ইনসাইড বাংলাদেশ

এমপি মন্ত্রীরা কি ক্ষমতাহীন পুতুল?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০২০


Thumbnail

একজন মন্ত্রী জনপ্রশাসন সচিবকে ফোন করেছেন। ফোন করে তার মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবের একজন সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।  তিনি বলেছেন; ওই সচিব তার কথা শুনে না। এবং তার নির্দেশ প্রতিপালিত হয় না। তাকে না জানিয়েই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে। দেখা গেছে যে সচিব কোনো ভুল করেনি। বরং মন্ত্রী জোর করে অনেক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। যেটি সচিব গ্রহণ করেননি। এটি একটি মন্ত্রণালয়ের ঘটনা।  

একটু খুঁজলে দেখা যাবে যে, সরকারের অনেকগুলো মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী এবং সচিবের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য হচ্ছে। একটু কান পাতলেই শোনা যাবে অনেক এমপি বলছেন; আমাদের কোনো কাজ নেই , আমরা কি করব?। এলাকায় জনগনের কাছে যেয়ে আমরা কি বলব,কি দিবো। তা নিয়ে আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। সামনের নির্বাচনে তারা কি নিয়ে জনগণের কাছে যাবেন এ নিয়ে তাদের ভাবনার শেষ নেই।

এটি যেমন দৃশ্যপটের একদিক আবার উল্টোদিকও আছে। একজন নবীন মন্ত্রী এবং একজন নেতৃস্থানীয় আমলাদের নেতা সচিব দুজনের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হল। মন্ত্রী সচিবকে নির্দেশ দিলেন যে তার কথা প্রতিপালন করতেই হবে। শেষ পর্যন্ত এ বিষয়টিও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত গেল এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পুরো বিষয়টি বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখলেন যে; মন্ত্রী সঠিক ছিলেন সচিব বাড়াবাড়ি করেছেন। সচিবকে সতর্ক করা হলো এবং সেই সচিব এখন অবসরে গেছেন।

আবার করোনার সময় দেখা গেল; একজন এমপি তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় পড়ে ছিলেন। জনগণের দুঃখ-কষ্ট দেখেছেন। জনগণের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন; নগদ সহায়তা দিয়েছেন। সেখানে জেলা প্রশাসন এমপির ওপর নির্ভরশীল এমনকি ওই জেলায় যে সচিবকে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনিও ওই এমপির পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম কর্মকাণ্ড করেন, সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
ওই নির্বাচনী এলাকায় এমপির জনপ্রিয়তা এত বেশি এবং জনগণের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা এতো প্রবল যে জেলা প্রশাসক কিংবা জেলায় দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিব চাইলেও তাকে উপেক্ষা করতে পারেন না।

এ দুটি ঘটনার উল্লেখ করা হলো এ কারণেই, সাম্প্রতিক সময়ে একটি কথা উঠছে যে এমপি এবং মন্ত্রীদের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে। তাদেরকে পুতুল বানিয়ে রাখা হয়েছে। দৃশ্যত তারা কিছুই করতে পারছেন না।

কিন্তু বাস্তবে বিষয়টা কী সে রকম নাকি মন্ত্রী-এমপিদের যোগ্যতার অভাবের কারণে তারা কর্তৃত্ব নিতে পারছেন না ।
একজন সংসদ সদস্য হলেন নির্বাচিত প্রতিনিধি । তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত এবং তার ক্ষমতার উৎস হলো জনগণ। অন্যদিকে একজন আমলা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং রাষ্ট্রের সংবিধিবদ্ধ আইন অনুযায়ী তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত। এই দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় থাকাটা যেমন জরুরি। তেমনি এই দুইয়ের মধ্যে তিনি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবেন যিনি যত বেশি জনবান্ধব এবং জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং যত বেশি নিজস্ব ব্যক্তিত্ব এবং দক্ষতা দিয়ে সবকিছুর উপর প্রভাব স্থাপন করতে পারবেন।

যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকায় এমপিরা জনপ্রিয় এমপিদের জনপ্রিয়তা রয়েছে তারা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন না। এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ করেন সে সমস্ত এলাকায় এমপিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের দ্বন্দ্ব খুবই কম। দ্বন্দ্ব যে হয় না তা না সেখানে দ্বন্দ্ব হয় অন্যরকম।

জেলা প্রশাসক যদি কোনো উন্নয়ন বিমুখ কর্মকান্ড করেন তিনি যদি কাজ না করেন তাহলে জনগণের প্রতীক হিসেবে জনপ্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসকের মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড়ায়। তবে তেমন ঘটনা খুবই কম ।

কিন্তু যে সমস্ত জায়গায় এমপিদের সঙ্গে জনগণ নেই যারা নিজস্ব তল্পিবাহক বাহিনী নিয়ে এলাকায় ঘুরেন এবং বিভিন্ন টেন্ডার এবং উন্নয়ন প্রকল্পের চাঁদার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মুখিয়ে থাকেন। তাদের সঙ্গে এলাকার মাঠ প্রশাসনের নানারকম দ্বন্দ্ব এবং জটিলতা তৈরি হয়।

একইভাবে মন্ত্রিসভায় যে সমস্ত মন্ত্রীরা আন্তরিকভাবে কাজ করেন যারা কাজ বুঝে নিয়েছেন; তিনি নতুন হোক পুরাতন কাজ বুঝে নিয়েছেন। তাদের মন্ত্রণালয়ের প্রধান নিবার্হী হতে কারো দেন দরবার বা তদবিরের দরকার হয় না । কিন্তু যারা দায়িত্ব পালনে অক্ষম। সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। সব কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাদের ওপরেই সচিবরা ছড়ি ঘোড়ান।

তাই পুরো ব্যাপারটি আসলে নিজস্ব যোগ্যতা এবং দক্ষতার উপর। একজন যোগ্য ব্যক্তি যদি এমপি হন বা মন্ত্রী হন তাহলে তার উপর মাঠ প্রশাসন কখনোই হস্তক্ষেপ করতে পারেন না।

বরং দুজনার মধ্যে যদি দ্বন্দ্ব-সংঘাত হয় সেখানে জনপ্রতিনিধির জয়ই সুনিশ্চিত। আবার যদি একজন মন্ত্রী দায়িত্ব পালনে সক্ষম হন সেখানে সচিব কখনো মন্ত্রীর চেয়ে প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারে না। তাই মন্ত্রী-এমপিরা ক্ষমতাহীন কী ক্ষমতাহীন নয় সেটি নির্ভর করে তার যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা এবং দক্ষতার উপর।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন