ইনসাইড বাংলাদেশ

রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরলেই মন্ত্রিসভায় রদবদল?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

গত কয়েক মাস ধরেই মন্ত্রীসভায় রদবদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এ গুঞ্জন কখনোই সত্যি পরিণত হয়নি। মন্ত্রীসভার রদবদল নিয়ে সরকারের ভিতরে বাইরে নানামুখী আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভা রদবদল হয়নি। প্রথমে শোনা গিয়েছিলো যে, বাজেট অধিবেশনের পর মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। সরকারের ভেতর থেকে অনেকেই বলেছিলো মন্ত্রিসভা রদবদল এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু বাজেট অধিবেশনের পর মন্ত্রিসভায় রদবদলের গুঞ্জন সত্যি পরিণত হয়নি। এরপর অনেকে বলেছিল যে, সেপ্টেম্বরে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। কিন্তু সেপ্টেম্বর পেরিয়ে অক্টোবর মাস চলছে এখনও মন্ত্রিসভা রদবদল হয়নি। তবে এখন শোনা যাচ্ছে যে, এই অক্টোবরেই মন্ত্রীসভায় রদবদল হবে। সরকারের কেউ কেউ বলছেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দুবাই থেকে দেশে ফেরার পর মন্ত্রীসভায় রদবদল হতে পারে।

উল্লেখ্য যে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য দুবাই গেছেন এবং আগামী ২২ অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। মন্ত্রীসভার রদবদল নিয়ে এ ধরনের গুঞ্জনের একাধিক কারণ রয়েছে।

প্রথমত, মন্ত্রীসভায় অন্তত একজন একটি মন্ত্রীর পদ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এই মন্ত্রণালয়ের দেখভাল প্রধানমন্ত্রী করছেন। ধর্ম মন্ত্রী হিসেবে শেখ আব্দুল্লাহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার কয়েক মাস পার হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী দেয়া হয়নি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। আর এখান থেকে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, মন্ত্রিসভায় রদবদল ছোটখাটো হলেও একটা হবে। অন্তত ধর্ম মন্ত্রণালয়ে হয়তো কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবে। শুধু ধর্ম মন্ত্রণালয় নয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় একজন প্রতিমন্ত্রী দিয়ে চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতো একটি বড় মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র একজন মন্ত্রী যথেষ্ট কিনা এ প্রশ্ন করোনা সংকটের সময় এসেছে। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রীদের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই কথাবার্তা হয়েছে। আর এখান থেকেই অনেকেই বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো মন্ত্রীসভা রদবদল করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি এখন পর্যন্ত সেই মন্ত্রী সভা আছে সে মন্ত্রীসভা নিয়েই কাজ করছেন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীসভায় রদবদলের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর ওপর। প্রধানমন্ত্রী যখন যাকে মনে করবেন তখন তাকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, আবার যখন যাকে প্রয়োজন মনে করবেন তখন তাকে মন্ত্রীসভা থেকে বাদ দিতে পারবেন । তবে আওয়ামী লীগের ভেতর থেকে এখন মন্ত্রীসভা পরিবর্তনের বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, সরকার একের পর এক সমস্যার মোকাবেলা করছে এবং কোন কোন মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি নেই। কোন কোন মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আসছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রধানমন্ত্রীর ওপর অনেক চাপ বাড়ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীলীগের এক নেতা বলেছেন, ছোটখাট বিষয়ও এখন প্রধানমন্ত্রীকেই সিদ্ধান্ত দিতে হয় এবং সবাই প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটা বড় ধরনের চাপ তৈরি হচ্ছে । এজন্য মন্ত্রীসভার রদবদল হতে পারে বলেও ওই নেতা মনে করেন।  আওয়ামী লীগের অপর একজন নেতা বলেছেন, মন্ত্রীসভা রদবদল হলে সরকারের কাজের গতি আসে, দল চাঙ্গা হয় এবং একটি জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হয়। তার মতে মন্ত্রীসভায় রদবদল না হলে একজন মন্ত্রীর জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হয় না । কারণ তিনি যদি অন্যায় করেন, তিনি যদি দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন তাহলে তাকে সরিয়ে দিলে সরকারেরও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয় এবং জনগণের আস্থা বাড়ে। তবে এর বিপরীত মতামতও আছে। অনেকেই মনে করেন যে, এই মুহূর্তে সরকার একটা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কাজ করছে । এই সময় যদি মন্ত্রীসভা রদবদল হয় সে ক্ষেত্রে একটি ভুল বার্তা যাবে এবং সরকারের মন্ত্রীরা কাজ করতে পারেনা এজন্য তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ করোনা মোকাবেলাসহ যে চ্যালেঞ্জগুলো আসছে সেই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবেলায় সরকার কাজ করতে পারছেন না বলে অনেকে মনে করবেন। এ কারণেই সরকার মন্ত্রীসভার রদবদল করি করি করেও করছে না। তবে একাধিক সূত্র মনে করছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভায় রদবদল করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা কছেন এবং এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন। এ প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী হয়তো মন্ত্রীসভায় রদবদলের বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। তবে এই অক্টোবরে যদি মন্ত্রীসভায় রদবদল না হয় তাহলে হয়তো সরকারের দ্বিতীয় বছর পূর্তির সময়ে মন্ত্রীসভায় রদবদলের প্রক্রিয়া হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত আসলে গুঞ্জন সত্যি হবে কিনা, সে সেটি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন