নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০২০
বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক অনেক ভালো। নানা টানাপোড়নের পরেও সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী বাংলাদেশে এসে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এবং তিনি বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলছেন।
এরমধ্যে মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন। আপাত দৃষ্টিতে তিনটি দেশই বলছে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অংশীদার হতে চায়। বাংলাদেশের কূটনৈতিক যে নীতি সেটা হলো ‘সকলের সঙ্গে মিত্রতা কারো সঙ্গে শক্রতা নয়’ সেই নীতিতে বাংলাদেশ সকলের সঙ্গে সু সর্ম্পক রাখছে। কিন্তু কূটনৈতিক মহল মনে করছে বড় বড় তিনটি ক্ষমতাবান দেশের বাংলাদেশ নিয়ে হঠাৎ আগ্রহ নিছক অর্থনৈতিক সর্ম্পক নয় বা নিছক বাংলাদেশের প্রতি সহমর্মিতা বা ভালবাসা নয়। এই আগ্রহের একটি সুনিদিষ্ট কারণ আছে।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় কৌশলগত কারণে বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভর করবে এই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সামরিক এবং ভূ রাজনৈতিক কর্তৃত্বের অনেকখানি। আর সেই কারণেই বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ এই বঙ্গোপসাগর নিয়ে তিন দেশেরই আগ্রহ রয়েছে। বর্তমান সরকার গত একযুগে বঙ্গোপসাগরের অনেকখানি দৃশ্যমান অগ্রগতি করেছে।
প্রথমত মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে সমুন্দ্রসীমা নিয়ে যে বিরোধ ছিলো সেই বিরোধ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা করেছে। কাজেই বাংলাদেশ সমুন্দ্রসীমায় নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ ব্লু ইকোনমির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের প্রভূত উন্নতি করেছে। তৃতীয়ত বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে সামরিক শক্তি জোরদার করেছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে দুটি সাবমেরিন কিনেছে। সামরিক দিক থেকে বঙ্গোপসাগরকে সুরক্ষা করার জন্য কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে।
তিনটি দেশই মনে করছে বাংলাদেশের ভূখন্ডের বঙ্গোপসাগরে যদি তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করা যায় তাহলে পরে এই অঞ্চলের রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের জন্য সহজ হবে। এখানে চীনের আগ্রহ অনেকদিন থেকেই। যদিও চীন বলছে অর্থনৈতিক কূটনীতি তাদের মূল লক্ষ্য কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগর নিয়ে তারা অনেক আগ্রহী। বঙ্গোপসাগরকে নিয়ে একাধিক প্রস্তাব-পরিকল্পনা তারা বাংলাদেশ সরকারকে দিয়েছে। সেখানে গভীর সমুন্দ্র বন্দর নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে তারা আর্থিক সহায়তা দিতে চায়।
এটি ভারতের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতও বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে বিনিয়োগ এবং কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে বাংলাদেশের নৌ শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে। আর মার্কিন উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিগানের সফরে পষ্ট হয়েছে তারা বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায়। এবং বঙ্গোপসাগরে যে অগ্রগতি উন্নয়ন সেই অগ্রগতি উন্নয়নে অংশীদার হতে চায়। এই কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ তিনটি দেশের কাছে অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ ও আদরের একটা রাষ্ট্রতে পরিণত হয়েছে।
এখানে মূল বিষয়টা হলো কূটনৈতিক ভারসাম্যের বিষয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে যে বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক এবং বাংলাদেশের অখন্ড অংশ। বাংলাদেশ এখানে অন্য কোন রাষ্ট্রকে সামরিক মহড়া বা অন্য কোন সামরিক স্থাপনা করার সুযোগ দেবে না। তবে বঙ্গোপসাগরের উন্নয়ন, গভীর সমুন্দ্রবন্দর নির্মাণসহ বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে একটি বড় অর্থনৈতিক অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারসাম্যের কূটনীতি অনুসরণ করবে এবং সব দেশের থেকে বাংলাদেশ হয়তো সহযোগিতা নেবে।
বাংলাদেশ তার নিজস্ব সার্বভৌমত্ব এবং নিজস্ব কূটনীতির বাইরে কোন কিছু করবে না। এখন দেখার বিষয় এই তিনটি দেশের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে কিভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
সহকারী সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।