নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০২০
ভারতের গণমাধ্যমে এখন বাংলাদেশ চর্চা চলছে ধুমছে। পরপর দুটি আন্তর্জাতিক তথ্য যেন ভারতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। প্রথমটি, চলতি অর্থ বছরে মাথাপিছু আয় সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পূর্বাভাস। আইএমএফ বলছে, চলতি অর্থ বছরে গড় মাথাপিছু আয়ে ভারতকে টপকে যাবে বাংলাদেশ। আইএমএফের এই তথ্যের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতই, হাঙ্গার ইনডেক্স বা ক্ষুধা সূচক প্রকাশিত হলো।
এতে দেখা গেলো, ক্ষুধা নিবারনেও ভারতকে পিছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, নোবেল জয়ী ভারতীয় অর্থনীতিবীদ অভিজিৎ ব্যানার্জী বলছেন, মানব উন্নয়নের সব সূচকেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভারতকে পেছনে ফেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এসব তথ্য যেন, ভারতে রীতিমতো ভূমিকম্প সৃষ্টি করেছে। প্রধান বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী এনিয়ে মোদীর সমালোচনা করতে ছাড়েননি। ভারতের মূলধারার গণমাধ্যম গুলোতে, টকশোতে এনিয়ে চলছে, তুমুল কথার লড়াই। বলা হচ্ছে, করোনার জন্যই ভারতের এই বিপর্যয় এটি সঠিক নয়। মোদীর নীতি আগেই ভুল পথে ছিলো। এটি ভুল অর্থনৈতিক নীতি ও কৌশলের ফল। একটি অনুষ্ঠানে, একজন বললেন কোথায় ভারত চীনের উপরে যাবে, চীনের সাথে অর্থনৈতিক লড়াই করবে, ভারত তো বাংলাদেশের থেকেই পিছিয়ে। গত দ্ইু দিনে ভারতের গণমাধ্যমে যে মাতম, তাতে কোথাও বাংলাদেশের প্রতি শ্রদ্ধা নেই, বাংলাদেশের কৃতিত্বের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা নেই। বরং আর্তনাদ এবং হাহাকার। ভারতের গড় মাথাপিছু আয় কমেছে, জিডিপির নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এগুলো যেন সহ্য করা যেত, যদি বাংলাদেশ এগিয়ে না যেতো। অর্থাৎ ভারতের অবস্থা নিয়ে যতোটা দু:খ তার চেয়ে দু:খ বাংলাদেশের উন্নতি দেখে। এযেন নিজে ফেল করার কষ্টের চেয়েও পাশের বন্ধুটির ফাষ্ট হওয়ার দু:খের মতোই ভয়ংকর। কিছুদিন আগে ভারতের এক প্রভাবশালী, কট্টরপন্থী বিজেপি নেতা বলেছিলেন, ভারতের সীমান্ত খুলে দিলে লাখ লাখ বাংলাদেশী ভারতে আশ্রয় নেবে। কিন্তু অর্থনীতি এখন ভিন্ন কথা বলছে। লাখ লাখ ভারতীয় কি এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার পর্যায়ে এসেছে?
ভারত সব সময় বলে বাংলাদেশ সবার আগে। বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে কাছের বন্ধু রাষ্ট্র। দুই দেশ উন্নয়নের অংশীদার। তাহলে, বাংলাদেশের সাফল্যে ভারতের এতো মাতম কেন? কেন ঈর্ষায় পুড়ছে ভারত? তাহলে ভারত কি সেই ‘বিগ্র ব্রাদার’ যে সব সময় পাশের দেশকে নিজের চেয়ে ছোট দেখতে চায়? এখন বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারত কি বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চাইবে? এই প্রশ্ন এজন্যই উঠছে যে, উগ্র জাতীয়তাবাদের উত্থান পাশের দেশের উন্নতিকে পরাজয় মনে করে, প্রতিহিংসায় উম্মত্ত করে।
মন্তব্য করুন
সহকারী সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে কোনোরেকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া না। তিনি এমপি মন্ত্রী যেই হোক। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়।’
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন নিয়ে পাবনা জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাশেদা সুলতানা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সাধারন মানুষের কাছে হেনস্তা করবে, নির্বাচনকে কলুষিত করবে, দেশের ভাবমূর্তি যে নষ্ট করে তার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের কোনো কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। দিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
রাশেদা সুলতানা বলেন, 'দেশের নিদারুণ বাস্তবতা হলো ভোটারদের সাথে প্রার্থীদের সম্পর্ক ভাল নেই। ভোটার ছাড়া ভোট হয়ে যাবে ওইদিন চলে গেছে। তাই প্রার্থী যারা আছেন তারা ভোটারদের কাছে যান, তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল করেন। তাদের কাছে টেনে নেন। তাদের ভোটেরই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে। নির্বাচনী আইন মেনে প্রচারণা করেন। নির্বাচন কমিশন যেকোনো মুল্যে ভাল ভোট করবে।'
রাজশাহী বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের পরিচালক পারভেজ রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবির সিইও গোলাম কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত মতবনিমিয় সভায় পাবনা জেলার নয়টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু অভিযোগ করেন, '২ জন শিক্ষককে বিশেষ লোকের নাম বলে দু'টি মোটরসাইকেল পাঠিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীর সভায় যেতে বাধ্য করা হয়েছে। নির্বাচন শুরুর আগেই তো প্রভাবশালীদের প্রভাব বিস্তার চলছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।'
নির্বাচন প্রভাব বিস্তার নির্বাচন কমিশন
মন্তব্য করুন
ভোক্তা পর্যায়ে এলপি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৪২
টাকা থেকে ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে, টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত এপ্রিল মাসে কমেছিল এলপি গ্যাসের দাম। ৩ এপ্রিল মার্চ মাসের তুলনায় ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছে বিইআরসি। মে মাসে
ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা
হয়েছে।
আর গত এপ্রিল মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি
লিটার ৬৬ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি। আর মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের
মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি
মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিইআরসি জানিয়েছে, মে মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন
এবং বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন যথাক্রমে ৫৮০ মার্কিন ডলার ও ৫৮৫ মার্কিন
ডলার এবং প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি
প্রতি মেট্রিক টন ৫৮৩ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার বিবেচনায় মে মাসের জন্য বেসরকারি এলপিজি
ও অটোগ্যাসের দাম ভোক্তা পর্যায়ে সমন্বয় করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।
মন্তব্য করুন
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে
নৌকাডুবিতে নিহত আট বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় আট বাংলাদেশির মরদেহ এসভি৮০৮
বিমানযোগে ঢাকার হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
মেজর জেনারেল অব. আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের (তিউনিসিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত
হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত) উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।
নিহত আট বাংলাদেশি হলেন, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ির নয়ন
বিশ্বাস, একই উপজেলার খালিয়ার মামুন শেখ ও সজল, একই উপজেলার বাজিতপুর নতুনবাজারের কাজি
সজীব ও কবিরাজপুরের কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাগদীর রিফাত, দিগনগরের
রাসেল এবং গঙ্গারামপুর গোহালার ইমরুল কায়েস ওরফে আপন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নৌকায় অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৯ জন নিহত হন। নিহত অন্যজন পাকিস্তানের নাগরিক। ওই নৌকায় প্রায় ৫২ অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। তারা ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাচ্ছিলেন।
মন্তব্য করুন
অরাজনৈতিক ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নওগাঁয় দিন ব্যাপি ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প, স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) জগৎসিংহপুর বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে ও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বাস্থ্য সেবা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত ক্যাম্পে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল সিআইপি।
দিন ব্যাপী এই ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার দরিদ্র নারী ও পুরুষের মাঝে ফ্রি চিকিৎসা পত্র ও ফ্রি ঔষধ বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
অরাজনৈতিক ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নওগাঁয় দিন ব্যাপি ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প, স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) জগৎসিংহপুর বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে ও বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ও স্বাস্থ্য সেবা অনুষ্ঠিত হয়।