নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ১৩ অগাস্ট, ২০১৭
দেশে ফিরে আসতে আগ্রহী বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য অতিসম্প্রতি তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। লন্ডনে অবস্থানরত তারেক দেশে তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার মামলার দণ্ড এবং চলমান অন্যান্য মামলা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই মায়ের (বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেশে ফিরতে পারেন তারেক।
বিদেশে অর্থ পাচার মামলায় গত বছর হাইকোর্ট তারেক রহমানের সাত বছর কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানার রায় দিয়েছে। এছাড়া ১৬টি মামলা চলছে তারেকের বিরুদ্ধে, যার একটি হলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাঁদাবাজির সাতটিসহ ১২টি মামলা হয় তারেকের বিরুদ্ধে, এসব মামলার কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রয়েছে। অপর তিনটি মামলার একটি জরুরি ক্ষমতা আইনে, একটি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার এবং আরেকটি হলো অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের। শেষ মামলায় তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানও আসামি। তত্ত্বাবধায়ক আমলেই রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসার কথা বলে স্ত্রী কন্যাসহ লন্ডন যান তারেক । এরপর আর দেশে ফেরেননি তিনি।
জানা গেছে, ১৬টি মামলায়ই জামিন পেতে পারেন তারেক। তবে দেশে ফিরলেই অর্থ পাচার মামলায় তাঁকে জেলে যেতে হবে। এই জেলে যাওয়া নূন্যতম কতদিনের হতে পারে, এ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন তারেক।
বিএনপি ঘনিষ্ট কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান দেশে ফিরলে বিএনপির মধ্যে এক জাগরণ সৃষ্টি হবে। দেশে ফেরার সময় বিমানবন্দরের বড় আকারের শোডাউন করতে চাচ্ছে বিএনপি। ২০ লাখের মতো মানুষ জোগাড় করবে তারা।
তারেক দেশে ফেরার পর বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন অনেক জোরদার হবে বলে আশা করছে দলটির নেতারা। তখন তারেক জেলে থাকলেও এই আন্দোলনের জোয়ার কমবে না। আর বিএনপির এমন গণজোয়ারে তারেককে কতদিন জেলে আটকে রাখা যাবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
বিএনপি ঘনিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার এখন বয়স হয়েছে তিনি দল চালানোর মতো অবস্থানে আর নেই। তারেক দেশে ফিরলে বিএনপি নবজীবন পাবে বলে দাবি তাদের।
তারেক রহমান দেশে ফিরে আসছেন কি না তা সময়ই বলে দেবে। তবে তারেকে দেশে ফেরার কথা এরই মধ্যে বিএনপির তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে নতুন করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে বলে দাবি বিএনপি ঘনিষ্টদের।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা যান ৩ বছর আগে। সেই মামলার রহস্যের জট খুলেছে ৩ বছর পর। আসামী আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই ফিরোজ আহমেদ জানান, বিগত ২০২১ সালের ৯ মার্চ ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আমির হোসেন ও তার দলবল কায়দা করে ভিকটিমের সাথে ভাব জমিয়ে তাকে বিস্কুটের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খ্ইায়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা মালামাল নিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসের হেলপার তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছাগলছিড়া এলাকায় তাকে বুঝে দিয়ে বরিশালের দিকে বাস চলে যায়।
পরে
মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাচ্চু শেখকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মৃত বাচ্চু শেখের স্ত্রী মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ পিবিআই মূল অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পিবিআই-এর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিক বার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের গাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজয়ী চেয়ারম্যান ওমর হোসাইন ভুলু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরী সহ ১১ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৪/৫শ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে পুলিশবাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে।
এঘটনায় বিজয়ী ও পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফ উদ্দিন আনোয়ার।গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর আবারও দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল ও ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিজয়ী ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ওমর ইবনে হোসাইন ভুলু এবং পরাজিত প্রার্থী তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আকতার হোসেন বোরহান চৌধুরীকে আটক করেছে।
ইউপি নির্বাচন সংষর্ঘ চেয়ারম্যান প্রার্থী গ্রেপ্তার
মন্তব্য করুন
আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনী-১
মন্তব্য করুন