। ওনাকে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে, সাংবাদিকদের মধ্যে কে বা কারা সরকারিচাকরিজীবীদের চেয়ে বেশি বেতন পান।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের জন্য নতুন ওয়েজবোর্ড দরকার নেইবলে যে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে আমার মত হচ্ছে- তিনি কীভাবে বুঝলেনসাংবাদিকদের বেতন বাড়ানোর দরকার নেই? তিনি এমন একটা ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেরেখেছেন যেখানে বড়লোকেরা চুরি করে সমস্ত টাকা নিয়ে যেতে পারে বিদেশে। বড়লোকদেরটাকার হিসাব বাদ দেওয়া হয়, তাদের চুরির হিসাব নেওয়া হয় না, অথচ সাংবাদিকদের বেতনবাড়ানোর দরকার নেই! সাংবাদিকদের খারাপ অবস্থা থাকলেও ওনার কোনো অসুবিধা নেই!আমার মনে হয়, মালিকপক্ষের হয়েই অর্থমন্ত্রী এই কথাটি বলেছেন। তিনি মালিকপক্ষেরবন্ধু, সাধারণ সংবাদকর্মীদের বন্ধু নন। এটা পরিষ্কার।
বাংলা ইনসাইডার/এমএএম
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।